১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই তাইওয়ানের সাবমেরিন উন্মোচন

চীনের সঙ্গে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে, নিজেদের সুরক্ষার উপায় খুঁজছে তাইওয়ান। আজ বৃহস্পতিবার নিজেদের তৈরি প্রথম সাবমেরিন উন্মোচন করেছে তারা। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই সাবমেরিন তাইওয়ানকে চীনা আক্রমণ প্রতিহত করতে সাহায্য করবে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৪৯ সালের গৃহযুদ্ধের পর চীন থেকে তাইওয়ানে পালিয়ে যায় জাতীয়তাবাদী সরকার। গড়ে তোলে আলাদা রাষ্ট্র। তখন থেকেই শুরু চীনের তাইওয়ান কেন্দ্রিক আগ্রাসী মনোভাব।

সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশে চীনের যুদ্ধবিমানের মহড়ার পর আবারো উত্তাল চীন-তাইওয়ান সম্পর্ক। চলছে পাল্টাপাল্টি হুমকি ও অভিযোগ, বাড়ছে উত্তেজনা। এক চীন এক নীতির জন্য দ্বীপরাষ্ট্রটির ওপর সামরিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছে বেইজিং।

এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নিজের তৈরি সাবমেরিন উন্মোচন করলো তাইওয়ান। যার নাম দেয়া হয়েছে হাইকুন। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন বলেন, ইতিহাস এ দিনটি মনে রাখবে।

সামরিক কর্মকর্তারা বলছে, ১৫৪ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত সাবমেরিনটি চীনের আক্রমণ প্রতিহত করে নিজেদের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করবে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ২০২৪ সালের শেষে নৌবহরে যুক্ত হবে হাইকুন। সাবমেরিনটির ওজন আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টন।

এক পৌরাণিক বিশাল মাছের নাম অনুসারে এই সাবমেরিনের নামকরণ করা হয়েছে হাইকুন, যা উড়তেও পারে। বর্তমানে আরেকটি সাবমেরিন তৈরির কাজ চলছে। সেইসাথে ১০টি সাবমেরিনের একটি বহর পরিচালনার লক্ষ্যে কাজ করছে তাইওয়ান। যার মধ্যে দুটি পুরানো ডাচ-নির্মিত নৌকা রয়েছে, যা তাদের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত।

চলতি বছরের এপ্রিলে মানববিহীন প্রোটোটাইপ সাবমেরিন তৈরির ঘোষণা দেয় তাইওয়ান। থান্ডার টাইগার গ্রুপের তৈরি এই সাবমেরিনের নাম সি-উলফ-ফোর হান্ড্রেড। প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটির দাবি, সামরিক সংঘাতের সময় আত্মঘাতী সাবমেরিনে পরিণত হবে এটি।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই তাইওয়ানের সাবমেরিন উন্মোচন

আপডেট : ১১:৩৩:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চীনের সঙ্গে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে, নিজেদের সুরক্ষার উপায় খুঁজছে তাইওয়ান। আজ বৃহস্পতিবার নিজেদের তৈরি প্রথম সাবমেরিন উন্মোচন করেছে তারা। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই সাবমেরিন তাইওয়ানকে চীনা আক্রমণ প্রতিহত করতে সাহায্য করবে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৪৯ সালের গৃহযুদ্ধের পর চীন থেকে তাইওয়ানে পালিয়ে যায় জাতীয়তাবাদী সরকার। গড়ে তোলে আলাদা রাষ্ট্র। তখন থেকেই শুরু চীনের তাইওয়ান কেন্দ্রিক আগ্রাসী মনোভাব।

সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশে চীনের যুদ্ধবিমানের মহড়ার পর আবারো উত্তাল চীন-তাইওয়ান সম্পর্ক। চলছে পাল্টাপাল্টি হুমকি ও অভিযোগ, বাড়ছে উত্তেজনা। এক চীন এক নীতির জন্য দ্বীপরাষ্ট্রটির ওপর সামরিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছে বেইজিং।

এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নিজের তৈরি সাবমেরিন উন্মোচন করলো তাইওয়ান। যার নাম দেয়া হয়েছে হাইকুন। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন বলেন, ইতিহাস এ দিনটি মনে রাখবে।

সামরিক কর্মকর্তারা বলছে, ১৫৪ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত সাবমেরিনটি চীনের আক্রমণ প্রতিহত করে নিজেদের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করবে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ২০২৪ সালের শেষে নৌবহরে যুক্ত হবে হাইকুন। সাবমেরিনটির ওজন আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টন।

এক পৌরাণিক বিশাল মাছের নাম অনুসারে এই সাবমেরিনের নামকরণ করা হয়েছে হাইকুন, যা উড়তেও পারে। বর্তমানে আরেকটি সাবমেরিন তৈরির কাজ চলছে। সেইসাথে ১০টি সাবমেরিনের একটি বহর পরিচালনার লক্ষ্যে কাজ করছে তাইওয়ান। যার মধ্যে দুটি পুরানো ডাচ-নির্মিত নৌকা রয়েছে, যা তাদের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত।

চলতি বছরের এপ্রিলে মানববিহীন প্রোটোটাইপ সাবমেরিন তৈরির ঘোষণা দেয় তাইওয়ান। থান্ডার টাইগার গ্রুপের তৈরি এই সাবমেরিনের নাম সি-উলফ-ফোর হান্ড্রেড। প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটির দাবি, সামরিক সংঘাতের সময় আত্মঘাতী সাবমেরিনে পরিণত হবে এটি।