ঢাকা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ডিবি কার্যালয়ে কোনো আয়নাঘর-ভাতের হোটেল থাকবে না: ডিবিপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:০৩:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে আর কোনো ‘আয়নাঘর’ থাকবে না। থাকবে না কোনো ‘ভাতের হোটেল’। সেলিব্রেটি নায়ক নায়িকাদের বিচরণস্থল হবে না। ডিবি হবে জনসাধারণের ভরসার স্থল। ডিবিকে জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ডিবির কোনো সদস্য অন্যায় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে এলেন ডিবি প্রধান।

দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজার নিরবচ্ছিন্ন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যেন নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ডিবির ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের অত্যন্ত সংকটকালে আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবিপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এ জন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি এবং ডিএমপি কমিশনারের কাছে কৃতজ্ঞ।’ তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে উচ্চাভিলাসী কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সমগ্র পুলিশবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এর ফলে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও বিগত সরকারের পতনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়ে। এ ধরনের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পুলিশ বাহিনী কখনো পড়েনি। এমন পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে আইজিপি ও পুলিশর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কর্মতৎপরতায় ডিএমপির সব থানা ও ডিবির কার্যক্রম পুরোদমে সচল হয়েছে।’

ডিবিপ্রধান বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা আফিসে আর কোনো আয়নাঘর থাকবে না। ডিবির কলঙ্কিত অধ্যায় শেষ করে সেটিকে পবিত্র করা হবে, যেখানে মানুষ ন্যায়বিচার পাবে। সেখানে কোনো নায়ক-নায়িকা বা সেলিব্রেটিদের সময় কাটানোর জায়গা হবে না। থাকবে না কোনো ভাতের হোটেল। আসামি যেই হোক না কেন, সে বিচার পাবে। গ্রেপ্তার আসামিদেরও নির্যাতন করা হবে না। ডিবি অফিসের নাম শুনে আর যেন কেউ আতঙ্কিত না হয়, শুধু আসামিরাই যেন ভয় পায়।’

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘আমি যতদিন ডিবিপ্রধানের দায়িত্ব পালন করব, ততদিন ন্যায়-নীতি, পেশাদারিত্ব ও সত্যতার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব। যারা ভুক্তভোগী ও অসহায় তাদের কথা শুনব। তাদের কীভাবে আইনগত সহযোগিতা করা যায় সেটি দেখব। ডিবিকে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। নতুন স্বাধীন বাংলাদেশে ডিবি অফিস হবে ভুক্তভোগীদের ভরসাস্থল।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ডিবি কার্যালয়ে কোনো আয়নাঘর-ভাতের হোটেল থাকবে না: ডিবিপ্রধান

আপডেট সময় : ০৩:০৩:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে আর কোনো ‘আয়নাঘর’ থাকবে না। থাকবে না কোনো ‘ভাতের হোটেল’। সেলিব্রেটি নায়ক নায়িকাদের বিচরণস্থল হবে না। ডিবি হবে জনসাধারণের ভরসার স্থল। ডিবিকে জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ডিবির কোনো সদস্য অন্যায় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে এলেন ডিবি প্রধান।

দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজার নিরবচ্ছিন্ন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যেন নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ডিবির ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের অত্যন্ত সংকটকালে আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবিপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এ জন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি এবং ডিএমপি কমিশনারের কাছে কৃতজ্ঞ।’ তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে উচ্চাভিলাসী কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সমগ্র পুলিশবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এর ফলে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও বিগত সরকারের পতনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়ে। এ ধরনের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পুলিশ বাহিনী কখনো পড়েনি। এমন পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে আইজিপি ও পুলিশর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কর্মতৎপরতায় ডিএমপির সব থানা ও ডিবির কার্যক্রম পুরোদমে সচল হয়েছে।’

ডিবিপ্রধান বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা আফিসে আর কোনো আয়নাঘর থাকবে না। ডিবির কলঙ্কিত অধ্যায় শেষ করে সেটিকে পবিত্র করা হবে, যেখানে মানুষ ন্যায়বিচার পাবে। সেখানে কোনো নায়ক-নায়িকা বা সেলিব্রেটিদের সময় কাটানোর জায়গা হবে না। থাকবে না কোনো ভাতের হোটেল। আসামি যেই হোক না কেন, সে বিচার পাবে। গ্রেপ্তার আসামিদেরও নির্যাতন করা হবে না। ডিবি অফিসের নাম শুনে আর যেন কেউ আতঙ্কিত না হয়, শুধু আসামিরাই যেন ভয় পায়।’

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘আমি যতদিন ডিবিপ্রধানের দায়িত্ব পালন করব, ততদিন ন্যায়-নীতি, পেশাদারিত্ব ও সত্যতার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব। যারা ভুক্তভোগী ও অসহায় তাদের কথা শুনব। তাদের কীভাবে আইনগত সহযোগিতা করা যায় সেটি দেখব। ডিবিকে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। নতুন স্বাধীন বাংলাদেশে ডিবি অফিস হবে ভুক্তভোগীদের ভরসাস্থল।’