০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রূপপুরের প্রথম ইউরেনিয়াম চালান দেশে

দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুরের জ্বালানির প্রথম চালান দেশে এসে পৌঁছেছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শৌকত বলেন, ‘রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান সফলভাবে দেশে পৌঁছেছে।’

কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাশিয়া থেকে আমদানি করা পারমাণবিক জ্বালানি বিশেষ উড়োজাহাজে বিকেলে ঢাকায় পৌঁছায়। তা সড়ক পথে নেওয়া হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে। রাশিয়ার ফুয়েল (ইউরেনিয়াম) ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্টে রূপপুরের জ্বালানি প্রস্তুত করা হয়। আন্তর্জাতিক সব বিধি অনুসরণ করে প্রথম ব্যাচের ইউরেনিয়ামের চালান দেশে আনা হয়।

আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কাছে ওই জ্বালানি রাশিয়া হস্তান্তর করবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) জ্বালানি যে এ মাসে দেশে আসবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোসাটমের মহাপরিচালক (ডিজি) অ্যালেক্সি লিখাচেভ। গত জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছিলেন।

রাশিয়ার সহযোগিতায় পাবনার রূপপুরে নির্মাণ হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। এটি তৈরি হলে এর দুটি ইউনিট থেকে পাওয়া যাবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। প্রকল্পটির ৯০ ভাগ অর্থায়ন হচ্ছে রাশিয়ার ঋণে। ১০ ভাগের জোগান দিচ্ছে সরকার। ২০২৩ সালের এপ্রিলে এই কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে রাশিয়ার অর্থায়ন, ডিজাইন ও কারিগরি সহায়তায় ভিভিআর-১২০০ মডেলের দুটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপিত হচ্ছে।

ঈশ্বরদীতে পরমাণু বিদ্যুতের দুটি ইউনিটের মাধ্যমে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বৃহৎ এ প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০১৭ সালে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রথম ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের কাজ শুরু হওয়ার এক বছরের মাথায় দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি স্থাপন শুরু হয়। ২০২৪ সালে প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

রূপপুরের প্রথম ইউরেনিয়াম চালান দেশে

আপডেট : ০১:১৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুরের জ্বালানির প্রথম চালান দেশে এসে পৌঁছেছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শৌকত বলেন, ‘রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান সফলভাবে দেশে পৌঁছেছে।’

কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাশিয়া থেকে আমদানি করা পারমাণবিক জ্বালানি বিশেষ উড়োজাহাজে বিকেলে ঢাকায় পৌঁছায়। তা সড়ক পথে নেওয়া হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে। রাশিয়ার ফুয়েল (ইউরেনিয়াম) ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্টে রূপপুরের জ্বালানি প্রস্তুত করা হয়। আন্তর্জাতিক সব বিধি অনুসরণ করে প্রথম ব্যাচের ইউরেনিয়ামের চালান দেশে আনা হয়।

আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কাছে ওই জ্বালানি রাশিয়া হস্তান্তর করবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) জ্বালানি যে এ মাসে দেশে আসবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোসাটমের মহাপরিচালক (ডিজি) অ্যালেক্সি লিখাচেভ। গত জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছিলেন।

রাশিয়ার সহযোগিতায় পাবনার রূপপুরে নির্মাণ হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। এটি তৈরি হলে এর দুটি ইউনিট থেকে পাওয়া যাবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। প্রকল্পটির ৯০ ভাগ অর্থায়ন হচ্ছে রাশিয়ার ঋণে। ১০ ভাগের জোগান দিচ্ছে সরকার। ২০২৩ সালের এপ্রিলে এই কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে রাশিয়ার অর্থায়ন, ডিজাইন ও কারিগরি সহায়তায় ভিভিআর-১২০০ মডেলের দুটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপিত হচ্ছে।

ঈশ্বরদীতে পরমাণু বিদ্যুতের দুটি ইউনিটের মাধ্যমে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বৃহৎ এ প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০১৭ সালে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রথম ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের কাজ শুরু হওয়ার এক বছরের মাথায় দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি স্থাপন শুরু হয়। ২০২৪ সালে প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।