০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাগর্নো-কারাবাখ স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র বিলুপ্তির ঘোষণা

২০২৪ সালের জানুয়ারির পর থেকে নাগর্নো-কারাবাখ আর প্রজাতন্ত্র থাকছে না। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত ডিক্রি জারি করেছেন আজারবাইজানের বিচ্ছিন্ন এ অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।

নাগর্নো-কারাবাখের বাসিন্দাদের শর্ত অনুযায়ী আজারবাইজানে ফিরে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছে, এ ডিক্রি সফল হওয়ার কথা বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

ডিক্রি অনুযায়ী, নাগর্নো-কারাবাখে সামরিক ও রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে অঞ্চলটির বাসিন্দা ও সামরিক ব্যক্তিত্বদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এই ডিক্রি একটি অস্বীকৃত প্রজাতন্ত্রের সমাপ্তি ঘটাল।

নাগর্নো-কারাবাখ ১৯৯০ এর দশকে যুদ্ধ শুরু হয়। এটি শেষ হয় ১৯৯৪ সালে। এরপর বাকু ২০২০ সালে অঞ্চলটি দখলে নিতে আরেকটি যুদ্ধ শুরু করে। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সহিংসতা থামে।

তবে, সম্প্রতি সামরিক অভিযান চালিয়ে কারাবাখের বাকি অংশের ওপরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে আজারবাইজান। এরপর সেখানকার আর্মেনীয় বাসিন্দারা নিরস্ত্র হওয়ার শর্ত মেনে নিয়ে চুক্তি করেছেন। এরই ভিত্তিতে স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়া হলো।

প্রজাতন্ত্র বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়ায় নাগর্নো-কারাবাখের মানুষেরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে, সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পাবে এবং অস্ত্র সমর্পণকারী সেনারাও বিনা বাধায় জীবনযাপন করতে পারবে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

নাগর্নো-কারাবাখ স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র বিলুপ্তির ঘোষণা

আপডেট : ০৪:১৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

২০২৪ সালের জানুয়ারির পর থেকে নাগর্নো-কারাবাখ আর প্রজাতন্ত্র থাকছে না। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত ডিক্রি জারি করেছেন আজারবাইজানের বিচ্ছিন্ন এ অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।

নাগর্নো-কারাবাখের বাসিন্দাদের শর্ত অনুযায়ী আজারবাইজানে ফিরে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছে, এ ডিক্রি সফল হওয়ার কথা বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

ডিক্রি অনুযায়ী, নাগর্নো-কারাবাখে সামরিক ও রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে অঞ্চলটির বাসিন্দা ও সামরিক ব্যক্তিত্বদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এই ডিক্রি একটি অস্বীকৃত প্রজাতন্ত্রের সমাপ্তি ঘটাল।

নাগর্নো-কারাবাখ ১৯৯০ এর দশকে যুদ্ধ শুরু হয়। এটি শেষ হয় ১৯৯৪ সালে। এরপর বাকু ২০২০ সালে অঞ্চলটি দখলে নিতে আরেকটি যুদ্ধ শুরু করে। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সহিংসতা থামে।

তবে, সম্প্রতি সামরিক অভিযান চালিয়ে কারাবাখের বাকি অংশের ওপরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে আজারবাইজান। এরপর সেখানকার আর্মেনীয় বাসিন্দারা নিরস্ত্র হওয়ার শর্ত মেনে নিয়ে চুক্তি করেছেন। এরই ভিত্তিতে স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়া হলো।

প্রজাতন্ত্র বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়ায় নাগর্নো-কারাবাখের মানুষেরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে, সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পাবে এবং অস্ত্র সমর্পণকারী সেনারাও বিনা বাধায় জীবনযাপন করতে পারবে।