ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৩৭৪ জন

একাধিকবার ডেঙ্গু আক্রান্তদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৫২:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বর্ষা পেরিয়ে শরৎ এলেও কমেনি ডেঙ্গুর প্রকোপ। জনস্বাস্থ্যবিদদের আশংকাই সত্যি হয়েছে। সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু আগের তুলনায় বেড়েছে। এ মাসে মারা গেছে ৩৭৪ জন আর আক্রান্ত ৭৫ হাজারের বেশি। এমন অবস্থা আগামী মাসেও চলমান থাকবে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। তারা বলছেন, যারা একাধিকবার ডেঙ্গুর ভিন্ন ধরণের ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি। এডিস মশা নিধনে এ পর্যন্ত যে সমস্ত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সমস্বয়ের অভাব এবং কার্যকরী উদ্যোগ কম বলেও মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।

২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। এ বছর এরইমধ্যে ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ছুঁই ছুঁই। বছরের শুরুর দিকে মাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ এর নিচে থাকলেও জুনে মারা যান ৩৪ জন। এরপর লাফিয়ে বাড়ে মৃত্যুর সংখ্যা। জুলাইয়ে ২০৪ জন, আগষ্টে ৩৪২ জন। আর সেপ্টেম্বরে এসে ৩৭০ জনের বেশি মারা গেছেন। মোট মৃত্যু সাড়ে ৯’শ ছাড়িয়েছে।

সব বয়সী মানুষই আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গুতে। রাজধানীসহ সারাদেশে আতংঙ্ক ছড়িয়েছে। বাড়িয়েছে উদ্বেগ।

অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় এবার মৃত্যু বেশি হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, যারা দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারের মতো ডেঙ্গুর ভিন্ন ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তারাই বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

তিনি মনে করেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যেভাবে এডিস মশার বিস্তার রোধ করা উচিত ছিলো, সেটি হয়নি। কার্যকরী উদ্যোগের তুলনায় বাহ্যিক প্রচারণাই বেশি হয়েছে।

সংকট এখনও কেটে যায়নি উলে­খ করে তিনি পরামর্শ দিলেন, বাসাবাড়ি সহ কর্মস্থলে স্ব স্ব উদ্যোগে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেয়ার।

নিউজটি শেয়ার করুন

সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৩৭৪ জন

একাধিকবার ডেঙ্গু আক্রান্তদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি

আপডেট সময় : ১০:৫২:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বর্ষা পেরিয়ে শরৎ এলেও কমেনি ডেঙ্গুর প্রকোপ। জনস্বাস্থ্যবিদদের আশংকাই সত্যি হয়েছে। সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু আগের তুলনায় বেড়েছে। এ মাসে মারা গেছে ৩৭৪ জন আর আক্রান্ত ৭৫ হাজারের বেশি। এমন অবস্থা আগামী মাসেও চলমান থাকবে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। তারা বলছেন, যারা একাধিকবার ডেঙ্গুর ভিন্ন ধরণের ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি। এডিস মশা নিধনে এ পর্যন্ত যে সমস্ত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সমস্বয়ের অভাব এবং কার্যকরী উদ্যোগ কম বলেও মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।

২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। এ বছর এরইমধ্যে ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ছুঁই ছুঁই। বছরের শুরুর দিকে মাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ এর নিচে থাকলেও জুনে মারা যান ৩৪ জন। এরপর লাফিয়ে বাড়ে মৃত্যুর সংখ্যা। জুলাইয়ে ২০৪ জন, আগষ্টে ৩৪২ জন। আর সেপ্টেম্বরে এসে ৩৭০ জনের বেশি মারা গেছেন। মোট মৃত্যু সাড়ে ৯’শ ছাড়িয়েছে।

সব বয়সী মানুষই আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গুতে। রাজধানীসহ সারাদেশে আতংঙ্ক ছড়িয়েছে। বাড়িয়েছে উদ্বেগ।

অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় এবার মৃত্যু বেশি হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, যারা দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারের মতো ডেঙ্গুর ভিন্ন ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তারাই বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

তিনি মনে করেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যেভাবে এডিস মশার বিস্তার রোধ করা উচিত ছিলো, সেটি হয়নি। কার্যকরী উদ্যোগের তুলনায় বাহ্যিক প্রচারণাই বেশি হয়েছে।

সংকট এখনও কেটে যায়নি উলে­খ করে তিনি পরামর্শ দিলেন, বাসাবাড়ি সহ কর্মস্থলে স্ব স্ব উদ্যোগে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেয়ার।