ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বাড়াতে ইসরায়েলকে সময় বেঁধে দিল যুক্তরাষ্ট্র

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার বাড়ানোর জন্য ইসরায়েল সরকারকে ৩০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তা নাহলে ইসরায়েলকে দেওয়া মার্কিন সরকারের কিছু সামরিক সহযোগিতায় কাটছাঁট করা হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে ওয়াশিংটন।

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য ত্রাণ সরবরাহ বাড়াতে ইসরায়েলের প্রতি এই আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারকে লেখা এক চিঠিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।

রোববার (১৩ অক্টোবর) ওই চিঠিটি ইসরায়েলে পাঠানো হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের এক সাংবাদিক মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এই চিঠির বিবরণ পোস্ট করেন। এর মাধ্যমে গত বছর যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম সহায়তা বন্ধের হুমকি দিলো বাইডেন প্রশাসন।

ইসরায়েলের নিউজ ১২-এর এক সাংবাদিক প্রথম চিঠির বিষয়বস্তু এক্স-এ প্রকাশ করেন। দুটি সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সও চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানিয়েছে, ইসরায়েল এখন বাইডেন প্রশাসনের চিঠিটি পর্যালোচনা করছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ইসরায়েল বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে চিঠিতে উত্থাপিত উদ্বেগগুলো সমাধান করতে চাইছে।’

সম্প্রতি উত্তর গাজায় সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে জবরদখল। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কিছু মানবিক সহায়তার ওপর নতুন যাচাই-বাছাইয়ের নিয়ম চালু করার পর থেকে খাদ্য সরবরাহের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে এবং বাণিজ্যিক সরবরাহও কমানো হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এই চিঠি দিল। চিঠিতে মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার এবং খাদ্য, পানি ও ওষুধের প্রাপ্যতা নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, ইসরায়েলকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের মধ্যে ‘বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’ সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সহায়তা সরবরাহ সীমিত করার মাধ্যমে ‘দুর্ভোগ বাড়ানো’ বন্ধ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বাড়াতে ইসরায়েলকে সময় বেঁধে দিল যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ০১:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার বাড়ানোর জন্য ইসরায়েল সরকারকে ৩০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তা নাহলে ইসরায়েলকে দেওয়া মার্কিন সরকারের কিছু সামরিক সহযোগিতায় কাটছাঁট করা হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে ওয়াশিংটন।

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য ত্রাণ সরবরাহ বাড়াতে ইসরায়েলের প্রতি এই আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারকে লেখা এক চিঠিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।

রোববার (১৩ অক্টোবর) ওই চিঠিটি ইসরায়েলে পাঠানো হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের এক সাংবাদিক মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এই চিঠির বিবরণ পোস্ট করেন। এর মাধ্যমে গত বছর যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম সহায়তা বন্ধের হুমকি দিলো বাইডেন প্রশাসন।

ইসরায়েলের নিউজ ১২-এর এক সাংবাদিক প্রথম চিঠির বিষয়বস্তু এক্স-এ প্রকাশ করেন। দুটি সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সও চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানিয়েছে, ইসরায়েল এখন বাইডেন প্রশাসনের চিঠিটি পর্যালোচনা করছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ইসরায়েল বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে চিঠিতে উত্থাপিত উদ্বেগগুলো সমাধান করতে চাইছে।’

সম্প্রতি উত্তর গাজায় সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে জবরদখল। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কিছু মানবিক সহায়তার ওপর নতুন যাচাই-বাছাইয়ের নিয়ম চালু করার পর থেকে খাদ্য সরবরাহের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে এবং বাণিজ্যিক সরবরাহও কমানো হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এই চিঠি দিল। চিঠিতে মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার এবং খাদ্য, পানি ও ওষুধের প্রাপ্যতা নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, ইসরায়েলকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের মধ্যে ‘বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’ সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সহায়তা সরবরাহ সীমিত করার মাধ্যমে ‘দুর্ভোগ বাড়ানো’ বন্ধ করতে হবে।