ঢাকা ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘বিদেশে চিকিৎসা ছাড়া জুলাই-আগস্টে আহতদের সুস্থ করা অসম্ভব’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৬৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় স্বৈরাচারের করা গুলি যাদের চোখে-মুখে লেগেছে, তাদের অনেকেরই বিদেশে উন্নত চিকিৎসা ব্যতীত সুস্থ করা অসম্ভব। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন পর্যাপ্ত অর্থ ও সময়। যদিও এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলাপ হচ্ছে।’

আজ (শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ড্রিমার্স কনসাল্টেশন অ্যান্ড রিসার্চের ২০০তম মেডিকেল ক্যাম্প উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আগেই উচিত ছিল দরিদ্র মানুষকে হেলথ কার্ড প্রদান করা, কিন্তু সেটা করা হয়নি। দেশের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়েও এখনো শেষ হয়নি। আমি এই পদে আসীন হওয়ার পরে আমাকে সময় দেওয়া হলো মাত্র ৮ দিন। আমি বললাম আমি এটা জানি না, আমাকে আগে জানতে হবে তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আজকে ২ মাস পেরিয়েছে, আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটা ক্যাবিনেটে দিতে পারবো বলে আশাবাদী।’

স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজানো উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নানান সমস্যায় জর্জরিত ছিল এই মন্ত্রণালয়। আজকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করতে পারলে আমাদের হাসপাতালে আসতে হতো না। আমরা সেটা প্রতিরোধ করতে পারিনি। স্বাস্থ্য খাত এখন এমন পর্যায়ে এসেছে যে এখন সংস্কার প্রায় অসম্ভব। এটাকে ভেঙে পুনরায় ঢেলে সাজাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে সরকারের অনেক ঘাটতি আছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে নতুন করে গড়তে হবে।’

এসময় প্রতিটি সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীর সংকট আছে বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘বিদেশে চিকিৎসা ছাড়া জুলাই-আগস্টে আহতদের সুস্থ করা অসম্ভব’

আপডেট সময় : ০৯:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় স্বৈরাচারের করা গুলি যাদের চোখে-মুখে লেগেছে, তাদের অনেকেরই বিদেশে উন্নত চিকিৎসা ব্যতীত সুস্থ করা অসম্ভব। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন পর্যাপ্ত অর্থ ও সময়। যদিও এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলাপ হচ্ছে।’

আজ (শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ড্রিমার্স কনসাল্টেশন অ্যান্ড রিসার্চের ২০০তম মেডিকেল ক্যাম্প উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আগেই উচিত ছিল দরিদ্র মানুষকে হেলথ কার্ড প্রদান করা, কিন্তু সেটা করা হয়নি। দেশের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়েও এখনো শেষ হয়নি। আমি এই পদে আসীন হওয়ার পরে আমাকে সময় দেওয়া হলো মাত্র ৮ দিন। আমি বললাম আমি এটা জানি না, আমাকে আগে জানতে হবে তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আজকে ২ মাস পেরিয়েছে, আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটা ক্যাবিনেটে দিতে পারবো বলে আশাবাদী।’

স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজানো উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নানান সমস্যায় জর্জরিত ছিল এই মন্ত্রণালয়। আজকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করতে পারলে আমাদের হাসপাতালে আসতে হতো না। আমরা সেটা প্রতিরোধ করতে পারিনি। স্বাস্থ্য খাত এখন এমন পর্যায়ে এসেছে যে এখন সংস্কার প্রায় অসম্ভব। এটাকে ভেঙে পুনরায় ঢেলে সাজাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে সরকারের অনেক ঘাটতি আছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে নতুন করে গড়তে হবে।’

এসময় প্রতিটি সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীর সংকট আছে বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।