বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সরকারি তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষাসহ ৫ নির্দেশনা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দুই উপদেষ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক বঙ্গভবনের সামনে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, দুইজন গুলিবিদ্ধ রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা পাবনায় মশাল মিছিল রাষ্ট্রপতির পদত্যাগে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম: সরকারের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, বুধবার থেকে কার্যকর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৩৯ পুলিশ সদর দপ্তরে শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জামায়াতে আমিরের সঙ্গে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ ২০২৪–২৫ অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ৪.৫% প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মুশফিকের ৬ হাজার রান বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ওয়ানডে দল ঘোষণা অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবী রূপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে: মাহমুদুর রহমান পূর্ণিমার ভিসা জটিলতায় শাকিবের মেগা ইভেন্ট স্থগিত পুলিশের ২৫২ এসআইকে অব্যাহতিতে রাজনৈতিক কারণ নেই ৩৬৯ দিন পর মাঠে ফিরলেন নেইমার আজারবাইজানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধান উপদেষ্টার সাগরে নিম্নচাপ, নতুন বার্তা দিলো আবহাওয়া অফিস সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধন চায় রাজনৈতিক দলগুলো

ভারতকে ভালোবাসি, আমাকে থাকতে দিন: তসলিমা নাসরিন

অনলাইন ডেস্ক / ১১ জন দেখেছেন
আপডেট : বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
ভারতকে ভালোবাসি, আমাকে থাকতে দিন: তসলিমা নাসরিন
৭১ নিউজ বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতে থাকার অনুমতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আবেদন জানিয়েছেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। আজ সোমবার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টের মাধ্যমে এই আবেদন জানান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি ভারতে বসবাস করছি। কারণ আমি মহান এই দেশটাকে ভালোবাসি।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন ১৯৯৪ সাল থেকে বাংলাদেশের বাইরে বসবাস করছেন। বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হন তিনি। প্রতিবেদন বলছে, নারীদের সমঅধিকার ও সাম্প্রদায়িকতার ওপর লেখালেখির কারণে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন তসলিমা। এরপর নির্বাসিত হন।

এক্সের পোস্টে তসলিমা লেখেন, ‘প্রিয় অমিত শাহজি, নমস্কার। আমি ভারতে বসবাস করছি। কারণ আমি মহান এই দেশটাকে ভালোবাসি। গত ২০ বছর ধরে এটি আমার দ্বিতীয় বাড়ি। কিন্তু ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২২ জুলাইয়ের পর থেকে আমার বসবাসের অনুমতি আর বাড়াচ্ছে না। আমি এ নিয়ে খুব চিন্তিত। আপনি যদি আমাকে থাকতে দেন, আমি খুব কৃতজ্ঞ হবো। শুভকামনা রইল।’

আপাতত দিল্লিতে বসবাস করছেন তসলিমা। ১৯৯৪ সালে দেশ ছাড়তে হয়েছিল তসলিমাকে। ইসলাম বিরোধী লেখালেখির জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হয়েছিল। এরপর দীর্ঘদিন ইউরোপ-আমেরিকায় থাকার পর ভারতে ঠাঁই হয় তাঁর।

২০০৪ সাল থেকে টানা তিন বছর পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন তসলিমা। এরপর লেখা বই ‘দ্বিখণ্ডিত’ নিষিদ্ধ হওয়ার পর হুমকির মুখে পড়ে কলকাতা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

কলকাতা ছাড়ার পর বেশ কয়েক বছর জয়পুরে ছিলেন তসলিমা, পরে দিল্লির বাসিন্দা হন। রেসিডেন্ট পারমিট দীর্ঘ সময় ধরে পুনর্নবায়ন হলেও সম্প্রতি আটকে গেছে। ভারত-বাংলাদেশে কূটনীতিক সম্পর্ক খানিকটা নড়বড়ে। এর জেরেই কি আটকে গেছে তসলিমার পারমিট?

লেখিকা অবশ্য তেমনটা মানতে রাজি নন। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে তাঁর যোগ নেই। তিনি সুইডিশ নাগরিক হিসেবে ভারতে থাকেন। এর আগে ২০১৭ সালে একবার প্রযুক্তিগত ক্রুটির কারণে তসলিমার রেসিডেন্ট পারমিট নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তবে তা পরে ঠিক করা হয়।

তসলিমা নাসরিনের লেখা বই ‘লজ্জা’ (১৯৯৩), ‘আমার মেয়েবেলা’ (১৯৯৮) বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্য সংবাদ