ঢাকা ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ২ মাসেও গতি নেই প্রশাসনে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দুইমাস পরও গতি নেই প্রশাসনে। শৃঙ্খলা ফেরাতে নানা পদে ব্যাপক রদবদল হলেও, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে সচিব নেই। পাঁচটি বিভাগ চলছে সচিব ছাড়াই। এ ছাড়া ঢাকা, রংপুর বিভাগে কমিশনার এবং আটটি জেলায় ডিসি নেই। স্থবিরতা কাটাতে শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণ এবং কর্মকর্তাদের কাজের লক্ষ্য ও সময় বেঁধে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

সচিবালয়ে প্রতিদিনই নিয়মমাফিক ঢুকছেন কর্মকর্তারা। রুটিনমাফিক কর্মঘণ্টা পূর্ণ করে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। অনেক মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের নেই কাজ।

নৌ পরিবহন, তথ্য, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে বর্তমানে কোনো সচিব নেই। পরিকল্পনা বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইন বিভাগ, সংস্কৃতি, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিভাগ চলছে সচিব ছাড়াই।

একই অবস্থা মাঠ প্রশাসনেও। জেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি। নজরদারির অভাবে লাগামহীন বাজার ব্যবস্থাপনা। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে প্রশাসনে নতুন নিয়োগের হুঁশিয়ারি দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

উপদেষ্টা আসিফ বলেন, প্রশাসনে অসহযোগিতার কারণে সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রয়োজন হলে সিস্টেম ভেঙে দিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে সরকার কোনো ছাড় দেবে না।

মাঠ প্রশাসনে ঢাকা ও রংপুর বিভাগে কমিশনার এবং আটটি জেলায় ডিসি নেই। এ অবস্থায় প্রশাসনে স্থবিরতা কাটাতে, দায়িত্বশীলদের কাজের সময়সীমা ও লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সাবেক অতিরিক্ত সচিব আ ক ম সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দুই মাস পার হয়ে গেলেও এ সরকার প্রশাসনে তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। টার্গেট নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী কাজ করলে অগ্রগতি চোখে পড়ত।

সরকার ও আমলাদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস তৈরিতে জোর দিচ্ছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ। সেই সঙ্গে দল নিরপেক্ষ থেকে সেবার মানসিকতা গড়ারও তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।

নতুন করে প্রশাসন সাজাতে এবং কাজে গতি আনতে, সচিব, কমিশনার ও ডিসির শূন্য পদগুলো পূরণ করতে হবে। সে জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ অধ্যাপক মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান বলেন, এখন প্রশাসনকে গতিশীল করতে হলে পারস্পরিক বিশ্বাসের জায়গাটা আরও অনেক মজবুত করতে হবে। এই জায়গাটা শক্ত করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যেহেতু জনসেবা নিশ্চিত করাই জনসেবার মূল উপাদান সেহেতু দুই পক্ষকেই সমানতালে কাজ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ২ মাসেও গতি নেই প্রশাসনে

আপডেট সময় : ০১:৪৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দুইমাস পরও গতি নেই প্রশাসনে। শৃঙ্খলা ফেরাতে নানা পদে ব্যাপক রদবদল হলেও, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে সচিব নেই। পাঁচটি বিভাগ চলছে সচিব ছাড়াই। এ ছাড়া ঢাকা, রংপুর বিভাগে কমিশনার এবং আটটি জেলায় ডিসি নেই। স্থবিরতা কাটাতে শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণ এবং কর্মকর্তাদের কাজের লক্ষ্য ও সময় বেঁধে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

সচিবালয়ে প্রতিদিনই নিয়মমাফিক ঢুকছেন কর্মকর্তারা। রুটিনমাফিক কর্মঘণ্টা পূর্ণ করে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। অনেক মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের নেই কাজ।

নৌ পরিবহন, তথ্য, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে বর্তমানে কোনো সচিব নেই। পরিকল্পনা বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইন বিভাগ, সংস্কৃতি, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিভাগ চলছে সচিব ছাড়াই।

একই অবস্থা মাঠ প্রশাসনেও। জেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি। নজরদারির অভাবে লাগামহীন বাজার ব্যবস্থাপনা। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে প্রশাসনে নতুন নিয়োগের হুঁশিয়ারি দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

উপদেষ্টা আসিফ বলেন, প্রশাসনে অসহযোগিতার কারণে সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রয়োজন হলে সিস্টেম ভেঙে দিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে সরকার কোনো ছাড় দেবে না।

মাঠ প্রশাসনে ঢাকা ও রংপুর বিভাগে কমিশনার এবং আটটি জেলায় ডিসি নেই। এ অবস্থায় প্রশাসনে স্থবিরতা কাটাতে, দায়িত্বশীলদের কাজের সময়সীমা ও লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সাবেক অতিরিক্ত সচিব আ ক ম সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দুই মাস পার হয়ে গেলেও এ সরকার প্রশাসনে তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। টার্গেট নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী কাজ করলে অগ্রগতি চোখে পড়ত।

সরকার ও আমলাদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস তৈরিতে জোর দিচ্ছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ। সেই সঙ্গে দল নিরপেক্ষ থেকে সেবার মানসিকতা গড়ারও তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।

নতুন করে প্রশাসন সাজাতে এবং কাজে গতি আনতে, সচিব, কমিশনার ও ডিসির শূন্য পদগুলো পূরণ করতে হবে। সে জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ অধ্যাপক মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান বলেন, এখন প্রশাসনকে গতিশীল করতে হলে পারস্পরিক বিশ্বাসের জায়গাটা আরও অনেক মজবুত করতে হবে। এই জায়গাটা শক্ত করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যেহেতু জনসেবা নিশ্চিত করাই জনসেবার মূল উপাদান সেহেতু দুই পক্ষকেই সমানতালে কাজ করতে হবে।