মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে দেড়শ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে জাপান। শনিবার বাংলাদেশ এবং জাপান সরকারের মধ্যে এবিষয়ে চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তিতে সই করেন।

শেরেবাংলা নগরস্থ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সভা কক্ষে বাংলাদেশ সরকার এবং জাপান সরকারের মধ্যে বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ঋণচুক্তিটির আওতায় জাপান সরকার বাংলাদেশকে ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৬ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন বা দেড়শ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে। এর আগে ৬টি পর্যায়ে মোট ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫৪ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েনের ঋণচুক্তি সই হয়েছে। এ ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য।

ইআরডি জানায়, অব্যাহত বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলার মাতারবাড়ী এলাকায় ১২০০ মেগাওয়াট (৬০০ মে:ও: ২ ইউনিট) আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা (জিওবি ৬ হাজার ৪০৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা, জাইকা ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি ৩ লাখ টাকা, সিপিজিসিবিএল সংস্থা নিজস্ব এক হাজার ৫২৭ কোটি ৬৯ লাক টাকা)। প্রকল্পের মেয়াদকাল জুলাই ২০১৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৬। গত আগস্ট ২০২৩ সময় পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৭৮.৩০ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৬৫.১৪ শতাংশ। জাইকা কর্তৃক পর্যায়ক্রমে ঋণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে ৬টি পর্যায়ে মোট ৪৩ হাজার ৭৭৫ কোটি ৪০ লাখ জাপানিজ ইয়েনের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ৪৪তম ওডিএ লোন প্যাকেজ (২য় ব্যাচ)-এর আওতায় ৭ম পর্যায়ে ২১ হাজার ৭৫৫ কোটি ৬০ লাখ জাপানিজ ইয়েন প্রদান করা হবে।

দ্বি-পাক্ষিক পর্যায়ে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত জাপান সরকার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সহায়তা প্রদান করেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের সাথে সামাঞ্জস্য বজায় রেখে জাপান সরকার কর্তৃক অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পল্লী উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন এবং মানব সম্পদ উন্নয়নসহ অন্যান্য খাতের প্রকল্পে ঋণ ও বিভিন্ন প্রকার অনুদান সহায়তা হিসেবে অদ্যাবধি ৩০.৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছে।