‘বার্বাডোজের নাগরিক কীভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন’
- আপডেট সময় : ০৩:১৫:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বার্বাডোজের নাগরিক। বিদেশি নাগরিক কীভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, ‘একমাত্র বাংলাদেশেই এমন অদ্ভুত বিষয় দেখা যায়। অন্য দেশের নাগরিক হয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া যায়। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।’
বুধবার (২৩ অক্টোবর) ‘সংবর্ধনা ও সাংবাদিকতার বিকাশে জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিপন বলেন, ‘বাংলাদেশে কেউ রাষ্ট্রপতি হতে হলে তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হয়। চুপ্পু তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিক। এসব জায়গায় নাগরিক হতে হলে অনেক টাকা লাগে। এসব টাকা কীভাবে পেলেন। মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ছাড়া এসব টাকা নেওয়া সম্ভব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি তিনি বার্বাডোজের নাগরিক হয়েছেন। এটা মনে হয় শুধু বাংলাদেশেই হয়। অন্য দেশের নাগরিক এ দেশের রাষ্ট্রপতি হয়। চুপ্পু সাহেব দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে কেন বানানো হয়েছিল, কারণ পদ্মা সেতুতে একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে। এটা ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মনে করে, আমরাও মনে করি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যখন তদন্তে আসে, এটা জেনেই শেখ হাসিনা চুপ্পুকে ওখানে বসিয়ে দিলেন। এরপর সেই মেয়াদ শেষ হলে ওনাকে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করলেন। এরপর সবাই আশ্চর্য হয়ে গেলেন। উনি নাকি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। এটা কিন্তু কেউ জানেন না। ওবায়দুল কাদেরও জানতেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই যে না জানা, এটা একটা সিন্ডিকেট। বিচার বিভাগ, পুলিশ সব জায়গাতেই তারা একটা সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলেন। যাতে তারা ভিন্নমত দমন করতে পারে।’
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন যে কোনো সময় পদত্যাগ করবেন। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। তাঁর রাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্যতা নেই। তিনি আপাদমস্তক একটা দুর্নীতিবাজ লোক।’
রিপন বলেন, ‘একটা ডামি সরকার পদত্যাগ করবে কি করবে না, এটা নিয়ে এত আলোচনার কি আছে। উনি (শেখ হাসিনা) তো মানুষের ভোটে নির্বাচিত হননি। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ওনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন বলেই উনি পদত্যাগ করেছেন। উনি তো মানুষের ভোটে নির্বাচিত ছিলেন না। তাই উনি পদত্যাগ করলেন কি করলেন না, সেটা নিয়ে আলোচনার কিছু নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানকে পেছনে রেখে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তাঁকে পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়ছিল। সেখানে হয়তো এটাই লেখা ছিল যে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তাই তিনি দিয়েছেন। এখন আড়াই মাস পর এসে বলেন পদত্যাগপত্র পাননি তিনি। এর মধ্যে কোনো উদ্দেশ্য আছে।’