ইউক্যালিপটাস-আকাশমনি গাছ লাগানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
পদ্মা-যমুনা সহ বিভিন্ন নদীর ১৯০০ কিলোমিটারে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫২টি মিঠা পানির ডলফিন-শুশুক পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ উপেদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওতে বন ভবনে আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য দেন।
বন ও পরিবেশ উপেদেষ্টা বলেন, প্রতি জেলায় ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে অন্তত একটি নদীকে যেনো দূষণমুক্ত করা হয়; না হলে প্রাকৃতিক সম্পদগুলো হারিয়ে ফেলতে পারে বাংলাদেশ।
নেতিবাচক আচরণ থেকে সরে এসে সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, বনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। যে বনে যে প্রজাতির গাছ, সে প্রজাতি দিয়েই বন বাড়াতে হবে। প্রাকৃতিক বনে আগ্রাসী ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ লাগানো যাবে না। প্রটেকশন ও কনজারভেশন কী জিনিস, সেটি আত্মস্থ করে কাজ করতে হবে।
এ ছাড়াও প্রায় ১ হাজার ৯০০ কিমি এলাকাজুড়ে নদীর সমীক্ষায় ১ হাজার ৩৫২টি ডলফিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে উল্লেখ করে এর পরিমাণ আরও বাড়ানোর তাগিদ দেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, মিঠাপানিতে ডলফিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে, তাতেই বুঝা যাবে নদী দূষণমুক্ত। প্রত্যেক ডিসিকে বলা হয়েছে, তার এলাকার অন্তত একটি নদী দূষণমুক্ত ও দখলমুক্ত করতে কী করা যায়, তার কর্মপরিকল্পনা দিতে।
সরকার বনকর্মীদের ঝুঁকিভাতা দেওয়ার চিন্তা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বনকর্মীদের ঝুঁকিভাতা দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের আগ্রহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে করে বনবিভাগের কাজের গতি বাড়ে। এতে কেউ বনায়ন ধ্বংসের চেষ্টা করলে বনকর্মীরা উদ্যোমী হয়ে প্রতিহত করবে।