কৃষকের শাক-সবজি ছাড়াই সবজি স্পেশাল ট্রেনের যাত্রা
- আপডেট সময় : ১০:০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
পঞ্চগড় থেকে কৃষকের শাক-সবজি ছাড়াই ছাড়লো সবজি স্পেশাল ট্রেন। প্রথমবারের মতো এ যাত্রা শুরু হলেও ট্রেনে পণ্য পরিবহণে মিলছে না ব্যবসায়ীদের সাড়া । তাদের দাবি, ভাড়া কম হলেও কুলি ও অন্যান্য খরচ মিলে সড়কপথের চেয়ে ট্রেনে খরচ বেশি পড়ছে। তাই প্রথমদিনে পঞ্চগড় থেকে পণ্য ছাড়াই ছেড়েছে বিশেষ এই ট্রেন।
বাজার নিয়ন্ত্রণ ও স্বল্প খরচে কৃষিপণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে পঞ্চগড়ে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে সবজি স্পেশাল ট্রেন। তবে, ব্যবসায়ীরা সাড়া না দেয়ায় দেশের সর্ব উত্তরের এই স্টেশন থেকে কোন পণ্য ছাড়াই শীতাতপসহ ৫টি কোচ নিয়ে আজ (২৪ অক্টোবর) সকাল ৭টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেন।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন জানান, সবজির ট্রেন চলে গেছে কিন্তু ট্রেনে কোনো মালামাল যায় নাই। ফাঁকাই চলে গেল।
আরও একজন জানান, ট্রেনটা বিকাল ৪টা বা পাঁচটার দিকে যদি যেত তাহলে কিছু মাল দিতে পারতো। কারণ মালটা খেত থেকে আনতে সময় লাগবে।
পঞ্চগড় থেকে ঢাকা কৃষি পণ্য পরিবহণের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ টাকা ৫৬ পয়সা। তবে, কৃষক ও ব্যবসায়ীদের দাবি প্রতি কেজি পণ্য পরিবহণ করতে ভাড়ার পাশাপাশি কুলি খরচ, ফসলের মাঠ থেকে স্টেশন ও স্টেশন থেকে মোকামের আলাদা পরিবহণ খরচ সবমিলিয়ে পড়ছে ৩ টাকার বেশি। অথচ সড়ক পথে কেজিতে খরচ হয় দুই থেকে আড়াই টাকা।
কৃষকদের মধ্যে একজন জানান, ট্রাকে পাঠাইলে আমরা যে স্থানে পাঠাতে চাই সেই স্থানেই যেতে পারে। এখানে ১ টাকা বা সর্বোচ্চ ২ টাকা খরচ পড়ে। আর ট্রেনে কুলি খরচ, যানবাহন খরচ, যেখানে সেখানে নামাতে পারে না এছাড়েও খরচ পড়বে ৩-৪ টাকা।
তবে ট্রেনে কৃষিপণ্য পরিবহনে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
রেলের চালক বলেন, ‘আজকেই পঞ্চগড় থেকে প্রথম যাত্রা শুরু করছে। এটা চলমান থাকবে এবং কৃষক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তারা যেন কৃষিপণ্য পরিবহনে এই ট্রেনটি ব্যবহার করে।’
পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘আমরা কৃষকদের আস্তত্ব করেছি তাদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা প্রদান করবো। ১ টাকা ৫৬ পয়সা ভাড়া দিয়ে তাদের আমরা লোডিংয়ের ব্যবস্থা করবো।’
পঞ্চগড় থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার কৃষিপণ্য নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা এই স্পেশাল ট্রেনের। তবে, কৃষক ও ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করা না গেলে এই সেবা কতদিন চালু থাকবে এ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।