১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে যেতে পারে

মার্কিন সরকার ‘অচল’ হলে বিশ্বে যে প্রভাব পড়বে

আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অর্থায়নের বিল পাস নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আইনপ্রণেতারা কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যরাত থেকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়বে। একে বলা হচ্ছে ‘শাটডাউন’। আমেরিকার সরকার অচল হয়ে পড়লে বিশ্বেও এর প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

রোববার থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হচ্ছে আমেরিকায়। শনিবারও এর ব্যয় নিয়ে বিল পাস করা না গেলে শাটডাউন অবধারিত। এ পরিস্থিতিতে দেশটির অনেক কর্মীকেই কাজ করতে হবে বিনা বেতনে। এ কারণে ৪০ লাখ কেন্দ্রীয় কর্মীর বেতন-ভাতা পরিশোধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, এসব কর্মীদের অনেকেই আবার বৈদেশিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছেন। এ ছাড়া আমেরিকা এখন বৈদেশিক নীতিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশেষ করে চীনের বলয় থেকে অনেক দেশকে নিয়ে আসতে চাইছে। এ সময় এমন শাটডাউন দেশটিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেক পিছিয়ে দেবে।

বিশ্বে এই শাটডাউনের প্রভাব নিয়ে এখনো সরাসরি কিছুই বলছে না আমেরিকা। তবে দেশটি বলছে, যতদিন ফান্ড থাকবে, বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সব কার্যক্রম চলবে। এমনকি ভিসা ও পাসপোর্ট দেওয়াও বন্ধ হবে না। তবে জরুরি মনে না করলে দাপ্তরিক কিছু কাজ ও যাতায়াত বন্ধ রাখা হতে পারে।

আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। এসব সহায়তা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে। এসব প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য খাতে আমেরিকার কার্যক্রমও চলবে না।এ ব্যাপারে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এ শাটডাউনের কারণে আমাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। এটা বোঝাই যাচ্ছে। এমনকি জাতীয় নিরাপত্তায় আমরা যে কাজ করছি, সেগুলোও থমকে যেতে পারে।’ তবে নিজেদের ফান্ডে যে অর্থ আছে, তা দিয়েই এসব কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানান ব্লিঙ্কেন।

এই সংকট দেখা দিলেও আমেরিকার সামরিক বাহিনীর ২০ লাখ কর্মীকে কাজে বহাল রাখা হবে। তবে পেন্টাগনের ৪ লাখ সেনাকে চাকরি ছাড়তে বলা হবে। পেন্টাগনের বাকি ৪ লাখ কর্মীকে বিনা বেতনে রাখা হবে। শাটডাউনের আগে যেসব নিরাপত্তা সরঞ্জাম অর্ডার করা হয়েছিল, তা যথাসময়ে পাওয়া যাবে। কিন্তু নতুন করে কিছু কেনা যাবে না।

তবে ইউক্রেনের জন্য খবরটা দুঃসংবাদই বলা যেতে পারে। দেশটি অস্ত্র পাবে না। এ ছাড়া যেসব দেশে আমেরিকার সামরিক সহায়তা রয়েছে, সেখানেও কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

ফিন্যান্সম্যাগনেট নামের সাইপ্রাসভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, এভাবে শাটডাউন হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা আমেরিকায় বিনিয়োগ কমিয়ে দিতে পারেন। এ কারণে দেশটির শেয়ারবাজার থমকে যেতে পারে। মন্দার শঙ্কা আগেই ছিল, এটি দেখা দিতে পারে।

আমেরিকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম কমে যাওয়া মানে বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে যাওয়া। এ কারণে বাণিজ্যে ঘাটতি দেখা দেবে। ফিন্যান্সম্যাগনেটের প্রতিবেদন বলছে, জ্বালানির দাম অনেক বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া কৃষিপণ্যেও থাকতে পারে মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কা।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে যেতে পারে

মার্কিন সরকার ‘অচল’ হলে বিশ্বে যে প্রভাব পড়বে

আপডেট : ০১:৪৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অর্থায়নের বিল পাস নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আইনপ্রণেতারা কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যরাত থেকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়বে। একে বলা হচ্ছে ‘শাটডাউন’। আমেরিকার সরকার অচল হয়ে পড়লে বিশ্বেও এর প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

রোববার থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হচ্ছে আমেরিকায়। শনিবারও এর ব্যয় নিয়ে বিল পাস করা না গেলে শাটডাউন অবধারিত। এ পরিস্থিতিতে দেশটির অনেক কর্মীকেই কাজ করতে হবে বিনা বেতনে। এ কারণে ৪০ লাখ কেন্দ্রীয় কর্মীর বেতন-ভাতা পরিশোধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, এসব কর্মীদের অনেকেই আবার বৈদেশিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছেন। এ ছাড়া আমেরিকা এখন বৈদেশিক নীতিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশেষ করে চীনের বলয় থেকে অনেক দেশকে নিয়ে আসতে চাইছে। এ সময় এমন শাটডাউন দেশটিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেক পিছিয়ে দেবে।

বিশ্বে এই শাটডাউনের প্রভাব নিয়ে এখনো সরাসরি কিছুই বলছে না আমেরিকা। তবে দেশটি বলছে, যতদিন ফান্ড থাকবে, বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সব কার্যক্রম চলবে। এমনকি ভিসা ও পাসপোর্ট দেওয়াও বন্ধ হবে না। তবে জরুরি মনে না করলে দাপ্তরিক কিছু কাজ ও যাতায়াত বন্ধ রাখা হতে পারে।

আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। এসব সহায়তা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে। এসব প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য খাতে আমেরিকার কার্যক্রমও চলবে না।এ ব্যাপারে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এ শাটডাউনের কারণে আমাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। এটা বোঝাই যাচ্ছে। এমনকি জাতীয় নিরাপত্তায় আমরা যে কাজ করছি, সেগুলোও থমকে যেতে পারে।’ তবে নিজেদের ফান্ডে যে অর্থ আছে, তা দিয়েই এসব কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানান ব্লিঙ্কেন।

এই সংকট দেখা দিলেও আমেরিকার সামরিক বাহিনীর ২০ লাখ কর্মীকে কাজে বহাল রাখা হবে। তবে পেন্টাগনের ৪ লাখ সেনাকে চাকরি ছাড়তে বলা হবে। পেন্টাগনের বাকি ৪ লাখ কর্মীকে বিনা বেতনে রাখা হবে। শাটডাউনের আগে যেসব নিরাপত্তা সরঞ্জাম অর্ডার করা হয়েছিল, তা যথাসময়ে পাওয়া যাবে। কিন্তু নতুন করে কিছু কেনা যাবে না।

তবে ইউক্রেনের জন্য খবরটা দুঃসংবাদই বলা যেতে পারে। দেশটি অস্ত্র পাবে না। এ ছাড়া যেসব দেশে আমেরিকার সামরিক সহায়তা রয়েছে, সেখানেও কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

ফিন্যান্সম্যাগনেট নামের সাইপ্রাসভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, এভাবে শাটডাউন হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা আমেরিকায় বিনিয়োগ কমিয়ে দিতে পারেন। এ কারণে দেশটির শেয়ারবাজার থমকে যেতে পারে। মন্দার শঙ্কা আগেই ছিল, এটি দেখা দিতে পারে।

আমেরিকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম কমে যাওয়া মানে বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে যাওয়া। এ কারণে বাণিজ্যে ঘাটতি দেখা দেবে। ফিন্যান্সম্যাগনেটের প্রতিবেদন বলছে, জ্বালানির দাম অনেক বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া কৃষিপণ্যেও থাকতে পারে মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কা।