বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মেরামতে উদ্যোগী যুক্তরাষ্ট্র
- আপডেট সময় : ০১:৪৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়। আর এখন তা চূড়ান্ত পর্যায়ে। বাংলাদেশ-ভারতের ভঙ্গুর সম্পর্ক মেরামতে উদ্যোগী হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পুরনো দুই বন্ধুর মধ্যে টানাপড়েনের সুযোগে চীন বা পাকিস্তান কোনো গেম প্ল্যান করতে না পারে এজন্য তৎপরতা শুরু করেছে দেশটি।
হাসিনার প্রতি ভারতের সমর্থন এখনও বিদ্যমান। হাসিনার আমলে ঘটে যাওয়া সব অনিয়ম-দুর্নীতির পরেও ভারত শেষ পর্যন্ত তার পক্ষেই থেকেছে। আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় রাখতে গিয়ে গোটা বাংলাদেশকে হারানোর ঝুঁকি নিতেও কুণ্ঠাবোধ করেনি ভারতের নেতৃত্ব।
বিগত সরকার পতনের পর বাংলাদেশ-ভারত উভয় সরকারের বক্তৃতা-বিবৃতিতে এসেছে নাটকীয় পরিবর্তন। সরকারি চিঠিপত্রে শক্ত ভাষার ব্যবহার বাড়ছে। এ সবই দু’দেশের সম্পর্ক তিক্ততার চরমে পৌঁছার ইঙ্গিত। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের বক্তব্যও ভালোভাবে নিচ্ছে না ভারত। বর্তমানে নিরাপত্তার অজুহাতে ঢাকায় ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম শিথিল রাখা হয়েছে।
এমন অবস্থায়ত সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের নতুন সরকারের প্রতি তাদের সমর্থনে কোনো রাখঢাক নেই। ৩৬ জুলাই’র পট পরিবর্তনে ওয়াশিংটনের ভূমিকা থাকতে পারে বলে অনেকে বিশ্বাস করেন। যদিও এটা আরো বিচার-বিশ্লেষণের দাবি রাখে। ওয়াশিংটন তার অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছে। বলেছে, বাইরের শক্তি নয়, দেশের মানুষই বুকের তাজা রক্ত ঢেলে সরকার পরিবর্তন করেছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। নতুন বাংলাদেশে কী ঘটছে তাতে ভারতের উদ্বেগেরও শেষ নেই। প্রতিটি ঘটনা পর্যবেক্ষন করছে তারা। স্ট্র্যাটেজিক বন্ধু ভারতকে হারাতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশকেও পাশে চায় তারা। বাইডেন প্রশাসন পুরো বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই সামনে অগ্রসর হচ্ছে। আর এই সম্পর্ক মেরামতে দৃশ্যপটে দক্ষিণ এশিয়ায় বহুল আলোচিত মার্কিন কূটনীতিক ডোনাল্ড লু।
সূত্র বলছে, ডোনাল্ড লু’র বার্তা বিনিময়ের কারণেই জাতিসংঘ অধিবেশনের সাইড লাইনে বসেছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যেন আর অবনতি না ঘটে বরং এটি দিনে দিনে স্বাভাবিক এবং উন্নত হয়, সেই চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে ‘শেখ হাসিনা’ এখন বড় ইস্যু। এখন পর্যন্ত ঢাকা-দিল্লি যেসব বৈঠক হয়েছে তার কোথাও শেখ হাসিনার স্ট্যাটাস বা অবস্থান নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। দু’পক্ষই বিষয়টি সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে ইস্যু যাই থাক, সম্পর্কের স্বার্থে যেনো তা যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া যায়। এটাই উভয় দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা।