অক্টোবরের ২৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৩ হাজার কোটি টাকা
- আপডেট সময় : ০৯:৩২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে বৈধপথে প্রায় ১৯৫ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। দেশিয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে যার পরিমাণ ২৩ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। আজ (রোববার, ২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য থেকে এটি জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। এছাড়া অক্টোবর মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৪ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ লাখ হাজার মার্কিন ডলার।
আলোচিত সময়ে ৯ ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা। ব্যাংকগুলো হলো রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক, আর বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
অপরদিকে চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।
জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের পাঁচ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ৬৯৭ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৫২৩ কোটি ডলার। সবশেষ সেপ্টেম্বর মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪০ কোটি ডলারের বেশি।
এর আগে ব্যাংকিং চ্যানেলে সেপ্টেম্বর মাসে ২.৪০ বিলিয়ন (২৪০ কোটি ৪৮ লাখ) ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশিয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৮ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যা গত চার বছরের মধ্যে একক মাসে প্রবাসী আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
একক মাস হিসেবে গত বছরের তুলনায় এ বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৮০.২ শতাংশ। গত বছরের সেপ্টেম্বরের রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার। তার আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৪ কোটি ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬৩ কোটি ৮৩ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৬৫ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬২ লাখ মার্কিন ডলার।