ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রায় ১৪ মাস পর কালুরঘাট রেলসেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রায় ১৪ মাস সংস্কারকাজ শেষে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত কালুরঘাট রেলসেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। শুরুতেই রেলওয়ে কোনো টোল রাখছে না । আজ (রোববার, ২৭ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় খুলে দেওয়া হয় কালুরঘাট সেতুটি।

বর্তমানে সর্বোচ্চ ৮ ফুট উচ্চতার সব ধরনের যানবাহন এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে ভারি যান চলাচল করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দীর্ঘ ১৪ মাস সেতুটির সংস্কার কাজ চলায় নগরে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতে হয়েছে ফেরি। এসময় এ পথের যাত্রীদের পোহাতে হয় ভোগান্তি আর দুর্ভোগ।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, জরাজীর্ণ এ সেতুর সংস্কারকাজ ২০২৩ সালের ১ আগস্ট শুরু হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড প্রায় ১৪ মাস ধরে সংস্কারকাজ করে। সংস্কারকাজ শুরুর তিন মাসের মধ্যেই ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের সেতুটি উপযোগী করে তোলা হয়।

১৯৩০ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে কর্ণফুলী নদীর ওপর স্থানীয়ভাবে ‘কালুরঘাটের পোল’ নামে পরিচিত এ কালুরঘাট সেতু নির্মিত হয়। সেতুটির বয়স এখন প্রায় ৯৫ বছর।

এ সেতুর ওপর দিয়ে ১৯৫৮ সাল থেকে ট্রেনের পাশাপাশি চলাচল করে যানবাহন। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের পর কালুরঘাট সেতুর বিকল্প হিসেবে নতুন সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

কিন্তু নানা জটিলতায় নতুন সেতু নির্মাণকাজ বিলম্বিত হওয়ায় বিদ্যমান সেতুটি সংস্কারের মাধ্যমে সংকট নিরসনের চেষ্টা করছে রেলওয়ে। প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বুয়েট প্রকৌশলীদের পরামর্শে এটি সংস্কার করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রায় ১৪ মাস পর কালুরঘাট রেলসেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু

আপডেট সময় : ১০:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

প্রায় ১৪ মাস সংস্কারকাজ শেষে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত কালুরঘাট রেলসেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। শুরুতেই রেলওয়ে কোনো টোল রাখছে না । আজ (রোববার, ২৭ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় খুলে দেওয়া হয় কালুরঘাট সেতুটি।

বর্তমানে সর্বোচ্চ ৮ ফুট উচ্চতার সব ধরনের যানবাহন এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে ভারি যান চলাচল করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দীর্ঘ ১৪ মাস সেতুটির সংস্কার কাজ চলায় নগরে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতে হয়েছে ফেরি। এসময় এ পথের যাত্রীদের পোহাতে হয় ভোগান্তি আর দুর্ভোগ।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, জরাজীর্ণ এ সেতুর সংস্কারকাজ ২০২৩ সালের ১ আগস্ট শুরু হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড প্রায় ১৪ মাস ধরে সংস্কারকাজ করে। সংস্কারকাজ শুরুর তিন মাসের মধ্যেই ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের সেতুটি উপযোগী করে তোলা হয়।

১৯৩০ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে কর্ণফুলী নদীর ওপর স্থানীয়ভাবে ‘কালুরঘাটের পোল’ নামে পরিচিত এ কালুরঘাট সেতু নির্মিত হয়। সেতুটির বয়স এখন প্রায় ৯৫ বছর।

এ সেতুর ওপর দিয়ে ১৯৫৮ সাল থেকে ট্রেনের পাশাপাশি চলাচল করে যানবাহন। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের পর কালুরঘাট সেতুর বিকল্প হিসেবে নতুন সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

কিন্তু নানা জটিলতায় নতুন সেতু নির্মাণকাজ বিলম্বিত হওয়ায় বিদ্যমান সেতুটি সংস্কারের মাধ্যমে সংকট নিরসনের চেষ্টা করছে রেলওয়ে। প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বুয়েট প্রকৌশলীদের পরামর্শে এটি সংস্কার করা হয়।