ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

১৭ বিলিয়ন ডলার লুট করেছে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার দোসর: গভর্নর

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের ব্যাংক খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লুট করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসর টাইকুন বা ধনকুবেররা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) ফিন্যান্সিয়াল টাইমস প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলোকে জোরপূর্বক দখল করতে সাহায্য করেছে ডিজিএফআই বলে জানিয়েছে আহসান এইচ মনসুর। গভর্নরের হিসেব অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো অধিগ্রহণের সময় নতুন অংশীদারদের ঋণ ও আমদানি খরচ বেশি দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুই লাখ কোটি টাকা (১৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) পাচার করা হয়েছে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটিই সবচেয়ে বড় পরিসরের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা। এরকম মাত্রার ব্যাংক ডাকাতি অন্য কোথাও হয়নি। এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা (ব্যাংকের সাবেক সিইওদের) চাপ না দিলে এরকম কিছু সম্ভব হতো না।

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গভর্নর অভিযোগ করে বলেন, ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। প্রতিদিনই তারা নিজেদের ঋণ দিচ্ছিলেন বলেও জানান গভর্নর।

নিউজটি শেয়ার করুন

১৭ বিলিয়ন ডলার লুট করেছে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার দোসর: গভর্নর

আপডেট সময় : ০৩:৩২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

দেশের ব্যাংক খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লুট করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসর টাইকুন বা ধনকুবেররা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) ফিন্যান্সিয়াল টাইমস প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলোকে জোরপূর্বক দখল করতে সাহায্য করেছে ডিজিএফআই বলে জানিয়েছে আহসান এইচ মনসুর। গভর্নরের হিসেব অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো অধিগ্রহণের সময় নতুন অংশীদারদের ঋণ ও আমদানি খরচ বেশি দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুই লাখ কোটি টাকা (১৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) পাচার করা হয়েছে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটিই সবচেয়ে বড় পরিসরের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা। এরকম মাত্রার ব্যাংক ডাকাতি অন্য কোথাও হয়নি। এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা (ব্যাংকের সাবেক সিইওদের) চাপ না দিলে এরকম কিছু সম্ভব হতো না।

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গভর্নর অভিযোগ করে বলেন, ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। প্রতিদিনই তারা নিজেদের ঋণ দিচ্ছিলেন বলেও জানান গভর্নর।