হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল
- আপডেট সময় : ০৭:২৬:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল। ঘটনাবহুল ম্যাচে দলটির একটি গোল অফসাইডে হয় বাতিল। দুই ফুটবলার দেখলেন লাল কার্ড। অন্তিম মুহূর্তে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে ২-১ গোলের হতাশার হার নিয়ে অলরেডরা মাঠ ছাড়ে।
হারের পর ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল টেবিলের চার নম্বরে আছে। ইয়ূর্গেন ক্লপের শিষ্যদের হারিয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠেছে টটেনহ্যাম। সমান পয়েন্টে থাকলেও গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় তিনে আর্সেনাল। ৭ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে ম্যানচেস্টার সিটি।
টটেনহ্যামের ঘরের মাঠে শনিবার রাতে ম্যাচের ২৬ মিনিটে কার্টিস জোন্স সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। ইয়েভেস বিসুমাকে ফাউল করার পর প্রথমে হলুদ কার্ড দেখলেও ভিএআরের সাহায্যে রেফারি সাইমন হুপার পরে লাল কার্ড বের করেন।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ক্লপ বলেন, ‘কার্টিসের ব্যাপারটা দেখলে সবাই সম্ভবত লাল কার্ড পাওয়া উচিৎ বলে মনে করে। যখন আপনি এটি টিভি রিল্পেতে ধীর গতিতে দেখবেন, তখন সেটা ভয়ঙ্কর দেখায়। তবে বাস্তব সময়ে দেখতে খারাপ দেখায় না। কার্টিস উদ্দেশ্যমূলকভাবে এমনটা করার ধারের কাছেও ছিলেন না। আমরা কাউকে লাথি মারার দল নই।’
৩৪ মিনিটের লুইস দিয়াজ বল জালে জড়ালেও অফসাইডে তা বাতিল হয়। প্রফেশনাল গেম ম্যাচ অফিসিয়ালরা পরে অবশ্য স্বীকার করেন এটি ছিল মানবিক ভুল। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্লপের ভাষ্য, ‘আমি কখনোই পাগলাটে সিদ্ধান্ত নিতে থাকা এমন খেলা দেখিনি।’
মিনিট দুয়েক পর সন হিউং মিনের গোলে লিড পায় টটেনহ্যাম। বিরতির আগে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে কোডি গ্যাকপো লক্ষ্যভেদ করে ম্যাচে সমতা টানেন।
পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ডিয়াগো জোতা ৬৮ মিনিটে দেখেন হলুদ কার্ড। পরের মিনিটেই রেফারি তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়া করলে অলরেডরা নয়জনের দলে পরিণত হয়। বিষয়টি মোটেও মানতে পারেননি ক্লপ।
‘এই খেলায় জোতা কীভাবে দুটি হলুদ কার্ড নিয়ে মাঠের বাইরে যেতে পারে? প্রথমটিতে তিনি সবেমাত্র প্রতিপক্ষের একজনকে স্পর্শ করেছিলেন এবং নিশ্চিতভাবে তার দোষ ছিল না। আপনি শেষ কবে এগারো জনের বিপক্ষে নয়জনের খেলার কথা শুনেছিলেন? আমরা আটজন নিয়ে খেলার কাছাকাছি ছিলাম! কোনো ভয়ঙ্কর ফাউল সেটা ছিল না।’
‘আর যাই হোক আমাদের খেলোয়াড়দের লাথি মারছিল না। ছেলেরা একটি দুর্দান্ত ম্যাচ তৈরি করেছিল। আমরা পাগলের মতো কঠিনভাবে লড়াই করেছি।’
রেফারির শেষ বাঁশি বাজার খানিক আগে যোগ করা সময়ের ষষ্ট মিনিটে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন জোয়েল মাতিপ। তাতেই লিভারপুলের কপাল পড়ে। দলটির কোচের কণ্ঠে তাই ছিল হতাশার সুর।
‘শেষ পর্যন্ত আমরা কিছুই পাইনি। ফলাফল আমাদের বিপক্ষে চলে গেছে। কিন্তু পারফরম্যান্স চিরকাল আমার সাথে থাকবে। আমাদের মনোভাব এবং স্বদিচ্ছাকে ভালোবাসি। মনে করবেন না আমরা এ ম্যাচ থেকে কিছুই পাইনি।’