ঢাকা ০৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মহাকাশে পৌঁছালেন চীনের সর্বকনিষ্ঠ নারী নভোচারী

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন সর্বকনিষ্ঠ নভোচারীসহ ৩ চীনা মহাকাশচারী। বুধবার ভোরে চারটা নাগাদ নিজস্ব তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছান তারা। আগামী ছয় মাস সেখানে থাকবেন। এটিকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে চীন সরকার। এই সাফল্য ২০৩০ সাল নাগাদ চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশনকে সফলকাম করবে বলে আশা চীনের।

২৯শে অক্টোবর রশনঝে ১৯ মহাকাশযানের মাধ্যমে নাভোচারীরা মহাকাশে যাত্রা শুরু করেন। চীনের গানসু প্রদেশে জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে শেনঝো-১৯ নভোযানকে মহাকাশে উৎক্ষেপন করা হয়। উৎক্ষেপনের প্রায় ৬ ঘণ্টা পর চীনের তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে শেনঝো-১৯-এর দলটি।

ছয় ঘণ্টার বেশি দীর্ঘ এক সফর শেষে তিন নভোচারী নিয়ে মহাকাশে পাড়ি জমিয়েছে চীনা এক মহাকাশযান, যার মধ্যে রয়েছেন দেশটির প্রথম নারী মহাকাশ প্রকৌশলী ওয়াং হোজ। চীনের ইতিহাসের প্রথম নারী নারী নাভোচারী হিসাবে ইতিহাস গড়লেন তিনি। মিশনে অংশ নেয়া বাকী দুই জন হলেন তাং হোংবো ও ঝাং লু নামে দুই তরুণ নভোচারী।

নভোচারীরা চীনের নিজের তৈরি একটি মহাকাশ স্টেশনকে ছয় মাসের জন্য নিজস্ব ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করবে। যেখানে তারা বিভিন্ন পরীক্ষা ও স্পেসওয়াক পরিচালনা করবেন।

এই তিন নভোচারী সেখানে গিয়ে শেনঝো-১৮ মিশনের তিনজন মহাকাশচারীর সাথে যোগ দেন। আগের তিন নভোচারী আগামী ৪ই নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

দুই বছর আগেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঘোষণা করেছিলেন, ‘বিশাল মহাজাগতিক অন্বেষণ, মহাকাশ খাতের বিকাশ ও চীনকে এ খাতের পরাশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন।’

বেইজিংয়ের লক্ষ্য, এ মিশনের অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধিমত্তা সঞ্চয় করে পরবর্তীতে ২০৩০ সাল নাগাদ চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশন সঞ্চালন করা। শেনঝু ১৯-এর এই উৎক্ষেপণকে ‘বড় সাফল্য’ বলে ঘোষণা করেছে বেইজিং। এ বছর মহাকাশ অন্বেষণের লক্ষ্যে চীনের পরিকল্পিত একশটি উৎক্ষেপণের একটি এটি, যেখানে নতুন রেকর্ড গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে দেশটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

মহাকাশে পৌঁছালেন চীনের সর্বকনিষ্ঠ নারী নভোচারী

আপডেট সময় : ১০:২৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন সর্বকনিষ্ঠ নভোচারীসহ ৩ চীনা মহাকাশচারী। বুধবার ভোরে চারটা নাগাদ নিজস্ব তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছান তারা। আগামী ছয় মাস সেখানে থাকবেন। এটিকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে চীন সরকার। এই সাফল্য ২০৩০ সাল নাগাদ চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশনকে সফলকাম করবে বলে আশা চীনের।

২৯শে অক্টোবর রশনঝে ১৯ মহাকাশযানের মাধ্যমে নাভোচারীরা মহাকাশে যাত্রা শুরু করেন। চীনের গানসু প্রদেশে জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে শেনঝো-১৯ নভোযানকে মহাকাশে উৎক্ষেপন করা হয়। উৎক্ষেপনের প্রায় ৬ ঘণ্টা পর চীনের তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে শেনঝো-১৯-এর দলটি।

ছয় ঘণ্টার বেশি দীর্ঘ এক সফর শেষে তিন নভোচারী নিয়ে মহাকাশে পাড়ি জমিয়েছে চীনা এক মহাকাশযান, যার মধ্যে রয়েছেন দেশটির প্রথম নারী মহাকাশ প্রকৌশলী ওয়াং হোজ। চীনের ইতিহাসের প্রথম নারী নারী নাভোচারী হিসাবে ইতিহাস গড়লেন তিনি। মিশনে অংশ নেয়া বাকী দুই জন হলেন তাং হোংবো ও ঝাং লু নামে দুই তরুণ নভোচারী।

নভোচারীরা চীনের নিজের তৈরি একটি মহাকাশ স্টেশনকে ছয় মাসের জন্য নিজস্ব ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করবে। যেখানে তারা বিভিন্ন পরীক্ষা ও স্পেসওয়াক পরিচালনা করবেন।

এই তিন নভোচারী সেখানে গিয়ে শেনঝো-১৮ মিশনের তিনজন মহাকাশচারীর সাথে যোগ দেন। আগের তিন নভোচারী আগামী ৪ই নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

দুই বছর আগেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঘোষণা করেছিলেন, ‘বিশাল মহাজাগতিক অন্বেষণ, মহাকাশ খাতের বিকাশ ও চীনকে এ খাতের পরাশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন।’

বেইজিংয়ের লক্ষ্য, এ মিশনের অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধিমত্তা সঞ্চয় করে পরবর্তীতে ২০৩০ সাল নাগাদ চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশন সঞ্চালন করা। শেনঝু ১৯-এর এই উৎক্ষেপণকে ‘বড় সাফল্য’ বলে ঘোষণা করেছে বেইজিং। এ বছর মহাকাশ অন্বেষণের লক্ষ্যে চীনের পরিকল্পিত একশটি উৎক্ষেপণের একটি এটি, যেখানে নতুন রেকর্ড গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে দেশটি।