ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে ইরান

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিরক্ষা খাতে ২০০ শতাংশ বরাদ্দ বাড়ানোর পরিকল্পনা ইরানের। ১০ বছরে প্রতিরক্ষায় ৩৪ শতাংশ বরাদ্দ বাড়লেও ব্যয়ের দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ তিনে নেই তেহরান। বিশ্লেষকদের ধারণা, বিপুল অর্থ ব্যবহার হতে পারে ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন তৈরির ক্ষেত্রে। পাশাপাশি দুর্বল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নও করার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইরান-ইসরাইলের পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে আঞ্চলিক যুদ্ধের শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে সামরিক খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে তেহরান। দেশটির সরকারের মুখপাত্র জানান, ৩ গুণ বা ২০০ শতাংশ পর্যন্ত সামরিক বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হবে এবারের বাজেটে।

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আইন প্রণেতারা আলোচনা করবেন আগামী মার্চ পর্যন্ত। এরপরই ঘোষণা করা হবে বাজেট। গেল কয়েকবছর ধরে সামরিক বাজেট বাড়াচ্ছে ইরান। ১০ বছরে তেহরানের প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে সামরিক খাতে বরাদ্দে বিশ্বে ২৬ তম অবস্থানে থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যে শীর্ষ তিনেও নেই ইরান। সৌদি আরব, ইসরাইল ও তুরস্কের অবস্থান ছিল শীর্ষ তিনে। তাই ভূ- রাজনীতিতে প্রভাব বাড়ানোর ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানোর বিকল্প ছিল না খামেনি প্রশাসনের হাতে।

বিপুল পরিমাণ অর্থ কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহার করবে ইরান? জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, ব্যালিস্টিক মিসাইলের রেঞ্জ ও অ্যাকিউরেসি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে এই অর্থ। এছাড়াও ড্রোনের পাশাপাশি মহাকাশ ও পরমাণু প্রোগ্রামের পরিসরও বাড়ানো হতে পারে।

চলতি বছর ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা হয়েছে দুই দফা। প্রতিবার স্পষ্ট হয়েছে পুরোনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা। বর্তমানে রাশিয়ার তৈরি এস- ৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করলেও অত্যাধুনিক এস- ৪০০ কেনার দিকে ঝুঁকতে পারে খামেনি প্রশাসন।

মধ্যপ্রাচ্যে হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুতিদের মতো প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর অর্থের মূল উৎস ইরান। বিশ্লেষকদের ধারণা, ছায়া যুদ্ধে ইসরাইলকে চাপে রাখতে প্রক্সিদের পেছনে আরো ব্যয় বাড়াতে পারে তেহরান।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে ইরান

আপডেট সময় : ০১:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রতিরক্ষা খাতে ২০০ শতাংশ বরাদ্দ বাড়ানোর পরিকল্পনা ইরানের। ১০ বছরে প্রতিরক্ষায় ৩৪ শতাংশ বরাদ্দ বাড়লেও ব্যয়ের দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ তিনে নেই তেহরান। বিশ্লেষকদের ধারণা, বিপুল অর্থ ব্যবহার হতে পারে ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন তৈরির ক্ষেত্রে। পাশাপাশি দুর্বল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নও করার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইরান-ইসরাইলের পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে আঞ্চলিক যুদ্ধের শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে সামরিক খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে তেহরান। দেশটির সরকারের মুখপাত্র জানান, ৩ গুণ বা ২০০ শতাংশ পর্যন্ত সামরিক বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হবে এবারের বাজেটে।

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আইন প্রণেতারা আলোচনা করবেন আগামী মার্চ পর্যন্ত। এরপরই ঘোষণা করা হবে বাজেট। গেল কয়েকবছর ধরে সামরিক বাজেট বাড়াচ্ছে ইরান। ১০ বছরে তেহরানের প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে সামরিক খাতে বরাদ্দে বিশ্বে ২৬ তম অবস্থানে থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যে শীর্ষ তিনেও নেই ইরান। সৌদি আরব, ইসরাইল ও তুরস্কের অবস্থান ছিল শীর্ষ তিনে। তাই ভূ- রাজনীতিতে প্রভাব বাড়ানোর ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানোর বিকল্প ছিল না খামেনি প্রশাসনের হাতে।

বিপুল পরিমাণ অর্থ কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহার করবে ইরান? জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, ব্যালিস্টিক মিসাইলের রেঞ্জ ও অ্যাকিউরেসি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে এই অর্থ। এছাড়াও ড্রোনের পাশাপাশি মহাকাশ ও পরমাণু প্রোগ্রামের পরিসরও বাড়ানো হতে পারে।

চলতি বছর ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা হয়েছে দুই দফা। প্রতিবার স্পষ্ট হয়েছে পুরোনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা। বর্তমানে রাশিয়ার তৈরি এস- ৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করলেও অত্যাধুনিক এস- ৪০০ কেনার দিকে ঝুঁকতে পারে খামেনি প্রশাসন।

মধ্যপ্রাচ্যে হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুতিদের মতো প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর অর্থের মূল উৎস ইরান। বিশ্লেষকদের ধারণা, ছায়া যুদ্ধে ইসরাইলকে চাপে রাখতে প্রক্সিদের পেছনে আরো ব্যয় বাড়াতে পারে তেহরান।