ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সঠিক পথে: আইএমএফ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ পণ্য ও সেবার দাম নিয়ন্ত্রণে সঠিক পথেই রয়েছে বলে অভিমত দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। শুক্রবার ( টোকিওতে আইএমএফের রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের জন্য এই মুহূর্তে সংকোচনশীল মুদ্রানীতি অপরিহার্য।

আইএমএফের এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, “এশিয়ার অর্থনীতি বেশ কিছু সংকট পার করেছে, এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোকে অনেক ঋণ নিতে হয়েছে। বিশ্বের মোট ঋণের ২৮ থেকে ৩৫ শতাংশ এশিয়ার। বৈশ্বিক মন্দার পর চীন ও জাপানের মতো দেশকেও বড় পরিসরে ধার করতে হয়েছে।”

বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে আইএমএফ জানায়, দেশটির অর্থনীতি একাধিক ধাক্কার মুখোমুখি হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও টানা বন্যা। এসব কারণে পণ্য সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে ২০২২ সাল থেকে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে টাকার প্রবাহে ভারসাম্য রক্ষা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য সংকোচনমূলক নীতির বিকল্প নেই বলে মনে করে আইএমএফ।

সংস্থাটির সহকারী পরিচালক থমাস হেলব্লিং বলেন, “পণ্য সরবরাহে বাধা এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধি করেছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ সংকট মোকাবিলায় যেকোনো উৎস থেকে বাজেট সহায়তা নিতে পারে।”

আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ হবে, যা আগামী বছরে আরও কমে ৪ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে আসবে। সংস্থাটি জানায়, মন্দা কাটিয়ে উঠলেও এশিয়া অঞ্চলের রফতানি ও ঋণ পরিস্থিতিতে এখনও কিছুটা চাপ রয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সঠিক পথে: আইএমএফ

আপডেট সময় : ১০:৩১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ পণ্য ও সেবার দাম নিয়ন্ত্রণে সঠিক পথেই রয়েছে বলে অভিমত দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। শুক্রবার ( টোকিওতে আইএমএফের রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের জন্য এই মুহূর্তে সংকোচনশীল মুদ্রানীতি অপরিহার্য।

আইএমএফের এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, “এশিয়ার অর্থনীতি বেশ কিছু সংকট পার করেছে, এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোকে অনেক ঋণ নিতে হয়েছে। বিশ্বের মোট ঋণের ২৮ থেকে ৩৫ শতাংশ এশিয়ার। বৈশ্বিক মন্দার পর চীন ও জাপানের মতো দেশকেও বড় পরিসরে ধার করতে হয়েছে।”

বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে আইএমএফ জানায়, দেশটির অর্থনীতি একাধিক ধাক্কার মুখোমুখি হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও টানা বন্যা। এসব কারণে পণ্য সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে ২০২২ সাল থেকে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে টাকার প্রবাহে ভারসাম্য রক্ষা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য সংকোচনমূলক নীতির বিকল্প নেই বলে মনে করে আইএমএফ।

সংস্থাটির সহকারী পরিচালক থমাস হেলব্লিং বলেন, “পণ্য সরবরাহে বাধা এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধি করেছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ সংকট মোকাবিলায় যেকোনো উৎস থেকে বাজেট সহায়তা নিতে পারে।”

আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ হবে, যা আগামী বছরে আরও কমে ৪ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে আসবে। সংস্থাটি জানায়, মন্দা কাটিয়ে উঠলেও এশিয়া অঞ্চলের রফতানি ও ঋণ পরিস্থিতিতে এখনও কিছুটা চাপ রয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।