স্বল্প আয়ের মানুষের খাদ্যতালিকায় কাটছাঁট, স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা
- আপডেট সময় : ০১:৪৩:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চাপে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ। চড়া দামের কারণে অনেকেই খাদ্যপণ্য কেনাকাটায় করছেন কাটছাঁট। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে সুষম খাদ্যের ঘাটতি। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা দেখছেন পুষ্টিবিদেরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো ও সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার তাগিদ দিচ্ছেন তারা।
মূল্যস্ফীতির কারণে কমেছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। ফলে খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছে অনেকেই। এর ধাক্কা পড়ছে খাবারে। বেশিরভাগ সবজির দাম এখনও নাগালের বাইরে। সস্তা আমিষ নামে পরিচিত ডিমের দামও বেশ চড়া। মাছ, মাংসের দামও বেশি।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে সবজির দাম কমছে না। বাজার মনিটরিং করলে দাম কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা তাদের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে যে সবজি আগে দুই কেজি কেনা হত, সেটা এখন কেনা হচ্ছে এক বা দেড় কেজি। বিক্রেতারা বলছেন, বিভিন্ন এলাকায় বন্যার কারণে আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। ৫৪ টাকার নিচে মিলছে না মোটা চালও। পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকার ওপরে। বাধ্য হয়েই ছোট করতে হচ্ছে বাজারের তালিকা।
বিক্রেতারা জানান, ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ১৮৫ টাকায়, সোনালি ২৬০ টাকা আর লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মুদি বাজারে পেঁয়াজ ১০০-১১০ আলু ৫৫ টাকা ও ডিম ৫৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, বর্তমান বাজারে ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে পড়ালেখার খরচসহ খাবারের জন্য খরচ বেড়ে গেছে অনেক। যার কারণে এখন ছেলে-মেয়েদের জন্য কেনাকাটায় অনেক কিছুই কাট করতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে খাদ্যদ্রব্য কেনাকাটায় খরচ কমাতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষম খাবার খাওয়া কমলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা থাকে শিশু ও বৃদ্ধদের।
ডায়েট ও পুষ্টিরোগ বিশেষজ্ঞ রুবাইয়া পারভীন রীতি বলেন, দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে যেহেতু মানুষ ঠিকমতো খাদ্যদ্রব্য কিনতে পারছে না, খাদ্যঘাটতি দেখা দিচ্ছে। ফলে পরিবারের সদস্যদের মাঝে দেখা দিচ্ছে পুষ্টিহীনতা। এ ক্ষেত্রে সরকারের খাদ্যদ্রব্যের দাম কমানোর দিকে সবার আগে দৃষ্টি দিতে হবে।
অপুষ্টির শঙ্কা দূর করতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), ওএমএসের মতো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।