আওয়ামী লীগের সময়ে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার ২ হাজার মানুষ
- আপডেট সময় : ১২:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন প্রায় ২ হাজার মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড হয়েছে ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, এই সময়ে নিহত ১ হাজার ২৯৩ জন। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এ বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের কঠিন শাস্তি হওয়ার দরকার। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করতে না পারে।
২০১৮ সালের ২৬ মে রাতে কক্সবাজারে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে র্যাবের ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয় টেকনাফ পৌরসভার তৎকালীন কাউন্সিলর একরামুল হককে। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের আরেক নজির ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনা। র্যাবের ১১ সদস্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর হোসেন থেকে অর্থের বিনিময়ে এই খুনে করেন।
আইন ও শালিস কেন্দ্রের তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৯২৬ জন। তবে পুলিশের বিশেষ শাখা তথ্য বলছে, এই ৭ বছরে খুন হন ১ হাজার ২৯৩ জন।
এসবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে সাত বছরে ক্রসফায়ারে নিহত ৪৭৭ জন মাদক কারবারি, ৩০০ জন ডাকাত ও ছিনতাইকারী, ১৪২ জন সন্ত্রাসী, ৮৩ জন দস্যু এবং বাকিদের দুষ্কৃতকারী, হত্যা মামলার আসামি, চরমপন্থী, বন্দুকধারী, ধর্ষক, মানব পাচারকারী এবং অপহরণকারী পরিচয়ে হত্যা করা হয়।
তবে ৫ আগস্টের পরের পুলিশ প্রশাসন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না দাবি করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
বাংলাদেশ পুলিশের মুখপাত্র ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন করি না। কেউ অপরাধ করলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।’
আধুনিক এবং সভ্য সমাজে বিচারবর্হিভূত হত্যা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এ বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পুলিশের সংস্কারে মত মানবাধিকার কর্মীদের।
মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন বলেন, ‘যারা এই কাজগুলোর সাথে যুক্ত ছিলেন, তারা তো আইনের আওতায় আসবেনই। কারণ এখন যেহেতু একটা পরিবেশ আছে, সেই কারণে আমরা মনে করি এই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়গুলো অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে।’
২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বরে র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর প্রায় বন্ধ হয়ে যায় বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ড। এরপর মাত্র ৫ জন ক্রসফায়ারে নিহত হন।