ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সংবিধানের অজুহাতে সংস্কারে দেরি কেন, রিজভীর প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান সংবিধান তো বাকশালী সংবিধান। এটি কর্তৃত্ববাদী সংবিধান। তাহলে এই সংবিধানের অজুহাত দিয়ে কেন আপনারা সংস্কার করতে দেরি করছেন?

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা তো বিপ্লবের মাধ্যমে তৈরি হওয়া একটি সরকার। এই সরকারের সবকিছু যে সংবিধান অনুযায়ী হতে হবে সেটার তো কোনো দরকার নেই। কারণ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠিত হয় সেই সরকারকে নতুন করে সবকিছু করতে হয়। যাতে গণতন্ত্রের ইনস্টিটিউশনগুলো ডেভলপ করে, সেই প্রচেষ্টার জন্য অনেক কাজ করতে হবে যেটা বর্তমান সংবিধানের মধ্যে সংবিধিবদ্ধ নয়। এটা তো শেখ হাসিনার সংবিধান। শেখ হাসিনা কাটাছেঁড়া করে এমন একটি সংবিধান তৈরি করেছে।

তিনি আরও বলেন, আপনারাতো (অন্তর্বর্তী সরকার) নিজেরাও সংবিধানের আওতায় ক্ষমতায় আসেননি, কিন্তু জনসমর্থন রয়েছে। দ্রুত গতিতে পদক্ষেপ নিতে হবে, আপনাদের কাজের গতি যদি কমে যায় তাহলে জনগণ মনে করবে আপনারা সঠিক কাজ করছেন না।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা গায়ের জোরে তার প্রভুদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য একের পর এক কাজ করেছেন। জিয়াউর রহমান সংবিধানে আল্লাহর উপর বিশ্বাস এবং আস্থা সংযুক্ত করেছিলেন, এটা কি কোনো মানুষ অস্বীকার করে? আর শেখ হাসিনা যা করেছেন সবকিছুই তো গায়ের জোরে করেছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেশকে যারা পছন্দ করেনা তারা চায়না বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী বিশ্বের একটি আধুনিক চৌকস বাহিনীতে পরিণত হোক। শেখ হাসিনা শুধুমাত্র তাদেরকে খুশি করার জন্য একের পর এক দেশবিরোধী কাজগুলো করে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে এদেশের ছাত্র জনতা এবং গণতন্ত্রকামী মানুষ বিদায় করেছে। সেই পরিস্থিতির আবার পুনরাবৃত্তি হোক এইটা তো এদেশের মানুষ চায়না।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনসহ কৃষকদলের কেন্দ্রীয় এবং তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সংবিধানের অজুহাতে সংস্কারে দেরি কেন, রিজভীর প্রশ্ন

আপডেট সময় : ০৩:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান সংবিধান তো বাকশালী সংবিধান। এটি কর্তৃত্ববাদী সংবিধান। তাহলে এই সংবিধানের অজুহাত দিয়ে কেন আপনারা সংস্কার করতে দেরি করছেন?

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা তো বিপ্লবের মাধ্যমে তৈরি হওয়া একটি সরকার। এই সরকারের সবকিছু যে সংবিধান অনুযায়ী হতে হবে সেটার তো কোনো দরকার নেই। কারণ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠিত হয় সেই সরকারকে নতুন করে সবকিছু করতে হয়। যাতে গণতন্ত্রের ইনস্টিটিউশনগুলো ডেভলপ করে, সেই প্রচেষ্টার জন্য অনেক কাজ করতে হবে যেটা বর্তমান সংবিধানের মধ্যে সংবিধিবদ্ধ নয়। এটা তো শেখ হাসিনার সংবিধান। শেখ হাসিনা কাটাছেঁড়া করে এমন একটি সংবিধান তৈরি করেছে।

তিনি আরও বলেন, আপনারাতো (অন্তর্বর্তী সরকার) নিজেরাও সংবিধানের আওতায় ক্ষমতায় আসেননি, কিন্তু জনসমর্থন রয়েছে। দ্রুত গতিতে পদক্ষেপ নিতে হবে, আপনাদের কাজের গতি যদি কমে যায় তাহলে জনগণ মনে করবে আপনারা সঠিক কাজ করছেন না।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা গায়ের জোরে তার প্রভুদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য একের পর এক কাজ করেছেন। জিয়াউর রহমান সংবিধানে আল্লাহর উপর বিশ্বাস এবং আস্থা সংযুক্ত করেছিলেন, এটা কি কোনো মানুষ অস্বীকার করে? আর শেখ হাসিনা যা করেছেন সবকিছুই তো গায়ের জোরে করেছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেশকে যারা পছন্দ করেনা তারা চায়না বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী বিশ্বের একটি আধুনিক চৌকস বাহিনীতে পরিণত হোক। শেখ হাসিনা শুধুমাত্র তাদেরকে খুশি করার জন্য একের পর এক দেশবিরোধী কাজগুলো করে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে এদেশের ছাত্র জনতা এবং গণতন্ত্রকামী মানুষ বিদায় করেছে। সেই পরিস্থিতির আবার পুনরাবৃত্তি হোক এইটা তো এদেশের মানুষ চায়না।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনসহ কৃষকদলের কেন্দ্রীয় এবং তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।