‘সাঈদ-মুগ্ধদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করবেন না’
- আপডেট সময় : ০৫:০৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, বিতর্কিত দুইজনকে উপদেষ্টা পরিষদে রেখে সাঈদ, মুগ্ধদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করবেন না। আন্দোলনে এই দুই উপদেষ্টার কোনো অবদান নেই।
আজ মঙ্গলবার সকালে (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ফোরামের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, “গত দুই দিন আগে যে দুজন উপদেষ্টাকে শপথ করানো হলো; এদেশের ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আপনাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, তারপরেও বিতর্কিত এই দুজনকে কেন উপদেষ্টা বানানো হলো? যার ভাই আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন, যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের খুনের আসামি, যাদের এই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কোনো ভূমিকা নেই, তাদেরকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করে যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন, সেই বিতর্কের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এই দুই উপদেষ্টাকে নিয়োগ দিয়ে আবু সাঈদ, মুগ্ধদের রক্তকে অবমাননা করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন মাস হয়ে গেছে। এখনো কেন দেশনায়ক তারেক রহমান এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে প্রায় ৪০ হাজার মামলা। যারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করেছে তাদের নামে মামলা দিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ। তাদের এই মামলাগুলো কেন প্রত্যাহার হচ্ছে না?”
তিনি বলেন, “নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে তারপর সংস্কার করুন। আমরা আপনাদেরকে সমর্থন দিয়েছি। আপনাদের সঙ্গে থাকব। আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হলে রাস্তায় থাকবে দেশনায়ক তারেক রহমান ও জাতীয়তাবাদী শক্তি। তাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে যে দল ক্ষমতায় আসবে তারাই মূল সংস্কার করবে।”
ফারুক বলেন, “বুকের তাজা রক্ত দিয়ে যে কারণে ৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, সেটা আবার এই বিপ্লবী সরকারের কাছে দাবি জানাতে হবে, কেন তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। আমার মনে হয়, ইতিমধ্যে দেশের জনগণ বলা শুরু করেছে এই মুহূর্তে জাতীয়তাবাদের অতন্দ্র প্রহরী দেশনায়ক তারেক রহমানকে দরকার।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “আপনাদের মনে রাখতে হবে গত ১৬ বছর দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, লুটপাট করেছে, অর্থপাচার করেছে, শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা বানিয়েছে, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে চাকরি দিয়ে বৈষম্য তৈরি করেছে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বিদেশে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো এ দেশে অবস্থান করছে। তারা এখনো বিভিন্ন দপ্তর-অধিদপ্তরে পদে বহাল আছে। তাদেরকে অপসারণ করতে হবে। তা না হলে তারা আরও বিস্তরভাবে চক্রান্ত শুরু করবে।”
গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, বিএনপির সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ, এনডিপির মহাসচিব মো. মনজুর হোসেন ঈসা, তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ডক্টর কাজী মনিরুজ্জামান, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন প্রমুখ।