ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কসমেটিকস আমদানি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশে কসমেটিকসের বাজার প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা, যার বেশিরভাগের যোগান আনুষ্ঠানিক, উৎসহীন। আবার এসবের বেশিরভাগই নকল ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা। এতে ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এছাড়া দেশিয় গহনার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় এই বাজার ছেয়ে গেছে ভারত ও চীনের ইমিটেশনের গহনায়। এসব পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করতে উদ্যোক্তা এবং শিল্পগোষ্ঠীদের এগিয়ে আসার তাগিদ অর্থনীতিবিদদের।

বিশ্বে কসমেটিকসের বর্তমান বাজার সাত ট্রিলিয়ন ডলারের। আর দেশে স্কিন কেয়ার ও কালার কসমেটিকসের মোট চাহিদা ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের মে মাসে ২০ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি আরোপের পর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কসমেটিকস পণ্যের আমদানি কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। যাতে বেড়েছে সব ধরনের প্রসাধনীর দাম। এমন অবস্থায় নকলের পাশাপাশি অবৈধভাবে আনা হচ্ছে এসব পণ্য।

বিউটিশিয়ান ও উদ্যোক্তা ইশরাত দোলা ইমা বলেন, ‘দামি দামি যে ক্রীম, শ্যাম্পু আছে সেগুলোর অনেক কপি এখন বাজারে আছে। আমাদের ক্রেতারা বিদেশি পণ্যের প্রতি বেশি ঝুঁকে গেছে।’

ময়মনসিংহ কসমেটিকস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফখর উদ্দিন বলেন, ‘কসমেটিকসের বাজার এখন একটু কম। তবে আছে। আবার শীতে একটু বেশি হয়। আমরা চাই দেশিয় পণ্যগুলো আরও প্রসারিত হোক।’

নকল কসমেটিক ও কালোবাজারি রোধে সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদের। সেই সাথে ইমিটেশনের গহনার বাজার সম্প্রসারণে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশিয় উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি শিল্প গোষ্ঠীদের এগিয়ে আসার আহ্বান তাদের।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘দেশিয় কোম্পানিগুলোও ভালো কসমেটিকস তৈরি করছে। কিন্তু তারা যদি আর একটু কোয়ালিটির দিকে নজর দেয় সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় যে বাংলাদেশের মানুষের এখন যে ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে তারা সেটা অ্যাফোর্ট করতে পারবে। সেক্ষেত্রে আমাদের ইমপোর্ট নির্ভরতা কমবে। ফরেন কারেন্সি সেভ হবে।’

নীতিগত সহায়তা ও স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় কর সুবিধা পাওয়া গেলে চাহিদা পূরণে গড়ে উঠতে পারে দেশিয় শিল্প। যার মাধ্যমে আরো ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কসমেটিকস আমদানি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

আপডেট সময় : ০২:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে কসমেটিকসের বাজার প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা, যার বেশিরভাগের যোগান আনুষ্ঠানিক, উৎসহীন। আবার এসবের বেশিরভাগই নকল ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা। এতে ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এছাড়া দেশিয় গহনার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় এই বাজার ছেয়ে গেছে ভারত ও চীনের ইমিটেশনের গহনায়। এসব পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করতে উদ্যোক্তা এবং শিল্পগোষ্ঠীদের এগিয়ে আসার তাগিদ অর্থনীতিবিদদের।

বিশ্বে কসমেটিকসের বর্তমান বাজার সাত ট্রিলিয়ন ডলারের। আর দেশে স্কিন কেয়ার ও কালার কসমেটিকসের মোট চাহিদা ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের মে মাসে ২০ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি আরোপের পর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কসমেটিকস পণ্যের আমদানি কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। যাতে বেড়েছে সব ধরনের প্রসাধনীর দাম। এমন অবস্থায় নকলের পাশাপাশি অবৈধভাবে আনা হচ্ছে এসব পণ্য।

বিউটিশিয়ান ও উদ্যোক্তা ইশরাত দোলা ইমা বলেন, ‘দামি দামি যে ক্রীম, শ্যাম্পু আছে সেগুলোর অনেক কপি এখন বাজারে আছে। আমাদের ক্রেতারা বিদেশি পণ্যের প্রতি বেশি ঝুঁকে গেছে।’

ময়মনসিংহ কসমেটিকস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফখর উদ্দিন বলেন, ‘কসমেটিকসের বাজার এখন একটু কম। তবে আছে। আবার শীতে একটু বেশি হয়। আমরা চাই দেশিয় পণ্যগুলো আরও প্রসারিত হোক।’

নকল কসমেটিক ও কালোবাজারি রোধে সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদের। সেই সাথে ইমিটেশনের গহনার বাজার সম্প্রসারণে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশিয় উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি শিল্প গোষ্ঠীদের এগিয়ে আসার আহ্বান তাদের।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘দেশিয় কোম্পানিগুলোও ভালো কসমেটিকস তৈরি করছে। কিন্তু তারা যদি আর একটু কোয়ালিটির দিকে নজর দেয় সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় যে বাংলাদেশের মানুষের এখন যে ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে তারা সেটা অ্যাফোর্ট করতে পারবে। সেক্ষেত্রে আমাদের ইমপোর্ট নির্ভরতা কমবে। ফরেন কারেন্সি সেভ হবে।’

নীতিগত সহায়তা ও স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় কর সুবিধা পাওয়া গেলে চাহিদা পূরণে গড়ে উঠতে পারে দেশিয় শিল্প। যার মাধ্যমে আরো ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।