কমেছে সবজির দাম, ক্রয়ক্ষমতার বাইরে বলছেন ক্রেতারা
- আপডেট সময় : ০২:১৩:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। তবে শীতকালীন সবজির বাজারে ঢোকায় কিছুটা কমতে শুরু করেছে দাম। তবে ক্রেতারা বলছেন, এখনও ক্ষয়ক্ষমতার বাইরে রয়েছে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও আলু। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির এমন বাড়তি দামই দেখা আছে।
রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা শসা ৮০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি সিম ১০০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ছোট সাইজের ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা এবং জলপাই ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা কেজিতে ৫০ টাকা কমে ১৫০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাটা শাক ৩০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ১৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১২০ টাকা, কাঁচা আদা ১২০ টাকা এবং পুরোনো আদা ২৮০ টাকা, রসুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, বগুড়ার আলু ১০০ টাকা এবং পুরোনো আলু ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির এমন বাড়তি দামে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা। রাজধানীর মহাখালী বাজারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী নাজমুল হক বলেন, শীত প্রায় চলেই এসেছে ঢাকার বাইরে, এই সময় এসে সবজির দাম থাকবে সবচেয়ে কম কিন্তু বাজারে উল্টো চিত্র। এখনও ১০০/৮০ টাকার নিচে বাজারে সবজি নেই। বিক্রেতারা যে যার মতো করে দাম আদায় করে নিচ্ছে। বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ কখনও দেখি না।
মালিবাগের সবজি বিক্রেতা আব্দুল মালেক বলেন, সবজির দাম বেশি থাকলে আমাদের বিক্রি কম হয়। কারণ, যেই ক্রেতা এক আইটেমের এক কেজি সবজি নিত কিন্তু দাম বাড়তির কারণে সেই ক্রেতা আধা কেজি, আড়াশ করে সবজি কিনছে। সেই কারণে পাইকারি বাজার থেকে আমরাও তুলনামূলক কম পরিমাণে সবজি আনছি খুচরা বাজারে।
সবজির দাম প্রসঙ্গে শান্তিনগর বাজারের বিক্রেতা খোরশেদ আলম বলেন, আসলে সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে বাজারে। পাইকারি বাজারে প্রতিটি পণ্য আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। শীত আসলে নতুন সবজি বাজারে উঠবে তখন দাম কমে যাবে সব ধরনের সবজির। বর্তমানে যেসব সবজি বাজারে আছে, সেগুলো মৌসুম শেষদিকের সবজি তাই কিছুটা বাড়তি দাম। নতুন করে সবজি ওঠার আগ পর্যন্ত এমন বাড়তি দাম যাবে সবজির।
গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি কক ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ২৮০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুরগির দাম কিছুটা কমলেও স্বস্তিতে নেই ভোক্তা। মুরগির দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। গরুর মাংসের মতো মুরগির দাম নির্ধারণ করা উচিত বলেও মনে করেন তারা।
গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২৩০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ১৫০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ১৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা, কুড়াল মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে ৫ কেজি সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৬ থেকে ৮০ টাকা এবং নাজিরশাল ৭৫ থেকে ৮২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, দেশের বাজারগুলোতে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সবজি দাম। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ত্রেতারা। জেলার বাজারগুলো ঘুরে আজ শুক্রবার এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
বরিশাল
বরিশালের বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। প্রতি কেজি ইলিশে বেড়েছে ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত। আর পাইকারিতে প্রতি মণ ইলিশে বেড়েছে ৩-৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। আজ শুক্রবার বরিশাল নগরীর পোর্টরোড মৎস্য আড়তে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ ১২০০, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১৬০০, এক কেজি ইলিশ ১৮৫০, দেড় কেজি ২৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের পাশাপাশি অন্যসব মাছের দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে তেলাপিয়া ১৮০-২২০, রুই ৩০০-৩৫০, কাতল ৩৮০-৪০০, চিংড়ি ৭০০-৮০০, পোমা ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সবজির দাম। এতে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে। বাজারে কাঁচামরিচ ১৪০, সিম ৯০-১০০, বেগুন ৮০, পটল ৫০, ফুলকপি ৮০-৯০, শশা ৬০, বাঁধাকপি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে বাজারে আলু কেজিতে ৫ টাকা কমে ৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও পেঁয়াজের দাম কমেনি। আমদানি করা পেঁয়াজ ১১০, দেশি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে ইলিশের দামের সঙ্গে সব মাছের দাম বেশি। সবজির দাম কমলেও তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই। তাই যেখানে উৎপাদন হচ্ছে সেখানে সরকারের মনিটরিং করা প্রয়োজন।
খুলনা
খুলনার বাজারে বৃদ্ধির পর স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও আলুর দাম। অপরদিকে সবজির দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। খুলনায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, রসুন ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে আলু ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের চেয়ে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। টমেটো ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৭০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা থেকে ৮০টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে কাঁচামরিচ কেজিতে ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কমে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়া
শীতকালীন কাঁচা শাক-সবজির আমদানি ভালো হওয়ায় আজকে বগুড়ার বাজারে দাম কমেছে। তবে, এখনও নাগালের মধ্যে আসেনি বেশির ভাগ পণ্যের দাম। জেলার বাজার ঘুরে নতুন আলু ও পেঁয়াজ দেখা গেছে। নতুন আলু ২০০ টাকা, আর পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ৪০, ফুলকপি ৬০, বাঁধাকপি ৫০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য শীতকালীন সবজির দামে কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। পুরাতন আলু ৭০ ও পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে, নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসের দাম নিয়ে এখনও অসন্তোষ ক্রেতা-সাধারণের।
ত্রেতারা বলছেন, বাজারে সুষ্ঠু মনিটরিং হচ্ছে না। দিনের পর দিন বাজারের এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দুষছেন তারা।
সিলেট
সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটের বাজারে কমেছে সবজির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এ সপ্তাহে কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে, শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা, ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। এদিকে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। কাঁচামরিচ গত সপ্তাহে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের দাম। বয়লার মুরগি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, খাসীর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে।
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। সামনে দাম আরও কমবে বলে জানান বিক্রেতেরা।
চট্টগ্রাম
গেল সপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রামের বাজারে কমেছে কিছু সবজির দাম। কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। তবে বেড়েছে দেশি মুরগির দাম। আজ শুক্রবার নগরীর নানা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গেল সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, তিতা করলা ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মূলা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কম বলছেন বিক্রেতারা। তবে এখনও বাড়তি শীতকালীন সবজির দাম।
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ ভালো থাকায় দাম ক্রমশ কমতির দিকে। কেজিতে ৫ টাকা কমে এখন ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকায়, ১০ টাকা বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। আর দেশি ৫৩০ টাকার দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়। ডজনে ৫ টাকা বেড়ে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
রাজশাহী
রাজশাহীর বাজারে কমেছে কাঁচামরিচ ও আলুর দাম। পেঁয়াজর দাম কিছুটা বাড়তি হলেও কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে অন্যান্য সবজিতে। কেজিতে ৫০ টাকা কমে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে। একইভাবে কেজিতে ৫ টাকা কমে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা। কেজি করলা ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, কচু ৭০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কমেছে মুরগির ডিমের দাম। ডজনে ২০ টাকা কমে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ টাকায়। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা এবং গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।
জেলার বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়লে পণ্যের দাম কমে এবং সরবরাহ ঘাটতি থাকলেই দাম বাড়ে এতে তাদের করার কিছু নেই।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলেন, সকল পণ্যের দাম ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করে। রাজশাহীর সবজি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আমদানি নির্ভর নয় এরপরেও দাম হাতের নাগালের বাইরে। প্রয়োজন সরকারের কঠোর নজরদারি।