ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবারাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে। শুক্রবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ভারত সরকারের জনসংযোগ বিভাগ প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতের পিআইবি জানিয়েছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান এবং নেপালের জ্বালানি, জলসম্পদ ও সেচমন্ত্রী দীপক খাড়কা উপস্থিত ছিলেন।

প্রথমবারের মতো নেপাল, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ লেনদেনের একটি মাইলফলকের সূচনা হলো বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই বিদ্যুৎ সরবরাহ আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বিদ্যুৎ খাতে সংযোগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

চলতি বছরের মে-জুনে নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহল প্রচণ্ডের ভারত সফরে বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়ে চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। পরে গত ৩ অক্টোবর ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, নেপাল প্রতি বছর ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে বাংলাদেশে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।

প্রথম ধাপে নেপাল বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬.৪ সেন্ট (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৭ টাকা)।

নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র চন্দন কুমার ঘোষ বলেন, ‌‘সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাবে তারা।‌ ‌ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালে বাংলাদেশের কাছে নেপাল মাত্র একদিন বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে। এরপর ২০২৫ সালের ১৫ জুন থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।’

বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সরাসরি বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকায় ভারতের সঞ্চালন লাইন হয়ে এই বিদ্যুৎ আসছে। তবে ভারতের গ্রিডের সঙ্গে বাংলাদেশের গ্রিডের সংযোগে খুব বেশি বাড়তি ক্যাপাসিটি না থাকায় নেপাল মাত্র ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাতে পারবে। তবে ভবিষ্যতে সঞ্চালন লাইনের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হলে নেপাল আরও বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ পাঠাতে পারবে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র চন্দন কুমার ঘোষ।

নেপাল তাদের দুটি কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাবে। এরমধ্য ২৫ মেগাওয়াট ত্রিশূলি আর ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে চিলমি হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্ট থেকে।

নেপাল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ভারতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে তারা অতিরিক্ত জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করে থাকে বলে এগুলো রপ্তানি করতে পারে। সূত্র: সিনহুয়া

নিউজটি শেয়ার করুন

নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু

আপডেট সময় : ১০:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবারাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে। শুক্রবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ভারত সরকারের জনসংযোগ বিভাগ প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতের পিআইবি জানিয়েছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান এবং নেপালের জ্বালানি, জলসম্পদ ও সেচমন্ত্রী দীপক খাড়কা উপস্থিত ছিলেন।

প্রথমবারের মতো নেপাল, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ লেনদেনের একটি মাইলফলকের সূচনা হলো বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই বিদ্যুৎ সরবরাহ আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বিদ্যুৎ খাতে সংযোগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

চলতি বছরের মে-জুনে নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহল প্রচণ্ডের ভারত সফরে বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়ে চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। পরে গত ৩ অক্টোবর ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, নেপাল প্রতি বছর ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে বাংলাদেশে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।

প্রথম ধাপে নেপাল বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬.৪ সেন্ট (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৭ টাকা)।

নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র চন্দন কুমার ঘোষ বলেন, ‌‘সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাবে তারা।‌ ‌ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালে বাংলাদেশের কাছে নেপাল মাত্র একদিন বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে। এরপর ২০২৫ সালের ১৫ জুন থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।’

বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সরাসরি বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকায় ভারতের সঞ্চালন লাইন হয়ে এই বিদ্যুৎ আসছে। তবে ভারতের গ্রিডের সঙ্গে বাংলাদেশের গ্রিডের সংযোগে খুব বেশি বাড়তি ক্যাপাসিটি না থাকায় নেপাল মাত্র ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাতে পারবে। তবে ভবিষ্যতে সঞ্চালন লাইনের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হলে নেপাল আরও বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ পাঠাতে পারবে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র চন্দন কুমার ঘোষ।

নেপাল তাদের দুটি কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাবে। এরমধ্য ২৫ মেগাওয়াট ত্রিশূলি আর ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে চিলমি হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্ট থেকে।

নেপাল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ভারতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে তারা অতিরিক্ত জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করে থাকে বলে এগুলো রপ্তানি করতে পারে। সূত্র: সিনহুয়া