ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর সংঘাত আরও বাড়তে পারে এমন উত্তেজনা এড়াতে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স :::: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীকে 'উদ্বেগজনক' আখ্যা দিয়ে ডাচ প্রধানমন্ত্রী সব পক্ষকে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধের আহ্বান জানিয়েছেন :::: ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইস্তাম্বুলে বলেছেন যে তিনি রবিবার বিকেলে মস্কো যাবেন এবং মার্কিন হামলার পরে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিনের সাথে সাক্ষাত করবেন :::: ইরানের ওপর মার্কিন হামলার পর 'সংযম' প্রদর্শনের আহ্বান সৌদি আরবের :::: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বোমা হামলায় পরিস্থিতির অবনতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে কাতার :::: ইরানে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে ওমান, যুদ্ধের বিস্তারের ঝুঁকি রয়েছে

নির্বাচনের আগেই জাতীয় কাউন্সিল করতে চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:২৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৪১৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির সবশেষ কাউন্সিল হয় ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। গঠনতন্ত্র-গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ৩ বছর পরপর বাধ্যবাধকতা রয়েছে কাউন্সিলের। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের হামলা-মামলা, দমন-পীড়নসহ নানা বাধায় সেটি করতে পারেনি দলটি।

এবার দলটি নির্বাচনের আগেই জাতীয় কাউন্সিল করতে চায়। শীর্ষ পদে পরিবর্তন না এলেও স্থায়ী কমিটিসহ নানা পর্যায়ে নতুন মুখের দেখা মিলবে বলে জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আর এক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নিতে পর্যালোচনা করা হবে গত ১৬ বছরের আমলনামা। সেই আলোকেই নতুন আঙ্গিকে ভোটে যাবে দলটি।

১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে ৩ ও ৩৭ ভাইস-চেয়ারম্যানের মধ্যে ৯টিসহ সব মিলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ শূন্য প্রায় ১৩০টি। এছাড়া পুরো কার্যকর হয়নি এক নেতার এক পদ নীতি। তৃণমূলের নেতাদের প্রত্যাশা—কাউন্সিলের মাধ্যমে যোগ্যদের দিয়েই পূরণ করা হোক শূন্য পদ।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক বলেন, ‘দলের খারাপ সময়ে যারা পাশে ছিল, দেশের জন্য কাজ করেছে তাঁরা ওপরের দিকে উঠে আসবে এটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যেমন ঘোষণা দিয়েছেন, এটা আমাদেরও দাবি।’

ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অবশ্যই আমাদের মূল্যায়ন করছেন, করবেন। এই বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’

মাঠ পর্যায়ের এই প্রত্যাশায় সায় আছে কেন্দ্রেও। সেজন্য পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দল শক্তিশালী করতে কাউন্সিল নিয়ে ভাবছে বিএনপি।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র ছিল না বলে অনেকদিন কাউন্সিল করা হয়নি। আমরা একটা সমাবেশ করতে পারিনি। আমাদের কোনো অধিকার ছিল না। অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলেই কাউন্সিলের কথা আমরা ভাবছি।’

আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমি মনে করি, নির্বাচনের আগেই বিএনপির কাউন্সিল হওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতারা আলাপ-আলোচনা করে দেখছেন।’

এছাড়া, আইনি প্রক্রিয়া শেষে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিতিতেই সপ্তম জাতীয় কাউন্সিল করতে চায় দলটির নেতা-কর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচনের আগেই জাতীয় কাউন্সিল করতে চায় বিএনপি

আপডেট সময় : ০১:২৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপির সবশেষ কাউন্সিল হয় ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। গঠনতন্ত্র-গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ৩ বছর পরপর বাধ্যবাধকতা রয়েছে কাউন্সিলের। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের হামলা-মামলা, দমন-পীড়নসহ নানা বাধায় সেটি করতে পারেনি দলটি।

এবার দলটি নির্বাচনের আগেই জাতীয় কাউন্সিল করতে চায়। শীর্ষ পদে পরিবর্তন না এলেও স্থায়ী কমিটিসহ নানা পর্যায়ে নতুন মুখের দেখা মিলবে বলে জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আর এক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নিতে পর্যালোচনা করা হবে গত ১৬ বছরের আমলনামা। সেই আলোকেই নতুন আঙ্গিকে ভোটে যাবে দলটি।

১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে ৩ ও ৩৭ ভাইস-চেয়ারম্যানের মধ্যে ৯টিসহ সব মিলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ শূন্য প্রায় ১৩০টি। এছাড়া পুরো কার্যকর হয়নি এক নেতার এক পদ নীতি। তৃণমূলের নেতাদের প্রত্যাশা—কাউন্সিলের মাধ্যমে যোগ্যদের দিয়েই পূরণ করা হোক শূন্য পদ।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক বলেন, ‘দলের খারাপ সময়ে যারা পাশে ছিল, দেশের জন্য কাজ করেছে তাঁরা ওপরের দিকে উঠে আসবে এটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যেমন ঘোষণা দিয়েছেন, এটা আমাদেরও দাবি।’

ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অবশ্যই আমাদের মূল্যায়ন করছেন, করবেন। এই বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’

মাঠ পর্যায়ের এই প্রত্যাশায় সায় আছে কেন্দ্রেও। সেজন্য পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দল শক্তিশালী করতে কাউন্সিল নিয়ে ভাবছে বিএনপি।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র ছিল না বলে অনেকদিন কাউন্সিল করা হয়নি। আমরা একটা সমাবেশ করতে পারিনি। আমাদের কোনো অধিকার ছিল না। অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলেই কাউন্সিলের কথা আমরা ভাবছি।’

আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমি মনে করি, নির্বাচনের আগেই বিএনপির কাউন্সিল হওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতারা আলাপ-আলোচনা করে দেখছেন।’

এছাড়া, আইনি প্রক্রিয়া শেষে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিতিতেই সপ্তম জাতীয় কাউন্সিল করতে চায় দলটির নেতা-কর্মীরা।