আবারও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী আমারাসুরিয়া
- আপডেট সময় : ০২:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হরিনি আমারাসুরিয়াকে পুনরায় নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমার দিশানায়েকে। আজ তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রবীণ রাজনীতিক বিজিথা হেরাথকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার সাধারণ নির্বাচনে ২২৯ আসনের মধ্যে অনূঢ়ার বামপন্থী জোট ১৫৯টি আসন পেয়েছে। আজ সোমবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নতুন মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করেন অনূঢ়া কুমার দিশানায়েকে। তবে তিনি নতুন কোনো অর্থমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেননি।
দিশানায়েকে বলেন, সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ার পর অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনি নিজে যেভাবে পরিচালনা করেছেন সেভাবেই পরিচালনা করবেন।
শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে বছরের পর বছরে ধরে পারিবারিক আধিপত্য চলেছে। তবে গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিশানায়েকে জয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে সেই আধিপত্যের অবসান হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে দিশানায়েকে প্রধানমন্ত্রী পদে আমারাসুরিয়াকে নির্বাচিত করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেন হেরাথকে। নতুন সরকারে তিনি তাদেরকেই পুনর্নিয়োগ দিলেন।
সেপ্টেম্বরে অনূঢ়া যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তখন দেশটির পার্লামেন্টে তার নির্বাচনী জোট এনপিপির আসন ছিল মাত্র তিনটি। পার্লামেন্টে নিজ জোটের আসনসংখ্যা বাড়াতে তিনি আগাম নির্বাচন দেন। গত ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচনে তাঁর জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
২০২২ সালের জুলাই মাসে অর্থনৈতিক সঙ্কটের আবহে প্রবল জনবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা এবং তাঁর ভাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটাভুটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন রনিল। কিন্তু যে অর্থনৈতিক সঙ্কট রাজাপাকশের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভকে উসকে দিয়েছিল, তা খুব বেশি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি রনিল।
রনিলের নেতৃত্বে অনাস্থা জ্ঞাপন করে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ৫৬ বছরের অনূঢ়াকে লঙ্কাবাসী প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট হয়েই পার্লামেন্ট ভেঙে নতুন করে নির্বাচনে সক্রিয় হন তিনি। ফল বলছে সেখানেও সাফল্য মিলল তাঁর।