ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘পিটার হাসের বক্তব্য গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, ভিসা নীতির নামে সাংবাদিকদের নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের বক্তব্য দেশের স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপের শামিল। তারা বলেন,“আমরা কোনো প্রভু চাই না। আমরা বন্ধু চাই। বাংলাদেশ কোনো প্রভুর কাছে মাথা নত করবে না। এটি আমাদের জন্য অবমাননাকর। এজন্য আমরা এখানে প্রতিবাদের জন্য দাঁড়িয়েছি।” আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে সাংবাদিক সংগঠন- জাস্টিস ফর জার্নালিস্টস এর উদ্যোগে ভিসা নীতির নামে সংবাদমাধ্যমের ওপর মার্কিন চাপ সৃষ্টির প্রতিবাদে আয়োজিত এক সাংবাদিক সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

জাস্টিস ফর জার্নালিস্টস’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওবায়দুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিবিসি টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও দ্য ডেইলী অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে’র সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভুঁইয়া এবং ডিইউজে’র সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ। আরো বক্তব্য রাখেন ডিইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মানিক লাল ঘোষ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম।

এম শাজাহান সাজুর সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তৃতা করেন উদ্যোক্তা সংগঠন জাস্টিস ফর জার্নালিস্টস’র চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা লায়েকুজ্জমান, সিনিয়র সাংবাদিক আজমল হক হেলাল, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু সাঈদ, জাস্টিস ফর জার্নালিস্টস’র মহাসচিব শাহীন বাবু ও টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক।

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য আমাদের দেশের স্বাধীন গণমাধ্যমের উপর হস্তক্ষেপের শামিল। বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে কথা বলেছেন। আমরা তাঁর পাশে আছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেকই হবে। কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের অযাচিত হস্তক্ষেপ মানা হবে না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আমেরিকা বিরোধীতা করেছিল। মার্কিনীরা বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমানে ভিসানীতি ও স্যাংসনের নামে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের নিয়ে তারা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জাস্টিস ফর জার্নালিস্টস’র আজকের এই কর্মসূচিতে যারা উপস্থিত হয়েছেন, তারাই মুক্তিযুদ্ধের মূল শক্তি বলে আমরা বিশ্বাস করি। দেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন আমেরিকার অন্যায় নীতির প্রতিবাদ করতেন, বর্তমানে তেমনই প্রতিবাদ করছেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।

মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্ত গণমাধ্যমের দেশ। সেখানেও সাংবাদিক নির্যাতন হয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস’র বক্তব্য তার দেশেরই মুক্ত গণমাধ্যমের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। পিটার হাসের বক্তব্য পরোক্ষাভাবে এদেশের গণমাধ্যমের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনার বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন গণমাধ্যমের যে নীতি, তার বরখেলাপ।” তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বছরে ২৭ হাজার ভিসা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে ১০ হাজার ভিসা পায়, সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। তাদের তো ভিসানীতি রয়েছেই। তাই নতুন করে আবার যে ভিসানীতি, তা আমাদের ভয় প্রদশর্নের জন্যই। আমরা কোনোভাবেই আমাদের ওপর কারো চোখ রাঙানো বরদাস্ত করবো না।”

নিউজটি শেয়ার করুন

‘পিটার হাসের বক্তব্য গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ’

আপডেট সময় : ০৪:৪০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, ভিসা নীতির নামে সাংবাদিকদের নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের বক্তব্য দেশের স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপের শামিল। তারা বলেন,“আমরা কোনো প্রভু চাই না। আমরা বন্ধু চাই। বাংলাদেশ কোনো প্রভুর কাছে মাথা নত করবে না। এটি আমাদের জন্য অবমাননাকর। এজন্য আমরা এখানে প্রতিবাদের জন্য দাঁড়িয়েছি।” আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে সাংবাদিক সংগঠন- জাস্টিস ফর জার্নালিস্টস এর উদ্যোগে ভিসা নীতির নামে সংবাদমাধ্যমের ওপর মার্কিন চাপ সৃষ্টির প্রতিবাদে আয়োজিত এক সাংবাদিক সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

জাস্টিস ফর জার্নালিস্টস’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওবায়দুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিবিসি টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও দ্য ডেইলী অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে’র সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভুঁইয়া এবং ডিইউজে’র সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ। আরো বক্তব্য রাখেন ডিইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মানিক লাল ঘোষ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম।

এম শাজাহান সাজুর সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তৃতা করেন উদ্যোক্তা সংগঠন জাস্টিস ফর জার্নালিস্টস’র চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা লায়েকুজ্জমান, সিনিয়র সাংবাদিক আজমল হক হেলাল, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু সাঈদ, জাস্টিস ফর জার্নালিস্টস’র মহাসচিব শাহীন বাবু ও টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক।

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য আমাদের দেশের স্বাধীন গণমাধ্যমের উপর হস্তক্ষেপের শামিল। বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে কথা বলেছেন। আমরা তাঁর পাশে আছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেকই হবে। কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের অযাচিত হস্তক্ষেপ মানা হবে না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আমেরিকা বিরোধীতা করেছিল। মার্কিনীরা বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমানে ভিসানীতি ও স্যাংসনের নামে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের নিয়ে তারা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জাস্টিস ফর জার্নালিস্টস’র আজকের এই কর্মসূচিতে যারা উপস্থিত হয়েছেন, তারাই মুক্তিযুদ্ধের মূল শক্তি বলে আমরা বিশ্বাস করি। দেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন আমেরিকার অন্যায় নীতির প্রতিবাদ করতেন, বর্তমানে তেমনই প্রতিবাদ করছেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।

মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্ত গণমাধ্যমের দেশ। সেখানেও সাংবাদিক নির্যাতন হয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস’র বক্তব্য তার দেশেরই মুক্ত গণমাধ্যমের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। পিটার হাসের বক্তব্য পরোক্ষাভাবে এদেশের গণমাধ্যমের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনার বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন গণমাধ্যমের যে নীতি, তার বরখেলাপ।” তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বছরে ২৭ হাজার ভিসা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে ১০ হাজার ভিসা পায়, সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। তাদের তো ভিসানীতি রয়েছেই। তাই নতুন করে আবার যে ভিসানীতি, তা আমাদের ভয় প্রদশর্নের জন্যই। আমরা কোনোভাবেই আমাদের ওপর কারো চোখ রাঙানো বরদাস্ত করবো না।”