ঝুঁকিতে মধ্যপ্রাচ্যের বেসরকারি বিমান চলাচল
- আপডেট সময় : ০২:৫৬:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
বিমানের ককপিটে বসে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার দৃশ্য দেখছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননের বাণিজ্যিক ফ্লাইটের পাইলটরা। প্রশ্ন উঠেছে এখনও কেন বিমানগুলো চলাচলে এ অঞ্চল ব্যবহার করছে? বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, একাধিক নিরাপদ রুট না থাকায় বিমানগুলোকে এ অঞ্চল ব্যবহার করতে হচ্ছে। গত বছরের ৭ই অক্টোবর গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরাইল। ড্রোন, রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এর এক বছর পর এখন একই পরিস্থিতি লেবাননে তৈরি হয়েছে।
ইসরাইলের একের পর এক হত্যাকাণ্ডের প্রতিরোধ নিতে গত ১লা অক্টোবর দেশটিতে ২০০ এর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ওই সময়ে এয়ারলাইন্সগুলো প্রস্তুত ছিল না এ হামলা এড়িয়ে চলার জন্য। এমনকি ইরানের হামলার সময় দুবাইগামী ফ্রান্সের একটি বিমান ইরাকের আকাশে ছিল। এর পাইলটেরা দেখেন ক্ষেপণাস্ত্র গুলো একের পর এক আকাশ দিয়ে ছুটে চলছে। এ অবস্থার মধ্যে ইরাকি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটির পরিস্থিতি ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেন।
প্রশ্ন উঠেছে তাহলে এখনও কেন বিমানগুলো চলাচলে এ অঞ্চল ব্যবহার করছে। একাধিক নিরাপদ রুট না থাকায় বিমানগুলোকে এ অঞ্চল ব্যবহার করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কমিউনিকেশন ফ্লাইটরাডার২৪ এর পরিচালক ইয়ান পেটচেনিক বলেন, ২০১৪ সালে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এমএইচ১৭ ফ্লাইটটি ২৯৮ জন যাত্রী এবং ক্রু নিয়ে ইউক্রেনের পূর্ব দিকে নিখোঁজ হয়। যদিও তাদের আর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর আকাশ পথে ইউরোপ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার রুটটি সীমিত করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনার পর অনেক বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্স পূর্ব ইউক্রেনের পথ আর ব্যবহার করছে না।
২০২২ সালে যখন রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে। ইউক্রেন তাদের পুরো আকাশপথ বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় পশ্চিমা অনেক এয়ারলাইন্স রাশিয়া এবং বেলারুশের আকাশ পথও এড়িয়ে চলে। এদিকে গাজা এবং লেবানেন ইসরায়েলি হামলায় আকাশ পথকে আরও সংকীর্ণ করেছে। যুদ্ধের মাঝেও মিডল ইস্ট এয়ারলাইন্স (এমইএ) তাদের বিমান চলাচলা অব্যাহত রাখায় অনেক লেবানিজ এটি নিয়ে গর্ব করছেন। ইসরায়েলি হামলার মাঝেও বৈরুতের রফি হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমইএ’র বিমান অবতরণ এবং উড্ডয়নের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।
এমইএ’র পাইলট মোহাম্মদ আজিজ আল জাজিরাকে বলেন, বৈরুতের বাহিরে বিমান চলাচলের জন্য প্রতিদিন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা পাঁচ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন। তিনি আরও বলেন, সরকার এবং বিদেশি দূতাবাসের পক্ষ থেকে আমরা ব্যাপক সহযোগিতা পাচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত এটি বেসরকারি নাগরিকদের পরিবহণে কাজ করবে ততক্ষণ পর্যন্ত বিমানবন্দরটি নিরাপদ থাকবে।