ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলন

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৩১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলোর মতবিরোধের জেরে অতিরিক্ত সময়ে চলছে কপ টোয়েন্টি নাইন জলবায়ু সম্মেলন। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত অনুন্নত দেশগুলোকে বছরে ২৫ হাজার কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে। যদিও একে ন্যায় সম্মত নয় দাবি করে, বরাদ্দ আরো বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। দুই পক্ষকেই আপস করার আহ্বান ছিল জাতিসংঘ মহাসচিবের কণ্ঠে।

শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) শেষ হবার কথা থাকলেও ধনী ও গরীব দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধের কারণে অতিরিক্ত দিনেও চলছে কপ- ২৯ জলবায়ু সম্মেলন। খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অনুন্নত দেশগুলো বছরে ২৫ হাজার কোটি ডলার পাবে। এই অর্থের জোগান দিবে উন্নত দেশগুলো। খসড়া প্রস্তাব উত্থাপনের পর সম্মেলনের মধ্যেই শুরু হয় সমালোচনা।

আজারবাইজানের বাকুতে দুই সপ্তাহের এই জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ববাসীর মধ্যে বিভেদ লক্ষণীয়। পানামার জলবায়ু মন্ত্রী ধনী রাষ্ট্রগুলোর এই প্রস্তাবকে হাস্যকর হিসেবে অভিহিত করেছেন। অভিযোগ করেন, উন্নত রাষ্ট্রগুলো চায় পৃথিবী নামক গ্রহটি পুড়ে যাক। উল্টোদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ইউরোপীয় এক মধ্যস্ততাকারী জানান, প্রস্তাবিত অর্থের পরিমাণ অনেক বেশি। যা বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।

তবে কপ- ২৯ প্রেসিডেন্সির লিড নেগোশিয়েটরের দাবি, খসড়া চুক্তিটি ন্যায় সম্মত নয়। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অর্থ বাড়াতে কাজ করার কথা জানান তিনি। দাতা ও গ্রহীতা দুই পক্ষকেই আপস করার আহ্বান ছিল জাতিসংঘ মহাসচিবের কণ্ঠে।

মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে ফেলছে ধনী রাষ্ট্রগুলো। তবে তাদের এই পদক্ষেপের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। উল্টো জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোয় বরাদ্দের ক্ষেত্রেও রয়েছে ভিক্ষা দানের মনোভাব। তাই বাকুতে খসড়া প্রস্তাব উত্থাপনের পর তৈরি হয় আগুনে ঘি ঢালার মতো পরিস্থিতি। সম্মেলন স্থল ঘিরে বিক্ষোভ করতে থাকেন জলবায়ু কর্মী ও সাধারণ জনগণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলন

আপডেট সময় : ০২:৩১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলোর মতবিরোধের জেরে অতিরিক্ত সময়ে চলছে কপ টোয়েন্টি নাইন জলবায়ু সম্মেলন। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত অনুন্নত দেশগুলোকে বছরে ২৫ হাজার কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে। যদিও একে ন্যায় সম্মত নয় দাবি করে, বরাদ্দ আরো বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। দুই পক্ষকেই আপস করার আহ্বান ছিল জাতিসংঘ মহাসচিবের কণ্ঠে।

শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) শেষ হবার কথা থাকলেও ধনী ও গরীব দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধের কারণে অতিরিক্ত দিনেও চলছে কপ- ২৯ জলবায়ু সম্মেলন। খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অনুন্নত দেশগুলো বছরে ২৫ হাজার কোটি ডলার পাবে। এই অর্থের জোগান দিবে উন্নত দেশগুলো। খসড়া প্রস্তাব উত্থাপনের পর সম্মেলনের মধ্যেই শুরু হয় সমালোচনা।

আজারবাইজানের বাকুতে দুই সপ্তাহের এই জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ববাসীর মধ্যে বিভেদ লক্ষণীয়। পানামার জলবায়ু মন্ত্রী ধনী রাষ্ট্রগুলোর এই প্রস্তাবকে হাস্যকর হিসেবে অভিহিত করেছেন। অভিযোগ করেন, উন্নত রাষ্ট্রগুলো চায় পৃথিবী নামক গ্রহটি পুড়ে যাক। উল্টোদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ইউরোপীয় এক মধ্যস্ততাকারী জানান, প্রস্তাবিত অর্থের পরিমাণ অনেক বেশি। যা বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।

তবে কপ- ২৯ প্রেসিডেন্সির লিড নেগোশিয়েটরের দাবি, খসড়া চুক্তিটি ন্যায় সম্মত নয়। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অর্থ বাড়াতে কাজ করার কথা জানান তিনি। দাতা ও গ্রহীতা দুই পক্ষকেই আপস করার আহ্বান ছিল জাতিসংঘ মহাসচিবের কণ্ঠে।

মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে ফেলছে ধনী রাষ্ট্রগুলো। তবে তাদের এই পদক্ষেপের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। উল্টো জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোয় বরাদ্দের ক্ষেত্রেও রয়েছে ভিক্ষা দানের মনোভাব। তাই বাকুতে খসড়া প্রস্তাব উত্থাপনের পর তৈরি হয় আগুনে ঘি ঢালার মতো পরিস্থিতি। সম্মেলন স্থল ঘিরে বিক্ষোভ করতে থাকেন জলবায়ু কর্মী ও সাধারণ জনগণ।