ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দুই মার্কিন ও এক রুশ বিজ্ঞানী পেলেন রসায়নে নোবেল

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৫৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দুই মার্কিন ও এক রুশ বিজ্ঞানী। নোবেল পেয়েছেন আমেরিকার মুঙ্গি জি. বাভেন্দি, লুই ই. ব্রুস ও অ্যালেক্সেই আই. আকিমভ। বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার পৌনে ৪টায় স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস তাঁদের নাম ঘোষণা করে। কোয়ান্টাম বিন্দুর আবিষ্কার এবং সংশ্লেষণের জন্য তাঁদের এ বছর রসায়নে নোবেল বিজয়ী করা হয়েছে।

যদিও নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগে অসাবধানতাবশত রসায়নে ২০২৩ সালের নোবেল বিজয়ী এই তিন বিজ্ঞানীর নাম প্রকাশ করে দিয়েছিল সুইডেনের রয়্যাল একাডেমি অব সায়েন্সেস। সুইডিশ সংবাদমাধ্যম আফতনব্লদে জানায়, তারা সুইডেনের রয়্যাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের কাছ থেকে একটি ইমেইল পেয়েছে। ওই মেইলে ২০২৩ সালে রসায়নে অবদান রাখায় তিন বিজ্ঞানীকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। সংবাদমাধ্যমটি ওই ইমেইলের একটি কপি প্রকাশ করে বিজয়ী হিসেবে মুঙ্গি বাভেন্দি, লুই ব্রুস ও অ্যালেক্সেই আকিমভের নাম জানিয়েছিল। পরে নোবেল কমিটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বিজয়ী হিসেবে ওই তিন বিজ্ঞানীর নামই জানায়।

নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ন্যানোটেকনোলজির ছোট এই উপাদানটির লাইট এখন টেলিভিশন এবং এলইডি বাতি পর্যন্ত ছড়িয়েছে। এমনকি এটি চিকিৎসকরা অস্ত্রেপচারের মাধ্যমে টিউমার টিস্যুর অপসারণেও ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও আরও অনেক কাজে ব্যবহৃত হয় কোয়ান্টাম ডট টেকনোলজি।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত রসায়ন ছাড়াও পদার্থ এবং চিকিৎসায় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল জয়ীরা হলেন—আমেরিকার পিয়ের অ্যাগোস্তিনি, জার্মানির ফেরেন্স ক্রাউন্স ও সুইডেনের অ্যান ল’হুইলিয়ের। চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন হাঙ্গেরিয়ান-আমেরিকান বিজ্ঞানী ক্যাতালিন কারিকো ও আমেরিকান বিজ্ঞানী ড্রিউ উইসম্যান।

নোবেল পুরস্কার সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে এবং তাঁর রেখে যাওয়া অর্থে দেওয়া হয়। আলফ্রেড নোবেল ডাইনামাইটের উদ্ভাবক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সালে প্রথমবারের মতো নোবেল দেওয়া শুরু হয়। প্রতিবছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুদিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেক বিজয়ীকে দেওয়া হয় ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার। এ সময় বিজয়ীদের একটি করে সনদ ও স্বর্ণপদকও দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুই মার্কিন ও এক রুশ বিজ্ঞানী পেলেন রসায়নে নোবেল

আপডেট সময় : ১১:৩০:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দুই মার্কিন ও এক রুশ বিজ্ঞানী। নোবেল পেয়েছেন আমেরিকার মুঙ্গি জি. বাভেন্দি, লুই ই. ব্রুস ও অ্যালেক্সেই আই. আকিমভ। বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার পৌনে ৪টায় স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস তাঁদের নাম ঘোষণা করে। কোয়ান্টাম বিন্দুর আবিষ্কার এবং সংশ্লেষণের জন্য তাঁদের এ বছর রসায়নে নোবেল বিজয়ী করা হয়েছে।

যদিও নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগে অসাবধানতাবশত রসায়নে ২০২৩ সালের নোবেল বিজয়ী এই তিন বিজ্ঞানীর নাম প্রকাশ করে দিয়েছিল সুইডেনের রয়্যাল একাডেমি অব সায়েন্সেস। সুইডিশ সংবাদমাধ্যম আফতনব্লদে জানায়, তারা সুইডেনের রয়্যাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের কাছ থেকে একটি ইমেইল পেয়েছে। ওই মেইলে ২০২৩ সালে রসায়নে অবদান রাখায় তিন বিজ্ঞানীকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। সংবাদমাধ্যমটি ওই ইমেইলের একটি কপি প্রকাশ করে বিজয়ী হিসেবে মুঙ্গি বাভেন্দি, লুই ব্রুস ও অ্যালেক্সেই আকিমভের নাম জানিয়েছিল। পরে নোবেল কমিটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বিজয়ী হিসেবে ওই তিন বিজ্ঞানীর নামই জানায়।

নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ন্যানোটেকনোলজির ছোট এই উপাদানটির লাইট এখন টেলিভিশন এবং এলইডি বাতি পর্যন্ত ছড়িয়েছে। এমনকি এটি চিকিৎসকরা অস্ত্রেপচারের মাধ্যমে টিউমার টিস্যুর অপসারণেও ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও আরও অনেক কাজে ব্যবহৃত হয় কোয়ান্টাম ডট টেকনোলজি।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত রসায়ন ছাড়াও পদার্থ এবং চিকিৎসায় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল জয়ীরা হলেন—আমেরিকার পিয়ের অ্যাগোস্তিনি, জার্মানির ফেরেন্স ক্রাউন্স ও সুইডেনের অ্যান ল’হুইলিয়ের। চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন হাঙ্গেরিয়ান-আমেরিকান বিজ্ঞানী ক্যাতালিন কারিকো ও আমেরিকান বিজ্ঞানী ড্রিউ উইসম্যান।

নোবেল পুরস্কার সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে এবং তাঁর রেখে যাওয়া অর্থে দেওয়া হয়। আলফ্রেড নোবেল ডাইনামাইটের উদ্ভাবক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সালে প্রথমবারের মতো নোবেল দেওয়া শুরু হয়। প্রতিবছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুদিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেক বিজয়ীকে দেওয়া হয় ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার। এ সময় বিজয়ীদের একটি করে সনদ ও স্বর্ণপদকও দেওয়া হয়।