ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নভেম্বর আসতেই পড়ল কঠিন প্যাঁচে

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২৪ সালের নভেম্বর মাসটাকে কি কখনো ভুলতে পারবেন পেপ গার্দিওলা? অন্যভাবেও বলা যেতে পারে, জীবনের ডায়েরি থেকে কোনো অধ্যায়কে মুছে দেওয়া গেলে, ম্যানচেস্টার সিটি কোচ নিশ্চিত নভেম্বরকে চিরতরে মুছে দিতে চাইতেন! তা কী হয়েছে নভেম্বরে?

অক্টোবর পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল পেপ গার্দিওলার। ডাগ আউট থেকে শিষ্যদের নিয়ে দাপট দেখাচ্ছিলেন মাঠের ফুটবলেও। নভেম্বর আসতে না আসতেই হঠাৎ খেই হারাল গার্দিওলার দল। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ৫ ম্যাচ হেরে বসল সিটি। অবশেষে হারের বৃত্ত থেকে বের হয়েছে গার্দিওলার দল। কিন্তু এরপরও দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়েনি।

গতকাল চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠে ফেইনুর্দের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ম্যান সিটি। তখন মনে হচ্ছিল, এবার বুঝি জয়ের দেখা পাবে গার্দিওলার দল। কিন্তু কে জানে, দুঃসময়য়ের পথ যে এখনো পুরোপুরি শেষ হচ্ছে না। ৭৫ থেকে ৮৯- এই ১৪ মিনিটের ব্যবধানে ৩ গোল ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচটা ড্র (৩-৩) করেছে ফেইনুর্দ। এতে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ৬ ম্যাচ জয়হীন থাকল সিটি।

গার্দিওলার এ দুর্ভাগ্যের শুরুটা অবশ্য ঠিক নভেম্বর নয়, শুরু হয়েছিল অক্টোবরের শেষে। সাউদাম্পটনের বিপক্ষে জয়ের পর প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ওঠা সিটি ৩১ অক্টোবর রাতে টটেনহামের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে লিগ কাপের শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়ে। এটি ছিল চলতি মৌসুমে সিটির প্রথম হার। দুঃসময়ের শুরুটাও এখান থেকেই। লিগে বোর্নমাউথের বিপক্ষে পরের ম্যাচেও সিটি হারে একই ব্যবধানে।

চ্যাম্পিয়নস লিগে গিয়েও ভাগ্য বদল হয়নি গার্দিওলার শিষ্যদের। পতুর্গিজ ক্লাব স্পোর্তিং সিপির বিপক্ষে হেরে বসে ৪-১ ব্যবধানে। এরপর প্রিমিয়ার লিগে আবারও ব্রাইটন (২-১) ও টটেনহামের (৪-০) কাছে টানা দুই হার। ছন্নছাড়া সিটি লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান তো হারিয়েছেই, শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চেয়েও পিছিয়ে পড়েছে ৮ পয়েন্ট ব্যবধানে। লিগের পরের ম্যাচেই অবশ্য অলরেডদের মুখোমুখি হবে সিটি। সে ম্যাচের আগে হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়াটা তাই কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে গার্দিওলাকে।

গতকাল নিজেদের দর্শকদের সামনে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে সিটি। তবে প্রথম গোলের জন্য গার্দিওলার দলকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪৪ মিনিট পর্যন্ত। বিরতির ঠিক আগে আর্লিং হলান্ডের পেনাল্টি গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় সিটি। বিরতির পরে আরও দুটি গোল পেয়ে যায় সিটিজেনরা।

ম্যাচের ৫০ মিনিটে সিটির কর্নার হেড করে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেছিলেন ফেইনুর্দের ডিফেন্ডার। কিন্তু সে হেড যায় বক্সের ঠিক বাইরে দাঁড়ানো ইলকায়ে গুন্দোয়ানের সামনে। জার্মান মিডফিল্ডারের শট ফেইনুর্দের্ একজনের পায়ে লেগে কিছুটা দিক বদলে আশ্রয় নেয় জালে। এর ঠিক ৩ মিনিট পর ম্যাথিউস নুনিয়েসের পাসে স্কোরলাইন ৩-০ করেন হলান্ড।

ম্যাচের ৭৫ মিনিটে একটি গোল ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলার আভাস দেন আনিস হেস মুসা। সিটি গোলকিপার এদেরসনকে ড্রিবল করে অনেকটা দুরূহ কোণ থেকে গোল করেন আলজেরিয়ার রাইট উইঙ্গার।

আভাস দিয়েই থেমে থাকেনি ফেইনুর্দ। ৮২ মিনিটে আরেকটি গোল ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয় ডাচ ক্লাবটি। এরপর নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট আগে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে সমতাসূচক গোলটি করেন দাভিদ হানচকো।

এ ড্রতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ৫ ম্যাচ শেষে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ১৫ নম্বরে নেমে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ২০ নম্বরে ফেইনুর্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

নভেম্বর আসতেই পড়ল কঠিন প্যাঁচে

আপডেট সময় : ০১:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

২০২৪ সালের নভেম্বর মাসটাকে কি কখনো ভুলতে পারবেন পেপ গার্দিওলা? অন্যভাবেও বলা যেতে পারে, জীবনের ডায়েরি থেকে কোনো অধ্যায়কে মুছে দেওয়া গেলে, ম্যানচেস্টার সিটি কোচ নিশ্চিত নভেম্বরকে চিরতরে মুছে দিতে চাইতেন! তা কী হয়েছে নভেম্বরে?

অক্টোবর পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল পেপ গার্দিওলার। ডাগ আউট থেকে শিষ্যদের নিয়ে দাপট দেখাচ্ছিলেন মাঠের ফুটবলেও। নভেম্বর আসতে না আসতেই হঠাৎ খেই হারাল গার্দিওলার দল। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ৫ ম্যাচ হেরে বসল সিটি। অবশেষে হারের বৃত্ত থেকে বের হয়েছে গার্দিওলার দল। কিন্তু এরপরও দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়েনি।

গতকাল চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠে ফেইনুর্দের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ম্যান সিটি। তখন মনে হচ্ছিল, এবার বুঝি জয়ের দেখা পাবে গার্দিওলার দল। কিন্তু কে জানে, দুঃসময়য়ের পথ যে এখনো পুরোপুরি শেষ হচ্ছে না। ৭৫ থেকে ৮৯- এই ১৪ মিনিটের ব্যবধানে ৩ গোল ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচটা ড্র (৩-৩) করেছে ফেইনুর্দ। এতে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ৬ ম্যাচ জয়হীন থাকল সিটি।

গার্দিওলার এ দুর্ভাগ্যের শুরুটা অবশ্য ঠিক নভেম্বর নয়, শুরু হয়েছিল অক্টোবরের শেষে। সাউদাম্পটনের বিপক্ষে জয়ের পর প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ওঠা সিটি ৩১ অক্টোবর রাতে টটেনহামের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে লিগ কাপের শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়ে। এটি ছিল চলতি মৌসুমে সিটির প্রথম হার। দুঃসময়ের শুরুটাও এখান থেকেই। লিগে বোর্নমাউথের বিপক্ষে পরের ম্যাচেও সিটি হারে একই ব্যবধানে।

চ্যাম্পিয়নস লিগে গিয়েও ভাগ্য বদল হয়নি গার্দিওলার শিষ্যদের। পতুর্গিজ ক্লাব স্পোর্তিং সিপির বিপক্ষে হেরে বসে ৪-১ ব্যবধানে। এরপর প্রিমিয়ার লিগে আবারও ব্রাইটন (২-১) ও টটেনহামের (৪-০) কাছে টানা দুই হার। ছন্নছাড়া সিটি লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান তো হারিয়েছেই, শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চেয়েও পিছিয়ে পড়েছে ৮ পয়েন্ট ব্যবধানে। লিগের পরের ম্যাচেই অবশ্য অলরেডদের মুখোমুখি হবে সিটি। সে ম্যাচের আগে হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়াটা তাই কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে গার্দিওলাকে।

গতকাল নিজেদের দর্শকদের সামনে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে সিটি। তবে প্রথম গোলের জন্য গার্দিওলার দলকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪৪ মিনিট পর্যন্ত। বিরতির ঠিক আগে আর্লিং হলান্ডের পেনাল্টি গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় সিটি। বিরতির পরে আরও দুটি গোল পেয়ে যায় সিটিজেনরা।

ম্যাচের ৫০ মিনিটে সিটির কর্নার হেড করে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেছিলেন ফেইনুর্দের ডিফেন্ডার। কিন্তু সে হেড যায় বক্সের ঠিক বাইরে দাঁড়ানো ইলকায়ে গুন্দোয়ানের সামনে। জার্মান মিডফিল্ডারের শট ফেইনুর্দের্ একজনের পায়ে লেগে কিছুটা দিক বদলে আশ্রয় নেয় জালে। এর ঠিক ৩ মিনিট পর ম্যাথিউস নুনিয়েসের পাসে স্কোরলাইন ৩-০ করেন হলান্ড।

ম্যাচের ৭৫ মিনিটে একটি গোল ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলার আভাস দেন আনিস হেস মুসা। সিটি গোলকিপার এদেরসনকে ড্রিবল করে অনেকটা দুরূহ কোণ থেকে গোল করেন আলজেরিয়ার রাইট উইঙ্গার।

আভাস দিয়েই থেমে থাকেনি ফেইনুর্দ। ৮২ মিনিটে আরেকটি গোল ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয় ডাচ ক্লাবটি। এরপর নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট আগে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে সমতাসূচক গোলটি করেন দাভিদ হানচকো।

এ ড্রতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ৫ ম্যাচ শেষে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ১৫ নম্বরে নেমে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ২০ নম্বরে ফেইনুর্দ।