ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তিন মাসেই আমাদের আসল চেহারা বেরিয়ে আসছে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তিন মাসেই আমাদের আসল চেহারা বেরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এমন চেহারা নিয়ে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। গত কয়েকদিনের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।’ আজ বুধবার প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কেন এত ভয়াবহ অস্থিরতা—প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘তিন মাসও যায়নি, রাস্তায় রাস্তায় দাবি তুলছে, হত্যা, রক্তপাত হচ্ছে, জ্বালাও পোড়াও চলছে। কেন এত ভয়াবহ অস্থিরতা? সমস্যাটা কোথায়? আর কত বিভাজন নিয়ে বাংলাদেশকে টেনে তুলতে হবে। বারবার টেনে উঠবে, আবার পড়ে যাবে হিংসার কারণে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নিজের ঘরেই যদি বিভাজন থেকে যায় তাহলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়। আমি উদ্বিগ্ন। ধর্মকে কেন্দ্র করে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে৷ মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য লড়াই করলাম, তা পুড়িয়ে দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উন্মাদনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি।’

আততায়ী পেছনে দাঁড়িয়ে আছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের আতঙ্ক–ভয় কোথায়, আমরা কি বুঝি, আততায়ী পেছনে দাঁড়িয়ে আছে? আমরা বুঝলে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বের হতো না।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘কিছু মানুষ দায়িত্বশীল হয়েও উসকানি দিচ্ছে। তাদের নাম বলব না। তারা বিভাজনের পথ তৈরি করছে। তারা দেশের শত্রু না বন্ধু, তা বিচারের ভার জনগণের।’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সামনে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা হলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘জেলে গেছি, আবার জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি, কিন্তু এ দেশ আমরা দেখতে চাই না। যা অন্যায় তার বিরোধীতা করব। যারা সামনে থেকে লড়াই করি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে পিছপা হব না।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, প্রতিবারই কিছু প্রতিবাদী তরুণ দেশের স্বার্থে, দেশের কল্যাণের জন্য প্রাণ দেয়। হোক সেটা স্বাধীনতার জন্য কিংবা ভোটের অধিকার পাওয়ার জন্য।

আপনারা ভাবুন, কী পরিমাণ স্বার্থহীন হলে, কী পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করলে একটা মানুষ প্রাণ দিতে পারে দেশের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য। এটাই তারা করে দেখিয়েছে। তারা গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছে -যোগ করেন মির্জা ফখরুল।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তারা যেন এমন কথা বলবেন না যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে৷ এ সরকার কারও দয়াতে হয়নি, রক্তের ওপর এ সরকার হয়েছে, তাই সরকারের দায়িত্ব জনগণের আশার প্রতিফলন ঘটানো।’

নিউজটি শেয়ার করুন

তিন মাসেই আমাদের আসল চেহারা বেরিয়ে আসছে: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৩:১৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

তিন মাসেই আমাদের আসল চেহারা বেরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এমন চেহারা নিয়ে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। গত কয়েকদিনের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।’ আজ বুধবার প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কেন এত ভয়াবহ অস্থিরতা—প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘তিন মাসও যায়নি, রাস্তায় রাস্তায় দাবি তুলছে, হত্যা, রক্তপাত হচ্ছে, জ্বালাও পোড়াও চলছে। কেন এত ভয়াবহ অস্থিরতা? সমস্যাটা কোথায়? আর কত বিভাজন নিয়ে বাংলাদেশকে টেনে তুলতে হবে। বারবার টেনে উঠবে, আবার পড়ে যাবে হিংসার কারণে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নিজের ঘরেই যদি বিভাজন থেকে যায় তাহলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়। আমি উদ্বিগ্ন। ধর্মকে কেন্দ্র করে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে৷ মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য লড়াই করলাম, তা পুড়িয়ে দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উন্মাদনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি।’

আততায়ী পেছনে দাঁড়িয়ে আছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের আতঙ্ক–ভয় কোথায়, আমরা কি বুঝি, আততায়ী পেছনে দাঁড়িয়ে আছে? আমরা বুঝলে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বের হতো না।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘কিছু মানুষ দায়িত্বশীল হয়েও উসকানি দিচ্ছে। তাদের নাম বলব না। তারা বিভাজনের পথ তৈরি করছে। তারা দেশের শত্রু না বন্ধু, তা বিচারের ভার জনগণের।’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সামনে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা হলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘জেলে গেছি, আবার জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি, কিন্তু এ দেশ আমরা দেখতে চাই না। যা অন্যায় তার বিরোধীতা করব। যারা সামনে থেকে লড়াই করি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে পিছপা হব না।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, প্রতিবারই কিছু প্রতিবাদী তরুণ দেশের স্বার্থে, দেশের কল্যাণের জন্য প্রাণ দেয়। হোক সেটা স্বাধীনতার জন্য কিংবা ভোটের অধিকার পাওয়ার জন্য।

আপনারা ভাবুন, কী পরিমাণ স্বার্থহীন হলে, কী পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করলে একটা মানুষ প্রাণ দিতে পারে দেশের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য। এটাই তারা করে দেখিয়েছে। তারা গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছে -যোগ করেন মির্জা ফখরুল।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তারা যেন এমন কথা বলবেন না যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে৷ এ সরকার কারও দয়াতে হয়নি, রক্তের ওপর এ সরকার হয়েছে, তাই সরকারের দায়িত্ব জনগণের আশার প্রতিফলন ঘটানো।’