পোশাক সরবরাহ নিশ্চিতে নতুন কাউন্সিলে যোগ দেবেন রপ্তানিকারকেরা
- আপডেট সময় : ০২:৫০:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
ক্রেতাদের কাছে ন্যায্য মূল্যে পোশাক সরবরাহ নিশ্চিত করতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নতুন কাউন্সিলে যোগ দেবেন দেশের রপ্তানিকারকরা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের শঙ্কা কাটাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ স্থান ধরে রাখা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার আমেরিকা। তবে, দেশটি থেকে পোশাকের দাম আগের চেয়ে কম মিলছে। মার্কিন অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড গার্মেন্টস-ওটেক্সার প্রতিবেদনের তথ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পোশাকের দর কমেছে সর্বনিম্ন সাড়ে ৪ থেকে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ।
দ্বিতীয় মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের শঙ্কা কাটাতে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠনগুলো।
পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমই- এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘চীনের সাথে যদি বাণিজ্য যুদ্ধটা যদি বেড়ে যায়, তাহলে কি হবে? কাউন্সিল করা যায় কি না! এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহযোগিতা কীভাবে বাড়ানো যায়, যে দেশ সেই জায়গাতে শক্ত সেই জায়গাটা অন্য দেশগুলির সহযোগিতা কীভাবে করা যায়…!’
মূল্যস্ফীতির চাপে আমেরিকা ভোক্তা ব্যয় বাড়লেও পোশাকের দরপতন সাময়িক বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাঁদের মতে, বাজার হারানোর শঙ্কা নেই।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘মার্কিন নির্বাচনের কারণে এক ধরনের অস্থিরতা ভোক্তা পর্যায়েও ক্রয়ের ক্ষেত্রে একটা টানাপোড়ন রয়েছে। যেটি ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া বলি কারোরই এত বড় সাপ্লাই বেজ নেই। সুতরাং বড়ভাবে এইখান থেকে বাজার চলে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।’
সভাপতি বিকেএমইয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বায়াররা যে অনৈতিক মূল্য দিচ্ছে এগুলো নিয়ে কিন্তু এইখানে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে হয়ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কোনো একটা পারস্পরিক সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।’
পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে চীনের অবস্থান প্রথম হলেও গত এক দশকে তাদের রপ্তানি নেমেছে প্রায় অর্ধেকে। আর এখন সে জায়গায় নিজেদের অবস্থান বাড়াচ্ছে ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ।