উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি
- আপডেট সময় : ০৭:৫২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪৩০ বার পড়া হয়েছে
ভারতে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলের বহু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে, দেখা দিয়েছে বন্যার আশংকা। তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে মধ্যরাত থেকে কমতে থাকে পানি। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে এসব মানুষ নিজেদের বসতবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে।
এদিন সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড অনুযায়ী তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। গতকাল বিকেল থেকে নদী উপচে লোকালয়ের দিকে আসা পানি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নামতে শুরু করেছে। তবে জেলার আদিতমারীর মহিষখোচা এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ও রাজপুর ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা জলমগ্ন রয়েছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি ৯০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। অব্যাহতভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক জানান, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি সমতলে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের এলাকাসমূহ প্লাবিত হওয়া শুরু হবে।
সেই সাথে আগামী ৪৮ ঘণ্টা পযর্ন্ত রাত ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমায় ওঠানামা করছে। এতে বন্যা দেখা দিয়েছে। পানি প্রবেশ করেছে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম,হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান,গড্ডিমারী,সির্ন্দুনা,কালিগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী,চরবৈরাতী ও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ এবং কালমাটি গ্রামে পানি প্রবেশ করে ১০হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে যায় আমন ধান খেত,বাদাম সহ বিভিন্ন ধরনের সবজী খেত।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার প্রভাব মোকাবেলায় নদীতীরবর্তি লোকজনকে সর্তক অবস্থানে থাকতে অনুরোধ করেছে জেলা প্রশাসন।
ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দারা। এদিকে, বন্যার সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় সতর্ক রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।