ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অর্থপাচার বন্ধে স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:২৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অর্থপাচার বন্ধে স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এদিকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসনে মন্ত্রণালয় ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরিতে বাণিজ্যিক সংগঠনের সংখ্যা কমানোর তাগিদ দিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। এছাড়াও আর্থিক খাতে অনিয়মে জড়িত ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যবস্থা নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও। ঢাকা চেম্বারের সেমিনারে এমন দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের।

গেল ১৫ বছরে কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনা সরকারের আমল থেকে চাপে রয়েছে অর্থনীতি। অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে ব্যাংক খাত। ডলার ও জ্বালানি সংকটে কয়েকগুণ বেড়ে যায় উৎপাদন খরচ। বিপুল আশা নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও সুবাতাস আসেনি ব্যবসার পরিবেশে।

আজ (শনিবার, ৩০ নভেম্বর) ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিভঙ্গি: প্রত্যাশা এবং অগ্রাধিকার’ শীর্ষক একদিনের ব্যবসায়িক সম্মেলনে উঠে আসে ব্যবসার পরিবেশের নানা সংকট। অন্তর্বর্তী সরকারের গেল ৩ মাসে এসব সমস্যা সমাধান না হলেও তা নিরূপণের পাশাপাশি আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফেরানো দরকার বলে মনে বরেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি উৎপাদন ঠিক রাখতে জ্বালানি নিরাপত্তার গুরুত্ব উঠে আসে সম্মেলনে।

এছাড়া আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকখাতে নিয়ে শঙ্কার কথা জানান অধিকাংশ ব্যবসায়ী। এনবিআরের সহযোগিতা আশা করেন তারা।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টারা বলেন, বয়ে নিতে হচ্ছে কয়েকবছরের অনিয়মের জের, যা কাটিয়ে উঠে আর্থিক খাতের সংস্কারে নেয়া হয়েছে দৃশ্যমান উদ্যোগ। যেখানে অর্থ পাচার বন্ধের স্থায়ী পদক্ষেপের কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কিছু সংস্কার ইমিডিয়েট করতে হবে। দুর্নীতি, এনবিআর, ব্যাংকিং খাতে। আমরা একটা মেসেজ দিচ্ছি ভবিষ্যতে কেউ যেন টাকা পাচার না করতে পারে। আমরা যে সংস্কার করবো সেটা যেন পরবর্তী সরকার অনুসরণ করে।’

আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসনে বাণিজ্যিক সংগঠনের সংখ্যা কমানোর কথা জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।

বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘অনেকগুলো মন্ত্রণালয় এক করে ফেলা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়ে সংগঠনগুলোকে মার্জ করে ফেলা উচিত।’

শিল্প কারখানার পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে শ্রমিকদের একটি পক্ষ ভুল পথে পরিচালনা করছে, এমন অভিযোগ করে তা নিয়ন্ত্রণে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

অর্থপাচার বন্ধে স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৯:২৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

অর্থপাচার বন্ধে স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এদিকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসনে মন্ত্রণালয় ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরিতে বাণিজ্যিক সংগঠনের সংখ্যা কমানোর তাগিদ দিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। এছাড়াও আর্থিক খাতে অনিয়মে জড়িত ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যবস্থা নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও। ঢাকা চেম্বারের সেমিনারে এমন দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের।

গেল ১৫ বছরে কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনা সরকারের আমল থেকে চাপে রয়েছে অর্থনীতি। অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে ব্যাংক খাত। ডলার ও জ্বালানি সংকটে কয়েকগুণ বেড়ে যায় উৎপাদন খরচ। বিপুল আশা নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও সুবাতাস আসেনি ব্যবসার পরিবেশে।

আজ (শনিবার, ৩০ নভেম্বর) ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিভঙ্গি: প্রত্যাশা এবং অগ্রাধিকার’ শীর্ষক একদিনের ব্যবসায়িক সম্মেলনে উঠে আসে ব্যবসার পরিবেশের নানা সংকট। অন্তর্বর্তী সরকারের গেল ৩ মাসে এসব সমস্যা সমাধান না হলেও তা নিরূপণের পাশাপাশি আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফেরানো দরকার বলে মনে বরেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি উৎপাদন ঠিক রাখতে জ্বালানি নিরাপত্তার গুরুত্ব উঠে আসে সম্মেলনে।

এছাড়া আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকখাতে নিয়ে শঙ্কার কথা জানান অধিকাংশ ব্যবসায়ী। এনবিআরের সহযোগিতা আশা করেন তারা।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টারা বলেন, বয়ে নিতে হচ্ছে কয়েকবছরের অনিয়মের জের, যা কাটিয়ে উঠে আর্থিক খাতের সংস্কারে নেয়া হয়েছে দৃশ্যমান উদ্যোগ। যেখানে অর্থ পাচার বন্ধের স্থায়ী পদক্ষেপের কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কিছু সংস্কার ইমিডিয়েট করতে হবে। দুর্নীতি, এনবিআর, ব্যাংকিং খাতে। আমরা একটা মেসেজ দিচ্ছি ভবিষ্যতে কেউ যেন টাকা পাচার না করতে পারে। আমরা যে সংস্কার করবো সেটা যেন পরবর্তী সরকার অনুসরণ করে।’

আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসনে বাণিজ্যিক সংগঠনের সংখ্যা কমানোর কথা জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।

বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘অনেকগুলো মন্ত্রণালয় এক করে ফেলা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়ে সংগঠনগুলোকে মার্জ করে ফেলা উচিত।’

শিল্প কারখানার পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে শ্রমিকদের একটি পক্ষ ভুল পথে পরিচালনা করছে, এমন অভিযোগ করে তা নিয়ন্ত্রণে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের।