ঢাকা ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এখনো বাংলাদেশকে করতলে নেওয়ার চক্রান্ত করছে ভারত: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এখনো বাংলাদেশকে করতলে নেওয়ার চক্রান্ত করছে ভারত। শেখ হাসিনার ওপর ভর করে গত ১৫ বছর বাংলাদেশকে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল ভারত। আজ রোববার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ন্যায় বিচার হয়েছে, যা আওয়ামী লীগের আমলে হয়নি। জোর করে রাষ্ট্রশক্তি প্রয়োগ করে তারেক রহমানসহ অন্যদের সাজা দিতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ।’

ভারত প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতন হজম করতে পারছে না ভারত সরকার। দেশটি বাংলাদেশকে দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে, তাহলে তাদের সেভেন সিস্টারস নিরাপদ থাকবে। ভারত সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খারাপ করতে দেশটি উঠে পড়ে লেগেছে।’

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের, বিএনপির নয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে বিএনপি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে- এটি সঠিক নয়।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে অপপ্রচারে নেমেছে। এটা বাংলাদেশের ওপর হস্তক্ষেপ ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ন্যায়বিচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ আমলে অন্যায়ভাবে বিচার করা হয়েছিল বলে জানান রিজভী।

বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের অভিযোগের যে কোনো ভিত্তি নেই, তার প্রমাণ মিলেছে সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকার (ভিওএ) করা একটি জরিপে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬৪.১ শতাংশ মনে করেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে। এই জরিপ বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান করেনি। বিদেশি প্রতিষ্ঠান করেছে। ফলে, এ নিয়ে প্রশ্ন থাকার কোনো অবকাশ নেই। বরং ভারতে কীভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে, তা নিয়ে স্পষ্টভাবে প্রশ্ন তোলা যায়। ভারতে প্রতিনিয়ত মুসলমানরা নিপীড়ন-নির্যাতন এমনকি খুনের শিকার হচ্ছে। বাড়ি-ঘর-স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু মুসলমানই নয়, দেশটির খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও আক্রমণের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এখনো বাংলাদেশকে করতলে নেওয়ার চক্রান্ত করছে ভারত: রিজভী

আপডেট সময় : ০৩:৫৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এখনো বাংলাদেশকে করতলে নেওয়ার চক্রান্ত করছে ভারত। শেখ হাসিনার ওপর ভর করে গত ১৫ বছর বাংলাদেশকে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল ভারত। আজ রোববার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ন্যায় বিচার হয়েছে, যা আওয়ামী লীগের আমলে হয়নি। জোর করে রাষ্ট্রশক্তি প্রয়োগ করে তারেক রহমানসহ অন্যদের সাজা দিতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ।’

ভারত প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতন হজম করতে পারছে না ভারত সরকার। দেশটি বাংলাদেশকে দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে, তাহলে তাদের সেভেন সিস্টারস নিরাপদ থাকবে। ভারত সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খারাপ করতে দেশটি উঠে পড়ে লেগেছে।’

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের, বিএনপির নয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে বিএনপি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে- এটি সঠিক নয়।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে অপপ্রচারে নেমেছে। এটা বাংলাদেশের ওপর হস্তক্ষেপ ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ন্যায়বিচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ আমলে অন্যায়ভাবে বিচার করা হয়েছিল বলে জানান রিজভী।

বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের অভিযোগের যে কোনো ভিত্তি নেই, তার প্রমাণ মিলেছে সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকার (ভিওএ) করা একটি জরিপে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬৪.১ শতাংশ মনে করেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে। এই জরিপ বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান করেনি। বিদেশি প্রতিষ্ঠান করেছে। ফলে, এ নিয়ে প্রশ্ন থাকার কোনো অবকাশ নেই। বরং ভারতে কীভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে, তা নিয়ে স্পষ্টভাবে প্রশ্ন তোলা যায়। ভারতে প্রতিনিয়ত মুসলমানরা নিপীড়ন-নির্যাতন এমনকি খুনের শিকার হচ্ছে। বাড়ি-ঘর-স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু মুসলমানই নয়, দেশটির খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও আক্রমণের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।