ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

২৭০০ বছর আগের বিশাল সৌরঝড়ের সন্ধান

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সম্প্রতি ২,৭০০ বছর আগের এক বিশাল সৌরঝড়ের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা । ‘কমিউনিকেশনস আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ জার্নালে প্রকাশিত হয় গবেষণাটি। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ড. ইরিনা প্যানিউশকিনা ও রেডিওকার্বন বিশেষজ্ঞ ড. টিমোথি জুল জানান, ‘মিয়াকে ইভেন্ট’ নামে পরিচিত এই সৌরঝড়ের চিহ্ন প্রাচীন গাছের রিংয়ে রয়ে গেছে।

জাপানি পদার্থবিজ্ঞানী ফুসা মিয়াকে ২০১২ সালে প্রথম এই ইভেন্ট আবিষ্কার করেন। মিয়াকে ইভেন্টে রেডিওকার্বন আইসোটোপের মাত্রা আকস্মিকভাবে বেড়ে যায়। গত ১৪,৫০০ এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বছরে মাত্র ছয়বার।

রেডিওকার্বন গঠিত হয় যখন মহাজাগতিক রশ্মি বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। এটি কার্বন ডাই-অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়ে গাছের ফটোসিন্থেসিস প্রক্রিয়ায় মিশে যায়। ড. প্যানিউশকিনা জানান, এই রেডিওকার্বন গাছের রিংয়ে জমা হয়ে বছরের পর বছর ধরে সৌর কার্যকলাপের রেকর্ড রাখে।

গবেষকরা প্রাচীন গাছের রিংয়ের তথ্যের সঙ্গে মেরু অঞ্চলের বরফের স্তরে আটকে থাকা বেরিলিয়াম-১০ আইসোটোপের তুলনা করেছেন। উভয় আইসোটোপ সৌর কার্যকলাপ বৃদ্ধির সময় বাড়ে, যা অতীতের ঘটনাগুলোর দ্বৈত প্রমাণ দেয়।

এই ডেটা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন, প্রায় ৬৬৪–৬৬৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই সৌরঝড় সংঘটিত হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, এমন সৌরঝড় বর্তমান সময়ের প্রযুক্তি-নির্ভর সমাজে ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে। স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক, বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা এবং যোগাযোগব্যবস্থায় মারাত্মক বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

২৭০০ বছর আগের বিশাল সৌরঝড়ের সন্ধান

আপডেট সময় : ১১:০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

সম্প্রতি ২,৭০০ বছর আগের এক বিশাল সৌরঝড়ের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা । ‘কমিউনিকেশনস আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ জার্নালে প্রকাশিত হয় গবেষণাটি। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ড. ইরিনা প্যানিউশকিনা ও রেডিওকার্বন বিশেষজ্ঞ ড. টিমোথি জুল জানান, ‘মিয়াকে ইভেন্ট’ নামে পরিচিত এই সৌরঝড়ের চিহ্ন প্রাচীন গাছের রিংয়ে রয়ে গেছে।

জাপানি পদার্থবিজ্ঞানী ফুসা মিয়াকে ২০১২ সালে প্রথম এই ইভেন্ট আবিষ্কার করেন। মিয়াকে ইভেন্টে রেডিওকার্বন আইসোটোপের মাত্রা আকস্মিকভাবে বেড়ে যায়। গত ১৪,৫০০ এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বছরে মাত্র ছয়বার।

রেডিওকার্বন গঠিত হয় যখন মহাজাগতিক রশ্মি বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। এটি কার্বন ডাই-অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়ে গাছের ফটোসিন্থেসিস প্রক্রিয়ায় মিশে যায়। ড. প্যানিউশকিনা জানান, এই রেডিওকার্বন গাছের রিংয়ে জমা হয়ে বছরের পর বছর ধরে সৌর কার্যকলাপের রেকর্ড রাখে।

গবেষকরা প্রাচীন গাছের রিংয়ের তথ্যের সঙ্গে মেরু অঞ্চলের বরফের স্তরে আটকে থাকা বেরিলিয়াম-১০ আইসোটোপের তুলনা করেছেন। উভয় আইসোটোপ সৌর কার্যকলাপ বৃদ্ধির সময় বাড়ে, যা অতীতের ঘটনাগুলোর দ্বৈত প্রমাণ দেয়।

এই ডেটা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন, প্রায় ৬৬৪–৬৬৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই সৌরঝড় সংঘটিত হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, এমন সৌরঝড় বর্তমান সময়ের প্রযুক্তি-নির্ভর সমাজে ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে। স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক, বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা এবং যোগাযোগব্যবস্থায় মারাত্মক বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।