উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বেহাত ৩ লাখ কোটি টাকা
- আপডেট সময় : ১২:২৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৫২৪ বার পড়া হয়েছে
গত ১৫ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে পৌনে ৩ লাখ কোটি টাকা বেহাত হয়েছে। যা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিনিয়োগের ৪০ শতাংশ। অর্থনীতির শ্বেতপত্র কমিটির অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাদের অভিযোগ, চাঁদাবাজি, ঘুষ ও বাড়তি খরচ দেখিয়ে লুটপাট করেছে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা। দুর্নীতি ঠেকাতে প্রকল্প অনুমোদন ও ব্যয়ে স্বচ্ছতার তাগিদ দিয়েছে কমিটি।
গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এ জন্য খরচ করা হয় কয়েক লাখ কোটি টাকা। ৩৯ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করে যে পদ্মা রেলসেতু নির্মাণ করা হয়েছে তা দিয়ে ট্রেন চলে দিনে মাত্র ১০টি। ১৫ হাজার কোটি টাকার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথও তেমন কার্যকরি নয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, চুরির অবশ্যই বিচার হবে। যে যত ক্ষমতাশীল হোন না কেন অপরাধ করলে কেউ ছাড় পাবে না।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদন বলছে, গত ১৫ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে পৌনে ৩ লাখ কোটি টাকা বেহাত হয়েছে। যা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিনিয়োগের ৪০ শতাংশ। যেমন রেলের বেশিরভাগ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পেয়েছে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠরা। কাজ না করেও টাকা তুলে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রকল্পে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খরচ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যয়, ঋণচুক্তি ও সম্ভাব্যতা যাচাই নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ড. শরমিন্দ নিলোর্মি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে খরচ এবং এ থেকে পাওয়া সুফলের মধ্যে বড় পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত সরকারের ১৫ বছরে উন্নয়ন কর্মসূচিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। শ্বেতপত্র কমিটি বলছে, এডিপির মাধ্যমে যত টাকা খরচ হয়েছে, এর ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ অপচয় ও লুটপাট হয়েছে।
ড. শরমিন্দ নিলোর্মি আরও বলেন, ১৫ বছরে দেশে রাজনীতি দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। যার ফলে অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে সামাজিক নানা সূচকগুলোও ভেঙে পড়েছে।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রতি বছরই এডিপির আকার বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। ১৫ বছরে আকার ১০ গুণ বাড়ানো হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা।