ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২২:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৯৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮০ রানে জয় পেলে বাংলাদেশ। জাকিরের অর্ধশত আর টাইগারদের বোলিং তোপে বিধ্বস্ত হয়েছে ক্যারিবীয়রা। টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশি বোলারদের সামনে তেমন কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। বলার মতো শুরুতে ১৮ বলে ২৩ করেছেন ওপেনার জনসন চার্লস। আর শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ড ২৭ বলে ৩৩ রান করেছেন। এর বাইরে কেউ ২০ এর ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৬.৪ ওভারে ১০৯ রানে গুটিয়ে গেছে ক্যারিবীয়রা।

৮০ রানের জয় বাংলাদেশের, টি-টোয়েন্টিতে রানের ব্যবধানে এর চেয়ে বড় জয় বাংলাদেশ পেয়েছেই আর একটি – পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ২০২১ সালে ৮৪ রানে।

এমন দারুণ জয় নিয়েই টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ বব্যবধানে জিতে নিল বাংলাদেশ। উইন্ডিজের মাটিতে এর আগে যেখানে কখনোই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ, এবার সেখানেই স্বাগতিকদের ধবল ধোলাই করে অনন্য কীর্তি গড়লেন জাকের-মিরাজ-তাসকিনরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টিতে তাদেরই মাটিতে তিন বা বেশি ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার রেকর্ড এর আগে ছিল শুধু ইংল্যান্ডের (২০১৯)।

সিরিজের আগের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১৪৭ ও ১২৯ রানই টপকাতে পারেনি উইন্ডিজ, সেখানে আজ ১৯০ রানের লক্ষ্যটা এভারেস্টসম হওয়ার কথা উইন্ডিজের জন্য। সে লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বড় ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। রানের খাতা খোলার আগেই তাসকিন আহমেদের দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডাব্লিউ হন ব্রান্ডন কিং।

তাসকিনের ওই ওভার হওয়ার আগেই বৃষ্টি নামে সেন্ট ভিনসেন্টে। কিছুক্ষণের মধ্যে খেলা শুরু হলে শেখ মেহেদীর পরের ওভারেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় উইন্ডিজ। মেহেদীর ফুল লেংন্থের বলে স্লগ সুইপে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে বদলি নামা ফিল্ডার আফিফ হোসেনের ক্যাচে পরিণত হন জাস্টিন গ্রেভস (৬)।

৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর উইন্ডিজের বিপর্যয় ঠেকানোর চেষ্টা চালান জনসন চার্লস। নিকোলাস পুরানকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিআক্রমণ চালিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৪ বলে ৩৮ রান তোলেন চার্লস। তবে পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে বোল্ড হয়ে থেমে যায় পুরানের ১০ বলে ১৫ রানের ইনিংস।

পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান তোলা উইন্ডিজ পরের ওভারে চতুর্থ উইকেট হারায়। সদ্য উইকেটে নামা রোস্টন চেজকে রানের খাতা খুলতেই দেননি হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশি পেসারের ওভারের তৃতীয় বলে মিডঅফে মেহেদীর হাতে ক্যাচ দেন চেজ। একই ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয় চার্লস (১৮ বলে ২৩ রান)।

রভম্যান পাওয়েল উইকেটে গিয়ে থিতুই হতে পারেননি। রানের জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করে ১২ বলে ২রান করে রিশাদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন।

৬০ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারানো উইন্ডিজের হার তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। শেফার্ডের ইনিংস হারের ক্ষণটাকে একটু দীর্ঘ করেছে, এই যা। ক্ষণ দীর্ঘ করার পথে গুড়াকেশ মোতিকে নিয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে ২৬ বলে ৩৫ রান তোলেন শেফার্ড। ইনিংসের ১৪তম ওভারে নিজের ওভার করতে এসে প্রথম বলেই মোতিকে (১২) তানজিম সাকিবের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন রিশাদ। ওভারের চতুর্থ বলে আলজারি জোসেফকেও ফেরান বাংলাদেশি স্পিনার।

পরের ওভারে শেফার্ডের উইকেট শিকার করে উইন্ডিজের পরাজয় প্রায় নিশ্চিত করেন তানজিম সাকিব। পরের ওভারে ওবেদ ম্যাকয়কে বোল্ড করে সেটা নিশ্চিত করে দেন তাসকিন।

বাংলাদেশের হয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। এছাড়া শেখ মেহেদী ও তাসকিন ২টি করে এবং সাকিব ও হাসান মাহমুদ ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস

আপডেট সময় : ১২:২২:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮০ রানে জয় পেলে বাংলাদেশ। জাকিরের অর্ধশত আর টাইগারদের বোলিং তোপে বিধ্বস্ত হয়েছে ক্যারিবীয়রা। টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশি বোলারদের সামনে তেমন কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। বলার মতো শুরুতে ১৮ বলে ২৩ করেছেন ওপেনার জনসন চার্লস। আর শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ড ২৭ বলে ৩৩ রান করেছেন। এর বাইরে কেউ ২০ এর ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৬.৪ ওভারে ১০৯ রানে গুটিয়ে গেছে ক্যারিবীয়রা।

৮০ রানের জয় বাংলাদেশের, টি-টোয়েন্টিতে রানের ব্যবধানে এর চেয়ে বড় জয় বাংলাদেশ পেয়েছেই আর একটি – পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ২০২১ সালে ৮৪ রানে।

এমন দারুণ জয় নিয়েই টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ বব্যবধানে জিতে নিল বাংলাদেশ। উইন্ডিজের মাটিতে এর আগে যেখানে কখনোই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ, এবার সেখানেই স্বাগতিকদের ধবল ধোলাই করে অনন্য কীর্তি গড়লেন জাকের-মিরাজ-তাসকিনরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টিতে তাদেরই মাটিতে তিন বা বেশি ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার রেকর্ড এর আগে ছিল শুধু ইংল্যান্ডের (২০১৯)।

সিরিজের আগের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১৪৭ ও ১২৯ রানই টপকাতে পারেনি উইন্ডিজ, সেখানে আজ ১৯০ রানের লক্ষ্যটা এভারেস্টসম হওয়ার কথা উইন্ডিজের জন্য। সে লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বড় ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। রানের খাতা খোলার আগেই তাসকিন আহমেদের দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডাব্লিউ হন ব্রান্ডন কিং।

তাসকিনের ওই ওভার হওয়ার আগেই বৃষ্টি নামে সেন্ট ভিনসেন্টে। কিছুক্ষণের মধ্যে খেলা শুরু হলে শেখ মেহেদীর পরের ওভারেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় উইন্ডিজ। মেহেদীর ফুল লেংন্থের বলে স্লগ সুইপে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে বদলি নামা ফিল্ডার আফিফ হোসেনের ক্যাচে পরিণত হন জাস্টিন গ্রেভস (৬)।

৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর উইন্ডিজের বিপর্যয় ঠেকানোর চেষ্টা চালান জনসন চার্লস। নিকোলাস পুরানকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিআক্রমণ চালিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৪ বলে ৩৮ রান তোলেন চার্লস। তবে পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে বোল্ড হয়ে থেমে যায় পুরানের ১০ বলে ১৫ রানের ইনিংস।

পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান তোলা উইন্ডিজ পরের ওভারে চতুর্থ উইকেট হারায়। সদ্য উইকেটে নামা রোস্টন চেজকে রানের খাতা খুলতেই দেননি হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশি পেসারের ওভারের তৃতীয় বলে মিডঅফে মেহেদীর হাতে ক্যাচ দেন চেজ। একই ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয় চার্লস (১৮ বলে ২৩ রান)।

রভম্যান পাওয়েল উইকেটে গিয়ে থিতুই হতে পারেননি। রানের জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করে ১২ বলে ২রান করে রিশাদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন।

৬০ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারানো উইন্ডিজের হার তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। শেফার্ডের ইনিংস হারের ক্ষণটাকে একটু দীর্ঘ করেছে, এই যা। ক্ষণ দীর্ঘ করার পথে গুড়াকেশ মোতিকে নিয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে ২৬ বলে ৩৫ রান তোলেন শেফার্ড। ইনিংসের ১৪তম ওভারে নিজের ওভার করতে এসে প্রথম বলেই মোতিকে (১২) তানজিম সাকিবের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন রিশাদ। ওভারের চতুর্থ বলে আলজারি জোসেফকেও ফেরান বাংলাদেশি স্পিনার।

পরের ওভারে শেফার্ডের উইকেট শিকার করে উইন্ডিজের পরাজয় প্রায় নিশ্চিত করেন তানজিম সাকিব। পরের ওভারে ওবেদ ম্যাকয়কে বোল্ড করে সেটা নিশ্চিত করে দেন তাসকিন।

বাংলাদেশের হয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। এছাড়া শেখ মেহেদী ও তাসকিন ২টি করে এবং সাকিব ও হাসান মাহমুদ ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।