ঢাকা ১১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঊর্ধ্বমুখী মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে আলোচনায় ভারত

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪২৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঊর্ধ্বমুখী মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে নতুন করে আলোচনায় ভারত। ২০৫০ সালে ইন্দোনেশিয়াকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসবে দেশটি। শুধু তাই নয়, ২০১০ সালের তুলনায় ২০৫০ সালে ভারতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হার কমবে ২.৮ শতাংশ এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বীর হার বাড়বে ৪ শতাংশ। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটির তথ্য নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

২০৫০ সালে ইন্দোনেশিয়াকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ হবে ভারত। শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনের অবাক করা এই তথ্য নিয়ে আবারও আলোচনায় ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারত। আর তখন দেশটিতে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩১ কোটিরও বেশি।

মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার- পিআরসি’র বরাত দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে এই তথ্য।

এর আগে পিআরসি প্রকাশিত গবেষণা তথ্যে দেখা যায়, ভারতে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে দেশটির জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৭০ কোটিতে। যেখানে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা হবে ১৩০ কোটি। আর মুসলিম জনসংখ্যা হবে ৩০ কোটিরও বেশি। অর্থাৎ ২০১০ সালের সঙ্গে তুলনা করলে ২০৫০ সালে ভারতের মোট জনসংখ্যায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হার কমবে ২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বীর হার বাড়বে ৪ শতাংশ।

এর মধ্য দিয়ে ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা টপকে যাবে ভারত।

পিআরসি’র পপুলেশন গ্রোথ প্রোজেকশন্স, ২০১০-২০৫০’শিরোনামের ওই প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ভারতই নয় গোটা দুনিয়াতেই দ্রুত বাড়ছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা।

এদিকে মার্কিন গবেষণা সংস্থাটির সমীক্ষা তথ্য বলছে, মুসলিমদের একটা বড় অংশের বসবাস এশিয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। এর মধ্যে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ইরান ও তুরস্ক। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ এখন ইন্দোনেশিয়া। এমনকি ২০৫০ নাগাদ পুরো ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা ১০ শতাংশ হবে বলেও মনে করছে পিউ রিসার্চ সেন্টার- পিআরসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঊর্ধ্বমুখী মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে আলোচনায় ভারত

আপডেট সময় : ১২:৫৪:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

ঊর্ধ্বমুখী মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে নতুন করে আলোচনায় ভারত। ২০৫০ সালে ইন্দোনেশিয়াকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসবে দেশটি। শুধু তাই নয়, ২০১০ সালের তুলনায় ২০৫০ সালে ভারতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হার কমবে ২.৮ শতাংশ এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বীর হার বাড়বে ৪ শতাংশ। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটির তথ্য নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

২০৫০ সালে ইন্দোনেশিয়াকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ হবে ভারত। শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনের অবাক করা এই তথ্য নিয়ে আবারও আলোচনায় ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারত। আর তখন দেশটিতে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩১ কোটিরও বেশি।

মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার- পিআরসি’র বরাত দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে এই তথ্য।

এর আগে পিআরসি প্রকাশিত গবেষণা তথ্যে দেখা যায়, ভারতে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে দেশটির জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৭০ কোটিতে। যেখানে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা হবে ১৩০ কোটি। আর মুসলিম জনসংখ্যা হবে ৩০ কোটিরও বেশি। অর্থাৎ ২০১০ সালের সঙ্গে তুলনা করলে ২০৫০ সালে ভারতের মোট জনসংখ্যায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হার কমবে ২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বীর হার বাড়বে ৪ শতাংশ।

এর মধ্য দিয়ে ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা টপকে যাবে ভারত।

পিআরসি’র পপুলেশন গ্রোথ প্রোজেকশন্স, ২০১০-২০৫০’শিরোনামের ওই প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ভারতই নয় গোটা দুনিয়াতেই দ্রুত বাড়ছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা।

এদিকে মার্কিন গবেষণা সংস্থাটির সমীক্ষা তথ্য বলছে, মুসলিমদের একটা বড় অংশের বসবাস এশিয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। এর মধ্যে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ইরান ও তুরস্ক। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ এখন ইন্দোনেশিয়া। এমনকি ২০৫০ নাগাদ পুরো ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা ১০ শতাংশ হবে বলেও মনে করছে পিউ রিসার্চ সেন্টার- পিআরসি।