ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জলাবায়ু বিপর্যয়ে কোটি কোটি শিশু বাস্তচ্যুত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জলাবায়ু বিপর্যয়ের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ২০১৬ সালে থেকে ২০২১ সালের মধ্যে চার কোটির বেশি শিশু বাস্তচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি এ তথ্য জানায়। এতে বেশ কয়েকটি শিশুর হৃদয় বিদারক ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে।

এ নিয়ে প্রতিবেদনটির সহ-লেখক লরা হিলি এএফপিকে জানান, এখানে শুধু কয়েকজনের ঘটনা উল্লেখ করা আছে। এমন আরও অনেক শিশু বিশ্বজুড়ে জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে ভুক্তভোগী হচ্ছে।

প্রতিবেদনটিতে খালিদ আব্দুল আজিম নামের এক সুদানি শিশুর কথা বলা আছে যার বাড়িতে বন্যার সময় শুধু নৌকা দিয়েই যাওয়া যায়। সুদানের এ শিশুটি জানায়, বন্যায় তাদের জিনিসপত্র হাইওয়েতে রাখতে হয়েছে। ২০১৭ সাল মিয়া ও মাইয়া ব্রাভো নামের দু বোনের কথা বলা হয়েছে, যারা দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মাইয়া বলেন, ‘আমি আগুন দেখে সারা রাত ভয়ে জেগে ছিলাম।’

বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে ইউনিসেফ জানায়, বন্যা, ঝড়, খড়া ও দাবানলের মতো জলবায়ু দুর্যোগ বিশ্বজুড়ে বেড়ে গেছে। এতে ৪৪ দেশের চার কোটি ৩১ লাখ শিশু বাস্তচ্যুত হয়েছে।এরমধ্যে ৯৫ শতাংশ শিশুই বন্যা ও ঝড়ের কারণে বাস্তচ্যুত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে লরা বলেন, ‘আমরা হিসাব করে দেখেছি যে, প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার শিশু বাস্তচ্যুত হচ্ছে। আর এসব শিশু বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা হওয়ার পর পাচারের ঝুঁকিতে পড়ছে।’

বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, প্রতিবেদনটিতে শুধু কত শিশু বাস্তচ্যুত হয়ে সে হিসাবটি তুলে ধরা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হওয়ার আগে যেসব শিশুদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তাদের সংখ্যা এখানে উল্লেখ করা হয়নি। প্রতিবেদনটির সহ-লেখক লরা জানান, খড়ার কারণে বাস্তচ্যুত হওয়াদের সংখ্যা কম। আর তাদের সংখ্যা বের করাও কঠিন।

ইউনিসেফ বলছে, চীন, ভারত ও ফিলিপাইনে ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু বাস্তচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ। অধিক জনসংখ্যা, ভৌগলিক অবস্থান ও দুর্যোগের সময় লোকজন সরিয়ে নেওয়ার পর্যাপ্ত পরিকল্পনা না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে প্রতিবেদন বলা হয়েছে। কিন্তু আনুপাতিক হারে আফ্রিকা এবং ছোট দ্বীপের দেশগুলোতে শিশুরা সবচেয়ে বেশি বাস্তচ্যুত হওয়া ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ক্যারিবিয়ান দেশ ডমিনিকাতে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৭৬ শতাংশ শিশু বাস্তচ্যুত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জলাবায়ু বিপর্যয়ে কোটি কোটি শিশু বাস্তচ্যুত

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

জলাবায়ু বিপর্যয়ের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ২০১৬ সালে থেকে ২০২১ সালের মধ্যে চার কোটির বেশি শিশু বাস্তচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি এ তথ্য জানায়। এতে বেশ কয়েকটি শিশুর হৃদয় বিদারক ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে।

এ নিয়ে প্রতিবেদনটির সহ-লেখক লরা হিলি এএফপিকে জানান, এখানে শুধু কয়েকজনের ঘটনা উল্লেখ করা আছে। এমন আরও অনেক শিশু বিশ্বজুড়ে জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে ভুক্তভোগী হচ্ছে।

প্রতিবেদনটিতে খালিদ আব্দুল আজিম নামের এক সুদানি শিশুর কথা বলা আছে যার বাড়িতে বন্যার সময় শুধু নৌকা দিয়েই যাওয়া যায়। সুদানের এ শিশুটি জানায়, বন্যায় তাদের জিনিসপত্র হাইওয়েতে রাখতে হয়েছে। ২০১৭ সাল মিয়া ও মাইয়া ব্রাভো নামের দু বোনের কথা বলা হয়েছে, যারা দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মাইয়া বলেন, ‘আমি আগুন দেখে সারা রাত ভয়ে জেগে ছিলাম।’

বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে ইউনিসেফ জানায়, বন্যা, ঝড়, খড়া ও দাবানলের মতো জলবায়ু দুর্যোগ বিশ্বজুড়ে বেড়ে গেছে। এতে ৪৪ দেশের চার কোটি ৩১ লাখ শিশু বাস্তচ্যুত হয়েছে।এরমধ্যে ৯৫ শতাংশ শিশুই বন্যা ও ঝড়ের কারণে বাস্তচ্যুত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে লরা বলেন, ‘আমরা হিসাব করে দেখেছি যে, প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার শিশু বাস্তচ্যুত হচ্ছে। আর এসব শিশু বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা হওয়ার পর পাচারের ঝুঁকিতে পড়ছে।’

বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, প্রতিবেদনটিতে শুধু কত শিশু বাস্তচ্যুত হয়ে সে হিসাবটি তুলে ধরা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হওয়ার আগে যেসব শিশুদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তাদের সংখ্যা এখানে উল্লেখ করা হয়নি। প্রতিবেদনটির সহ-লেখক লরা জানান, খড়ার কারণে বাস্তচ্যুত হওয়াদের সংখ্যা কম। আর তাদের সংখ্যা বের করাও কঠিন।

ইউনিসেফ বলছে, চীন, ভারত ও ফিলিপাইনে ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু বাস্তচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ। অধিক জনসংখ্যা, ভৌগলিক অবস্থান ও দুর্যোগের সময় লোকজন সরিয়ে নেওয়ার পর্যাপ্ত পরিকল্পনা না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে প্রতিবেদন বলা হয়েছে। কিন্তু আনুপাতিক হারে আফ্রিকা এবং ছোট দ্বীপের দেশগুলোতে শিশুরা সবচেয়ে বেশি বাস্তচ্যুত হওয়া ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ক্যারিবিয়ান দেশ ডমিনিকাতে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৭৬ শতাংশ শিশু বাস্তচ্যুত হয়েছে।