ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রথমবার রেলপথ ব্যবহারের সুযোগ নড়াইলবাসীর

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৩:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো রেলপথ ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে নড়াইলবাসী। এরই মধ্যেই ভাঙ্গা থেকে নড়াইল-যশোর অংশে স্টেশন নির্মাণসহ রেললাইনের কাজ শেষে এ রুটে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে ট্রেন। সব ঠিক থাকলে কাল থেকে প্রথমবারের মতো সরাসরি রেল সেবায় যুক্ত হবে নড়াইলবাসী।

গোপালগঞ্জ এবং নড়াইল জেলাকে রেল সেবায় সরাসরি যুক্ত করতে মধুমতী নদীর উপর দৃশ্যমান প্রায় দুই কিলোমিটার কালনা রেলসেতু। এই সেতুর মাধ্যমে ঢাকা বিভাগের সাথে যুক্ত হয়েছে খুলনা বিভাগ। আগামী ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে ছুটে আসা রেল চলাচলের জন্য শতভাগ প্রস্তুত সেতুটি।

কালনা সেতু ছাড়াও ট্রায়াল রান সফল হওয়ায় এখন যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য উদ্বোধনের অপেক্ষায় ১৭২ কিলোমিটার লাইনটি। লাইনটি চালু হলে ঢাকা থেকে নড়াইল যশোর হয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর এবং খুলনা যাতায়াতের জন্য সরাসরি রেলসেবা পাবে এ জনপদের কোটি মানুষ।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ীরা অনেক সুবিধা পাবে। এ অঞ্চলের অর্থনীতির চাকায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। ট্রেন লাইন চালু হওয়ার প্রেক্ষিতে আমরা পণ্যগুলো সহজেই পেয়ে যাবো।’

চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এ প্রকল্পে স্টেশন আছে ২০টি। যার মধ্যে ১৪টি নতুন নির্মাণ করা হয়েছে। দীর্ঘ এ রেলপথে জংশন হবে ভাঙ্গা, কাশিয়ানী ও যশোরের পদ্মবিলায়। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এ পথ দিয়ে ছুটবে রেল। আর রেল চলাচল ঘিরে উচ্ছ্বাসের কমতি নেই স্থানীয়দের।

নড়াইলের স্থানীয় একজন বলেন, ‘খুব অল্প সময়ে নড়াইল থেকে ঢাকা, খুলনা, বেনাপোলসহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করা যাবে। আমরা খুব আনন্দিত।’

ইতোমধ্যেই রেলযাত্রাকে শুরু হয়েছে টিকিট বিক্রি। স্টেশন ছাড়া অনলাইনেও টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন যাত্রীরা।

নড়াইল স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ঢাকা-খুলনা, খুলনা-ঢাকা, বেনাপোল-ঢাকা। এর মধ্য দিয়ে দুই জোড়া রেল চলাচল শুরু হবে। রেল কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।’

রেলপথটি চালু হলে নড়াইলসহ দক্ষিণের বাণিজ্যে আসবে নতুন গতি। ঢাকা-বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অল্প খরচে সহজেই পণ্য পরিবহন করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

নড়াইলের জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, ‘ঢাকা থেকে এখন এখানে আসতে মোটামুটি দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় রাগে। রেল চালু হলে আমার বিশ্বাস আরও দ্রুত চলে আসা যাবে। সেক্ষেত্রে এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে, শিল্প কলকারখানা নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হবে। এতে করে মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’

দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল, বাণিজ্যিক শহর নওয়াপাড়া ও শিল্পাঞ্চল খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগে, এমনকি ভারতের পশ্চিম বাংলায় যাতায়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে রেলপথটি

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রথমবার রেলপথ ব্যবহারের সুযোগ নড়াইলবাসীর

আপডেট সময় : ০৩:৫৩:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো রেলপথ ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে নড়াইলবাসী। এরই মধ্যেই ভাঙ্গা থেকে নড়াইল-যশোর অংশে স্টেশন নির্মাণসহ রেললাইনের কাজ শেষে এ রুটে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে ট্রেন। সব ঠিক থাকলে কাল থেকে প্রথমবারের মতো সরাসরি রেল সেবায় যুক্ত হবে নড়াইলবাসী।

গোপালগঞ্জ এবং নড়াইল জেলাকে রেল সেবায় সরাসরি যুক্ত করতে মধুমতী নদীর উপর দৃশ্যমান প্রায় দুই কিলোমিটার কালনা রেলসেতু। এই সেতুর মাধ্যমে ঢাকা বিভাগের সাথে যুক্ত হয়েছে খুলনা বিভাগ। আগামী ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে ছুটে আসা রেল চলাচলের জন্য শতভাগ প্রস্তুত সেতুটি।

কালনা সেতু ছাড়াও ট্রায়াল রান সফল হওয়ায় এখন যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য উদ্বোধনের অপেক্ষায় ১৭২ কিলোমিটার লাইনটি। লাইনটি চালু হলে ঢাকা থেকে নড়াইল যশোর হয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর এবং খুলনা যাতায়াতের জন্য সরাসরি রেলসেবা পাবে এ জনপদের কোটি মানুষ।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ীরা অনেক সুবিধা পাবে। এ অঞ্চলের অর্থনীতির চাকায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। ট্রেন লাইন চালু হওয়ার প্রেক্ষিতে আমরা পণ্যগুলো সহজেই পেয়ে যাবো।’

চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এ প্রকল্পে স্টেশন আছে ২০টি। যার মধ্যে ১৪টি নতুন নির্মাণ করা হয়েছে। দীর্ঘ এ রেলপথে জংশন হবে ভাঙ্গা, কাশিয়ানী ও যশোরের পদ্মবিলায়। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এ পথ দিয়ে ছুটবে রেল। আর রেল চলাচল ঘিরে উচ্ছ্বাসের কমতি নেই স্থানীয়দের।

নড়াইলের স্থানীয় একজন বলেন, ‘খুব অল্প সময়ে নড়াইল থেকে ঢাকা, খুলনা, বেনাপোলসহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করা যাবে। আমরা খুব আনন্দিত।’

ইতোমধ্যেই রেলযাত্রাকে শুরু হয়েছে টিকিট বিক্রি। স্টেশন ছাড়া অনলাইনেও টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন যাত্রীরা।

নড়াইল স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ঢাকা-খুলনা, খুলনা-ঢাকা, বেনাপোল-ঢাকা। এর মধ্য দিয়ে দুই জোড়া রেল চলাচল শুরু হবে। রেল কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।’

রেলপথটি চালু হলে নড়াইলসহ দক্ষিণের বাণিজ্যে আসবে নতুন গতি। ঢাকা-বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অল্প খরচে সহজেই পণ্য পরিবহন করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

নড়াইলের জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, ‘ঢাকা থেকে এখন এখানে আসতে মোটামুটি দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় রাগে। রেল চালু হলে আমার বিশ্বাস আরও দ্রুত চলে আসা যাবে। সেক্ষেত্রে এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে, শিল্প কলকারখানা নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হবে। এতে করে মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’

দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল, বাণিজ্যিক শহর নওয়াপাড়া ও শিল্পাঞ্চল খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগে, এমনকি ভারতের পশ্চিম বাংলায় যাতায়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে রেলপথটি