লজ্জার রেকর্ডে লিটনকে পেছনে ফেললেন পাকিস্তানি ওপেনার
- আপডেট সময় : ০৪:০০:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
সিরিজ আগেই নিশ্চিত হয়েছিল পাকিস্তানের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে জেতার পর গতকাল রোববার রাতে হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে নেমেছিল মোহাম্মদ রিজওয়ানেরা। জোহানেসবার্গে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৩৬ রানে জিতে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে এই প্রথম হোয়াইটওয়াশ হলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
গতকাল টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ফর্মের তুঙ্গে থাকা ওপেনার সাঈম আইয়ুবের সেঞ্চুরি (৯৪ বলে ১০১ রান) এবং বাবর আজম (৫২) ও রিজওয়ানের (৫৩) ফিফটিতে ভর করে নির্ধারিত ৪৭ ওভারে ৯ উইকেটে ৩০৮ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। রান তাড়ায় নেমে স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় ২৭১ রানে। তাতে প্রোটিয়াদের প্রথমবার ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের কীর্তি গড়ল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের এমন রেকর্ড গড়া জয়ের দিনে লজ্জার এক রেকর্ড গড়েছেন আবদুল্লাহ শফিক। ডানহাতি এ ওপেনার গতকাল ইনিংসের দ্বিতীয় ও মুখোমুখি প্রথম বলেই স্লিপে মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। এ নিয়ে সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজের ৩ ম্যাচেই ডাক মারলেন শফিক।
পার্লে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৪ বল খেলে কোনো রান করার আগেই মার্কো ইয়ানসেনের বলে আউট হয়েছিলেন শফিক। কেপটাউনে পরের ম্যাচেও ইয়ানসেনের বলে শূন্য রানে আউট হন ২৫ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান। গতকাল জোহানেসবার্গে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আউট হলেন কাগিসো রাবাদার বলে।
এতে তিন ওয়ানডের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রথম ওপেনার হিসেবে তিন ম্যাচেই ডাক মারার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে ওঠে শফিকের নাম। এর আগে নিউজিল্যান্ড ওপেনার মার্টিন গাপটিলও ওপেনার হিসেবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ৩ ওয়ানেডেতে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। তবে কিউই ওপেনারের ডাক টানা ৩ ম্যাচে ছিল না। ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে ৭ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩ বার রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছিলেন গাপটিল।
এছাড়া তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজের তিনটিতেই ডাকা মারার কীর্তি আছে সূর্যকুমার যাদবেরও। ২০২৩ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে কোনো রান পাননি সূর্যকুমার। তবে ভারতীয় ব্যাটসম্যান ওপেনার হিসেবে খেলেননি।
তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজের হিসেব বাদ দিলে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নবম ওপেনার হিসেব টানা ৩ ওয়ানডেতে ডাক মেরেছেন শফিক। এ তালিকায় সঙ্গে পেয়েছেন একজন পাকিস্তানিকেও। এর আগে সালমান বাট ওপেনার হিসেবে ওয়ানডেতে টানা তিন ডাক মেরেছিলেন।
সব পজিশন মিলিয়ে শফিক ও সালমান বাট বাদে টানা ৩ ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছেন আরও ৪ পাকিস্তানি। ১৯৯৩ সালে শোয়েব মোহাম্মদ, ১৯৯৬ সালে শাদাব কবির, ২০০০ সালে মোহাম্মদ ওয়াসিম, ২০০৪ সালে শোয়েব মালিক টানা ৩ ম্যাচ রানের খাতা খুলতে পারেননি।
শফিকের সামনে টানা সবচেয়ে বেশি ওয়ানডেতে ডাক মারার বিশ্ব রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছে। সে রেকর্ডে নাম তুলতে বেশি কিছু করতে হবে না। শুধু পরের ম্যাচে ডাক মারলেই হবে। ওয়ানডেতে টানা চার ইনিংসে শূন্য রান করে এ তালিকায় সবার ওপরে আছেন লাসিথ মালিঙ্গা, ক্রেইগ হোয়াইট, হেনরি ওলঙ্গা, গাস লগি ও প্রমোদা উইক্রামসিংহে।
এ বছর ৩ ওয়ানডে ছাড়াও টেস্টে ৪ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন শফিক। বছর শেষ করলেন মোট ৭টি ডাক নিয়ে। চলতি বছর সবচেয়ে বেশি ডাক মারার তালিকায় বুমরার সঙ্গে যৌথভাবে তালিকার দুইয়ে আছেন শফিক। সর্বোচ্চ ৯ ডাক নিয়ে এ তালিকায় সবার ওপরে আছেন জিম্বাবুয়ের মুজারাবানি।
বাংলাদেশের হয়ে এ বছর সবচেয়ে বেশি ৬টি ডাক মেরেছেন লিটন দাস, যা বৈশ্বিকভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ। অবশ্য ২০২৪ সালে ৬টি করে ডাক মেরে লিটনের সঙ্গী আরও ৬ জন। শফিক গতকাল শূন্য রানে আউট হয়ে লিটনকে ছাড়িয়ে গেলেন।