ঢাকা ১১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ২৫ বছরের জন্য চায় বাফুফে

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামকে ১০ বছরের পরিবর্তে ২৫ বছরের জন্য বরাদ্দ চায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এজন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। তিনি জানান, ফিফার অর্থায়নে কমলাপুর ও বাফুফের টার্ফ সংস্কার করতে চায় ফেডারেশন। পরিকল্পনা আছে আরও চার থেকে পাঁচটি স্টেডিয়াম সংস্কারেরও।

বছরের শেষদিকে দেশের ফুটবলে এসেছে সুখবর। লেস্টার সিটি তারকা হামজা চৌধুরী খেলবেন বাংলাদেশের হয়ে। এর পাশাপাশি এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ১০ বছরের জন্য ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ায় বাফুফের জন্য সুসংবাদই বটে।

তবে এখনই ব্যবহার উপযোগী নয় স্টেডিয়ামটি। তার জন্য দরকার সংস্কার কাজ। ফিফার ফান্ডিং নিয়মানুযায়ী স্টেডিয়ামের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কাজের জন্য দরকার আরও বেশ খানিকটা সময়।

বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘এমএ আজিজ স্টেডিয়ামটি আসলে আমরা ২৫ বছরের জন্য চেয়েছি। কারণ ফিফা এফসির যে ফান্ডিং ক্রাইটেরিয়া আছে, এটলিস্ট ২০ বছর, অ্যাপ্লিকেশন ডেটসহ। যখন থেকে পেলাম তখন অ্যাপ্লিকেশন করতে গেলে কিন্তু ২০ বছর হয় না। ১৯ বছর হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য আমাদের মন্ত্রণালয়ের প্রতি রিকুয়েস্ট রয়েছে এটা যেন কমপক্ষে ২৫ বছর দেয়া হয়।’

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজে সবচেয়ে বড় সংযোজন হতে পারে ম্যাচ কমিশনার ও রেফারিদের রুম। মাঠের বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রণালয়কে নিজেদের প্রয়োজনের কথা জানিয়েছে বাফুফে।

ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘মাঠ নিয়ে কিছু অবজারভেশন দিয়েছি। আশা করি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সাথে ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের সাথে সমন্বয় করে আমরা এগুলো বুঝে নিতে পারবো। আমরা আশা করি এটা ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে হলে ম্যাচ কমিশনার এবং রেফারিদের রুম ম্যান্ডেটরি। রেফারিদে রুম আছে, আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করছি কীভাবে কমিশনারের রুমটা ওখানে দেয়া যায়।’

বাফুফের স্টেডিয়াম ও কমলাপুরেও নতুন টার্ফ বসানোর পরিকল্পনা আছে। যথাযথ পরিকল্পনা করে একসাথে আরও চার পাঁচটি স্টেডিয়ামকেও সংস্কার কাজের অন্তর্ভুক্ত করবে বাফুফে।

ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘বাফুফের টার্ফ, এর সাথে কমলাপুর টার্ফ ২৫ বছরের জন্য আমাদের লিজ দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা মন্ত্রণালয়কে আবার রিকুয়েস্ট করেছি। এখানে কিন্তু গ্রাউন্ডের অনেক কাজ আছে। এবং কমলাপুরের প্রাথমিক কাজগুলো শেষ করে রাখবে যেন আমাদের টার্ফ আসলে যেন দুই সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারে।’

২০২৪ সালে দেশের ফুটবলে এসেছে বেশ কিছু সাফল্য। মাঠের সংখ্যা বাড়লে বাড়বে খেলার সংখ্যা, স্টেডিয়াম সংস্কার হলে বাড়বে দর্শক সমাগম দেশের ফুটবলে আসবে নতুন জোয়াড় ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ২৫ বছরের জন্য চায় বাফুফে

আপডেট সময় : ০৪:০২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামকে ১০ বছরের পরিবর্তে ২৫ বছরের জন্য বরাদ্দ চায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এজন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। তিনি জানান, ফিফার অর্থায়নে কমলাপুর ও বাফুফের টার্ফ সংস্কার করতে চায় ফেডারেশন। পরিকল্পনা আছে আরও চার থেকে পাঁচটি স্টেডিয়াম সংস্কারেরও।

বছরের শেষদিকে দেশের ফুটবলে এসেছে সুখবর। লেস্টার সিটি তারকা হামজা চৌধুরী খেলবেন বাংলাদেশের হয়ে। এর পাশাপাশি এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ১০ বছরের জন্য ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ায় বাফুফের জন্য সুসংবাদই বটে।

তবে এখনই ব্যবহার উপযোগী নয় স্টেডিয়ামটি। তার জন্য দরকার সংস্কার কাজ। ফিফার ফান্ডিং নিয়মানুযায়ী স্টেডিয়ামের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কাজের জন্য দরকার আরও বেশ খানিকটা সময়।

বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘এমএ আজিজ স্টেডিয়ামটি আসলে আমরা ২৫ বছরের জন্য চেয়েছি। কারণ ফিফা এফসির যে ফান্ডিং ক্রাইটেরিয়া আছে, এটলিস্ট ২০ বছর, অ্যাপ্লিকেশন ডেটসহ। যখন থেকে পেলাম তখন অ্যাপ্লিকেশন করতে গেলে কিন্তু ২০ বছর হয় না। ১৯ বছর হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য আমাদের মন্ত্রণালয়ের প্রতি রিকুয়েস্ট রয়েছে এটা যেন কমপক্ষে ২৫ বছর দেয়া হয়।’

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজে সবচেয়ে বড় সংযোজন হতে পারে ম্যাচ কমিশনার ও রেফারিদের রুম। মাঠের বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রণালয়কে নিজেদের প্রয়োজনের কথা জানিয়েছে বাফুফে।

ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘মাঠ নিয়ে কিছু অবজারভেশন দিয়েছি। আশা করি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সাথে ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের সাথে সমন্বয় করে আমরা এগুলো বুঝে নিতে পারবো। আমরা আশা করি এটা ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে হলে ম্যাচ কমিশনার এবং রেফারিদের রুম ম্যান্ডেটরি। রেফারিদে রুম আছে, আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করছি কীভাবে কমিশনারের রুমটা ওখানে দেয়া যায়।’

বাফুফের স্টেডিয়াম ও কমলাপুরেও নতুন টার্ফ বসানোর পরিকল্পনা আছে। যথাযথ পরিকল্পনা করে একসাথে আরও চার পাঁচটি স্টেডিয়ামকেও সংস্কার কাজের অন্তর্ভুক্ত করবে বাফুফে।

ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘বাফুফের টার্ফ, এর সাথে কমলাপুর টার্ফ ২৫ বছরের জন্য আমাদের লিজ দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা মন্ত্রণালয়কে আবার রিকুয়েস্ট করেছি। এখানে কিন্তু গ্রাউন্ডের অনেক কাজ আছে। এবং কমলাপুরের প্রাথমিক কাজগুলো শেষ করে রাখবে যেন আমাদের টার্ফ আসলে যেন দুই সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারে।’

২০২৪ সালে দেশের ফুটবলে এসেছে বেশ কিছু সাফল্য। মাঠের সংখ্যা বাড়লে বাড়বে খেলার সংখ্যা, স্টেডিয়াম সংস্কার হলে বাড়বে দর্শক সমাগম দেশের ফুটবলে আসবে নতুন জোয়াড় ।