ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি কাতারের

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন কঠোর শ্রম আইন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী সাদ আল কাবি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই আইন কার্যকর হলে কাতার ইইউভুক্ত দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) ফাইনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদ আল কাবি বলেন, “ইইউ’র নতুন শ্রম আইন বাস্তবায়িত হলে তা কাতারের জ্বালানি খাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।”

চলতি বছরে ইইউতে পাস হওয়া ‘কর্পোরেট সাসটেইনেবিলিটি ডিউ ডিলিজেন্স’ নামে এই আইনে বলা হয়েছে, শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বার্ষিক লাভের ৫ শতাংশ জরিমানা গুণতে হবে। কাতারের মতে, এই জরিমানা দেশটির জ্বালানি রাজস্বের ওপর বড় আঘাত হানবে।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তরল গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানিকারক দেশ কাতার মনে করে, এই আইন তাদের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দেবে। মন্ত্রী সাদ আল কাবি বলেন, “ইইউ এই আইনটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এ ধরনের পদক্ষেপ আমাদের জ্বালানি রপ্তানির ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কাতার যদি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো জ্বালানি সংকটে পড়বে। কাতারের এই পদক্ষেপ অন্যান্য জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশগুলোর জন্যও একটি নজির হয়ে উঠতে পারে, যা ইইউ’র শ্রম আইন বাস্তবায়নকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

ইউরোপ বর্তমানে গ্যাস সরবরাহের জন্য কাতারের ওপর নির্ভরশীল। এ পরিস্থিতিতে কাতারের এমন হুমকি ইইউভুক্ত দেশগুলোর জ্বালানি নিরাপত্তায় শঙ্কা সৃষ্টি করতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দ্বন্দ্ব সমাধানে উভয় পক্ষেরই সমঝোতার পথে এগোনো প্রয়োজন, যাতে আইনগত এবং অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি কাতারের

আপডেট সময় : ০৪:০৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন কঠোর শ্রম আইন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী সাদ আল কাবি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই আইন কার্যকর হলে কাতার ইইউভুক্ত দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) ফাইনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদ আল কাবি বলেন, “ইইউ’র নতুন শ্রম আইন বাস্তবায়িত হলে তা কাতারের জ্বালানি খাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।”

চলতি বছরে ইইউতে পাস হওয়া ‘কর্পোরেট সাসটেইনেবিলিটি ডিউ ডিলিজেন্স’ নামে এই আইনে বলা হয়েছে, শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বার্ষিক লাভের ৫ শতাংশ জরিমানা গুণতে হবে। কাতারের মতে, এই জরিমানা দেশটির জ্বালানি রাজস্বের ওপর বড় আঘাত হানবে।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তরল গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানিকারক দেশ কাতার মনে করে, এই আইন তাদের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দেবে। মন্ত্রী সাদ আল কাবি বলেন, “ইইউ এই আইনটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এ ধরনের পদক্ষেপ আমাদের জ্বালানি রপ্তানির ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কাতার যদি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো জ্বালানি সংকটে পড়বে। কাতারের এই পদক্ষেপ অন্যান্য জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশগুলোর জন্যও একটি নজির হয়ে উঠতে পারে, যা ইইউ’র শ্রম আইন বাস্তবায়নকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

ইউরোপ বর্তমানে গ্যাস সরবরাহের জন্য কাতারের ওপর নির্ভরশীল। এ পরিস্থিতিতে কাতারের এমন হুমকি ইইউভুক্ত দেশগুলোর জ্বালানি নিরাপত্তায় শঙ্কা সৃষ্টি করতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দ্বন্দ্ব সমাধানে উভয় পক্ষেরই সমঝোতার পথে এগোনো প্রয়োজন, যাতে আইনগত এবং অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।